
প্রতিনিধি, কুবি

“আমি এখন শঙ্কিত, আমি এখন আতঙ্কিত। আমাকে শুধু এতটুকুই নিশ্চিত করেন যে, ছাত্রদল আমার কিছু করবে না”— এমন কথাই কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম হৃদয়।
শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেসবুক ভিডিওতে হৃদয় বলেন, “আমার জুনিয়রদের প্রতি অনেক রাগ ছিল, তাদের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়েছিলাম। পরে চেয়েছিলাম সাময়িক বহিষ্কার, পরে আবার ক্ষমা করে দিয়েছি। তাহলে কেন আজকে ছাত্রদলের ছেলেরা আমাকে অ্যাগ্রেসিভভাবে কথা বলবে? আমি কোনো পোস্ট দিয়েছি, কোনো নিউজ করাইছি? আমি শুধু স্বাভাবিক থাকতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “ভাই, আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। ফজরের পর কোরআন তেলাওয়াত করে হাঁটতে যেতাম, টিউশনি করতাম, নিয়মিত পড়াশোনা করতাম। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই, শিবিরও করি না। কেন আমার জীবনকে এভাবে বিষিয়ে তোলা হবে?”
তিনি বলেন, “আমি এখন শঙ্কিত, আমি এখন আতঙ্কিত। ছাত্রদল আমার কিছু করবে না, আপনারা এটা যদি নিশ্চিত করতে পারেন তাহলেই হবে। ভাইয়েরা আমাকে রুমে এসে এগুলো বলছে। আমি ওনাদের কোনো পানিশমেন্ট চাই না। আমাকে শুধু এতটুকুই নিশ্চিত করেন যে, ছাত্রদল আমার কিছু করবে না। আমি কারও শাস্তি চাই না ভাই।”
ভিডিও পোস্ট করার কিছুক্ষণ আগে রাত ৯টার দিকে তিনি আরেকটি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “আমি তো সব ভুলে গিয়ে জুনিয়রদের ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। বিষয়টি বাড়াইনি। তাহলে কেন ছাত্রদলের পোলাপান রুমে এসে আমাকে অ্যাগ্রেসিভলি বিভিন্ন কথাবার্তা শুনিয়ে যাবে? একেবারে সাধারণ একটা ছেলেকে কেন এভাবে ট্রমাটাইজড রাখা হবে? আমি তো একটু প্রশান্তির জন্য ঝামেলা থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম.....??
আমি ছাত্রদলের কী ক্ষতি করেছি? আমি তো শিবিরও না, এনসিপিও না, মাঝে মাঝে তাবলিগের ভাইদের সাথে শব-গুজারিতে যাই, ব্যক্তিগত পড়াশোনা-জীবন নিয়ে ব্যস্ত। তাহলে, আমার জীবনে কেন এভাবে বিষিয়ে তোলা হবে? আমি আবারও সেই স্বাভাবিক জীবনে যেতে চাই, ফজর পড়ে হাঁটতে বের হবো, পড়াশোনা-টিউশন শেষে শান্তিতে ঘুমাতে আসবো। আমি সেই সুন্দর-সহজযাপিত জীবনটি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে তওহিদুল ইসলাম জিসান বলেন, “ওরা যে রুমে থাকে আমি ঠিক ওই রুমের উপরের তলায় থাকি। ওই রুমগুলো যারা থাকেন তাদের সাথে সবসময় কথাবার্তা বলি। আমি আমার একটা বড় ভাই হারিস ভাইয়ের কাছে গিয়েছি, সিনিয়র জুনিয়র যেরকম কথাবার্তা হয় সেরকম কথা বলছিলাম। এখানে কোনো উচ্চ গলায় কোনো কথা হয়নি। আমি কোনো রাজনীতি করি না, কোনো দলেরও না।”
তার সাথে ওই রুমে অন্য কেউ ছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আমার সাথে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী ছিলেন। সে হয়তো ছাত্রদল করে আমি এই বিষয়ে নিশ্চিত না। ওর রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে আমার রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই।”
হৃদয়ের সাথে অ্যাগ্রেসিভলি কথা কে বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি এখানে কোনো কথাই বলিনি, আমার যা কথা হয়েছে সব হারিসের সাথে।”
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, “যদি ছাত্রদলের কেউ এরকম কিছু করে থাকে, তা প্রমাণিত হয় তাহলে আমাদের দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের হাতে র্যাগিং-সদৃশ দুর্ব্যবহার, হুমকি এবং অপমানের শিকার হয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম হৃদয়।
এ ঘটনায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইউনুস আলী এবং রোমান।

“আমি এখন শঙ্কিত, আমি এখন আতঙ্কিত। আমাকে শুধু এতটুকুই নিশ্চিত করেন যে, ছাত্রদল আমার কিছু করবে না”— এমন কথাই কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম হৃদয়।
শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেসবুক ভিডিওতে হৃদয় বলেন, “আমার জুনিয়রদের প্রতি অনেক রাগ ছিল, তাদের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়েছিলাম। পরে চেয়েছিলাম সাময়িক বহিষ্কার, পরে আবার ক্ষমা করে দিয়েছি। তাহলে কেন আজকে ছাত্রদলের ছেলেরা আমাকে অ্যাগ্রেসিভভাবে কথা বলবে? আমি কোনো পোস্ট দিয়েছি, কোনো নিউজ করাইছি? আমি শুধু স্বাভাবিক থাকতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “ভাই, আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। ফজরের পর কোরআন তেলাওয়াত করে হাঁটতে যেতাম, টিউশনি করতাম, নিয়মিত পড়াশোনা করতাম। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই, শিবিরও করি না। কেন আমার জীবনকে এভাবে বিষিয়ে তোলা হবে?”
তিনি বলেন, “আমি এখন শঙ্কিত, আমি এখন আতঙ্কিত। ছাত্রদল আমার কিছু করবে না, আপনারা এটা যদি নিশ্চিত করতে পারেন তাহলেই হবে। ভাইয়েরা আমাকে রুমে এসে এগুলো বলছে। আমি ওনাদের কোনো পানিশমেন্ট চাই না। আমাকে শুধু এতটুকুই নিশ্চিত করেন যে, ছাত্রদল আমার কিছু করবে না। আমি কারও শাস্তি চাই না ভাই।”
ভিডিও পোস্ট করার কিছুক্ষণ আগে রাত ৯টার দিকে তিনি আরেকটি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, “আমি তো সব ভুলে গিয়ে জুনিয়রদের ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। বিষয়টি বাড়াইনি। তাহলে কেন ছাত্রদলের পোলাপান রুমে এসে আমাকে অ্যাগ্রেসিভলি বিভিন্ন কথাবার্তা শুনিয়ে যাবে? একেবারে সাধারণ একটা ছেলেকে কেন এভাবে ট্রমাটাইজড রাখা হবে? আমি তো একটু প্রশান্তির জন্য ঝামেলা থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম.....??
আমি ছাত্রদলের কী ক্ষতি করেছি? আমি তো শিবিরও না, এনসিপিও না, মাঝে মাঝে তাবলিগের ভাইদের সাথে শব-গুজারিতে যাই, ব্যক্তিগত পড়াশোনা-জীবন নিয়ে ব্যস্ত। তাহলে, আমার জীবনে কেন এভাবে বিষিয়ে তোলা হবে? আমি আবারও সেই স্বাভাবিক জীবনে যেতে চাই, ফজর পড়ে হাঁটতে বের হবো, পড়াশোনা-টিউশন শেষে শান্তিতে ঘুমাতে আসবো। আমি সেই সুন্দর-সহজযাপিত জীবনটি চাই।
অভিযোগের বিষয়ে তওহিদুল ইসলাম জিসান বলেন, “ওরা যে রুমে থাকে আমি ঠিক ওই রুমের উপরের তলায় থাকি। ওই রুমগুলো যারা থাকেন তাদের সাথে সবসময় কথাবার্তা বলি। আমি আমার একটা বড় ভাই হারিস ভাইয়ের কাছে গিয়েছি, সিনিয়র জুনিয়র যেরকম কথাবার্তা হয় সেরকম কথা বলছিলাম। এখানে কোনো উচ্চ গলায় কোনো কথা হয়নি। আমি কোনো রাজনীতি করি না, কোনো দলেরও না।”
তার সাথে ওই রুমে অন্য কেউ ছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আমার সাথে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী ছিলেন। সে হয়তো ছাত্রদল করে আমি এই বিষয়ে নিশ্চিত না। ওর রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে আমার রাজনৈতিক কোনো পরিচয় নেই।”
হৃদয়ের সাথে অ্যাগ্রেসিভলি কথা কে বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি এখানে কোনো কথাই বলিনি, আমার যা কথা হয়েছে সব হারিসের সাথে।”
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, “যদি ছাত্রদলের কেউ এরকম কিছু করে থাকে, তা প্রমাণিত হয় তাহলে আমাদের দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের হাতে র্যাগিং-সদৃশ দুর্ব্যবহার, হুমকি এবং অপমানের শিকার হয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম হৃদয়।
এ ঘটনায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে তিনি ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইউনুস আলী এবং রোমান।

পৃথিবীতে আমার বেশ ক’টি দেশ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এবার সুযোগ এলো চীন দেখার, তাই আর হাতছাড়া করলাম না। একটি ট্রাভেল এজেন্টের মারফত আমিও চল্লিশ জনের দলের সঙ্গে এই আট দিনের প্যাকেজ ট্যুরে স্ত্রীসহ শামিল হয়ে গেলাম।
১ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার মেলা ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়। কেউ অফিস সহকর্মীদের সঙ্গে এসেছেন, কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, আবার কেউবা এসেছেন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। তারা মেলা ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং পছন্দের পণ্য কিনছেন। কেউ ফুড কর্নারের নানা পিঠাপুলি ও দেশি-বিদেশি খাবারের স্বাদ গ্রহণ করছেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনে নিজেকে একটু স্মার্ট ও ফ্যাশনেবল দেখাতে কে না চায়? পোশাক-আশাক বা স্টাইলে নিজেকে সময় ও স্থান-উপযোগী করে তুলতে পারাটা একটা গুণ। নিজেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখতে স্টাইলিংয়ের জন্য অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয়, এটা সত্যি। শুধু সময় নয়, উপযুক্ত স্টাইলিংয়ের জন্য অর্থও ব্যয় করতে হয়, যা অনেকের জন্য সবসময়
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মাদক ও ভবঘুরে উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা মাদক-ভবঘুরে ও ভ্রাম্যমাণ দোকানি সিন্ডিকেটের একটি চক্র।
১২ ঘণ্টা আগে