ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ও আওয়ামীপন্থী নীল দলের সমালোচিত শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন একই বিভাগের নীল দলের আরেক শিক্ষক জিনাত হুদা।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ সূত্রে জানা যায়, দুপুরে আ ক ম জামাল, জিনাত হুদাসহ কয়েকজন শিক্ষক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে প্রবেশ করেন। জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা ভবনের সামনে জড়ো হন। দুপুর একটার দিকে শিক্ষকরা ভবন থেকে বের হলে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া দেন।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আ ক ম জামাল দৌড়ে ভবনের নিচতলায় রাস্তায় নেমে যান এবং দ্রুত একটি প্রাইভেট কারে উঠে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। তাদের সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষকও একই গাড়িতে চলে যান।
ঘটনার পর এবি জুবায়ের নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, “স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশ ফায়ার দিতে হবে”- এই বক্তব্য দেওয়া আ ক ম জামাল ও নীল দলের নেতা জিনাত হুদাসহ পাঁচজন ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ শিক্ষক ক্যাম্পাসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত ছিলেন।
তিনি আরও দাবি করেন, খবর পেয়ে তারা শিক্ষকদের আটক করে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে তারা পালিয়ে যান।
তিনি আরও লেখেন, “এরা চিহ্নিত খুনিদের দোসর। এদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস–পরীক্ষা বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। খুনিদের সঙ্গে কোনো সহাবস্থান নেই। সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম জানান, “আমরা এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। তবে এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি।”
এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

