চলছে মাছ ধরার ফাঁদ নিয়ে প্রদর্শনী

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ৫০

কলা কেন্দ্রে শুরু হলো আরেকটি নতুন প্রদর্শনী। স্থপতি মাসরুর মামুন মিথুরের গবেষণা ও কিউরেশনে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর নাম ‘ফাঁদ’। গত শনিবার বিকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে। শিল্পী ও স্থপতিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাঁশের তৈরি নানা আকার ও প্রকারের বৈচিত্র্যময় আকৃতির মাছ ধরার ফাঁদ প্রদর্শনীটির স্থাপনায় ব্যবহার করা হয়েছে। স্থাপনায় ছিলেন ওয়াকিলুর রহমান, মাসরুর মামুন মিথুন ও সৈয়দ সাইফ আলী। ৪ অক্টোবর শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। ‘চাঁই’ বা মাছ ধরার ফাঁদ বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিতÑযা বাংলার আনাচে-কানাচে জলজ চর্চায় নিবিড়ভাবে জড়িয়ে থাকা একটি বাঁশের তৈরি দ্রব্য।

মাসরুর মামুন মিথুন বলেন, ‘নানা ধরনের চাঁইকে ঘিরে এ প্রদর্শনীর সূত্রপাত। গতানুগতিকতার বাইরে দেখার চোখগুলো কিছুটা আন্দোলিত হবে বলে আশা করি। গ্রামবাংলার আরো যেকোনো কারুশিল্পদ্রব্যের মতোই মাছের চাঁইগুলোকে আমরা ব্যবহার উপযোগিতার অনন্য উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারি। এর সঙ্গে যোগ করা যায় কারুশিল্পীদের উপাদান হিসেবে বাঁশকে আয়ত্ত করার দক্ষতার বিষয়টিকেও। চিকন বাঁশের ফালি দিয়ে বোনা এর আকার ও গঠন ধারণ করে আলো-আঁধারির খেলার এক অনন্য সম্ভাবনা। প্রাত্যহিক ব্যবহারিক পরিবেশ থেকে বিচ্যুতি ঘটালে যেকোনো দ্রব্যই ধারণ করতে পারে এক বহুমাত্রিক চরিত্র।’

বিজ্ঞাপন

তবে এ প্রদর্শনী আসলে কেমন তা নিয়ে মিথুন বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে প্রথমেই একটু জানিয়ে রাখা দরকার, এ প্রদর্শনী কোনো জাদুঘরধর্মী আয়োজন নয়, যেখানে চাঁই-সংক্রান্ত তথ্য বা নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদর্শিত হবে। পাশাপাশি এটি চাঁইকে ভেঙে বা অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন কোনো সমসাময়িক শিল্পকর্মের প্রদর্শনীও নয় বরং এর লক্ষ্য হলো মাছ ধরার ফাঁদটিকে তার নিজস্ব চরিত্রে আর সম্ভাবনায় আবিষ্কার করা। স্বভাবতই চাঁইয়ের স্থানিক গুণাবলি স্থাপত্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’

প্রদর্শনীর লক্ষ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ প্রদর্শনীর লক্ষ্য হলো দর্শকের চোখে চাঁইকে তুলে দেওয়া, এর নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের বাইরে আরো কিছু খুঁজে বের করার আমন্ত্রণ রইল। হয়তো নীরব কোনো প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে : আমরা কি এই মাছ ধরার ফাঁদগুলোকে কেবল বাইরে থেকে দেখছি, নাকি অজান্তেই দাঁড়িয়ে আছি মাছের জায়গায়?’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত