‘বড় হতে গেলে অধ্যবসায় ও সততার বিকল্প নেই’

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ৫৬

ছোটবেলায় ‘নতুনকুঁড়ি’তে তিনি নাচে এবং অভিনয়ে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। অভিনয়ের দুনিয়ায় পথ চলতে চলতে তিনি অভিনয় জীবনের ‘রজত জয়ন্তী’তে (২৫ বছরে) পদার্পণ করেছেন। সমানতালে করে যাচ্ছেন নাচ ও অভিনয়। অভিনয়ে দীপ্ত টেলিভিশনে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন এই অভিনেত্রী।

বিজ্ঞাপন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’র রতন চরিত্রে বাড়ৈর লেখা স্ক্রিপ্টে অভিনয় করেই ‘নতুন কুঁড়ি’তে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। এর পরপরই নাদিয়া বিটিভির ‘বারো রকমের মানুষ’ নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পান। মাঝে বিরতির পর ২০০০ সাল থেকে নাদিয়া মূলত অভিনয়ে নিয়মিত হতে শুরু করেন।

প্রথম প্রচারে আসে রেজানুর রহমানের ‘ছায়াকায়া’ নাটকটি। এতে অভিনয় করে সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী হিসেবে ‘বাচসাস’ পুরস্কারে ভূষিত হন। তবে তার আগে তিনি মোহন খানের ‘দূরের মানুষ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে দীপ্ত টিভিতে প্রচার শেষ হওয়া ‘বকুলপুর’ নাটকের ‘প্রিন্সেস দিবা’, পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান দিবা চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেন তিনি।

নাদিয়া বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ পরিচালক আবুল হায়াত, সালাহউদ্দিন লাভলু, আল হাজেন, সুমন আনোয়ার, সকাল আহমেদ, ফজলুর রহমান, তাহের শিপন, অম্লান বিশ্বাস, এসএ হক অলিকসহ আরও বেশ কয়েকজন নির্মাতার কাছে। সহশিল্পীদের মধ্যে তিনি মীর সাব্বির, ইন্তেখাব দিনার, জয়, মিলন, চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, জিতু আহসান, তৌকীর আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

অভিনয় জীবনের রজত জয়ন্তী প্রসঙ্গে নাদিয়া আহমেদ বলেন, ‘অভিনয় জীবনের দীর্ঘদিনের এই পথচলায় দিনের পর দিন দেশে কিংবা দেশের বাইরে মানুষের এই যে অকৃত্রিম ভালোবাসা, এটাইতো আসলে জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। ভীষণ আনন্দ নিয়েই পরিবার বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে জীবন উদযাপন করতে ভালোবাসি। আমি আমার শিক্ষকদের ভীষণ ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। কথা একটাই বিশেষভাবে বলতে চাই, জীবনে বড় হতে গেলে অধ্যবসায় এবং সততার বিকল্প নেই। আমি আমার সব সহশিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, নাট্যকারসহ নাচের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি, সর্বোপরি দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ সবার সহযোগিতা ও ভালোবাসায় আমি আজকের নাদিয়া।’

মা এবং স্বামী নাঈমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দেখতে দেখতে কীভাবে এই অভিনয় শিল্প অঙ্গনে ২৫ বছর হয়ে গেল!!! যার সর্বোচ্চ কৃতিত্ব আমার ‘মা’-এর তারপর অবশ‍্যই সবার ভালোবাসা, দোয়া আর পরিবারের সর্বোচ্চ সাপোর্ট, নাঈমের ভীষণ অনুপ্রেরণা, সহযোগিতা সেই সঙ্গে বন্ধুদের ভালোবাসা, সাহসে আজ আমি সত‍্যিই সম্মানিত। সবার দোয়া এভাবেই অক্ষুন্ন থাকুক… আমি যেন আমার কাজের জায়গায় আমার ভালোবাসা আর সততা নিয়ে কাজ করে যেতে পারি।

অভিনয় শেখারও আগে নাদিয়ার নাচ শেখা। তার নাচের গুরু প্রয়াত হাবিবুল চৌধুরী। এরপর শিশু একাডেমিতে শেখার পর সাত বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেন তিনি ‘বাফা’ থেকে। প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। এরপর রাইজা খানম ঝুনু, সোহেল রহমান, শিবলী মোহাম্মদ, শামীম আরা নীপা ও দীপা খন্দকারের কাছেও নাচ শিখেছেন। তবে অভিনয়ে তার গুরু অ্যাডওয়ার্ড বারৈ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত