
স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘হায়ার এডুকেশন এক্সেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রকল্পের কার্যক্রমে চরম অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পে পর্যালোচনা প্রক্রিয়া ও নির্বাচনে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা বিষয়কে ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সোমবার ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজের সঙ্গে বৈঠক করে এসব অভিযোগ তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। রাজশাহী, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নয় সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধি দল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হিট প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ সম্পর্কে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, হিট প্রকল্প নিয়ে আমরা ইউজিসি চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এসময় আমরা ১২টি বিষয় তুলে ধরেছি। ইউজিসি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তারা আমাদের অভিযোগ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করলেও তা যুক্তিপূর্ণ ছিল না। ইউজিসি চেয়ারম্যান আন্তরিকভাবে আমাদের কথা শুনেছেন। ইউজিসিও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় বলে চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন।
শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হিট প্রকল্পের আওতায় গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন ও নির্বাচনের (ফেইজ ১) পুরো প্রক্রিয়াটি একগুচ্ছ অনিয়ম, বৈষম্য, রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং অস্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে, যা আমাদের মধ্যে গভীর অসন্তোষ এবং অনাস্থা সৃষ্টি করেছে। এই প্রকল্প, যা জনগণের ঋণের টাকায় পরিচালিত, তা এখন বিতর্ক ও বৈধতার সংকটে পড়েছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হল উচ্চশিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন, গবেষণাকে উৎসাহিত করা এবং দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং বাড়ানো। কিন্তু সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অস্বচ্ছতা, বৈষম্য এবং একাধিক অনিয়মে পরিপূর্ণ ছিল।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের বক্তব্য ‘প্রকল্পগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে ব্লাইন্ড রিভিউয়ের মাধ্যমে’ উল্লেখ করে শিক্ষকরা বলেন, বাস্তবে এটি কোনোভাবেই “ব্লাইন্ড” রিভিউ ছিল না। রিভিউয়াররা কোন প্রকল্পে কত নম্বর দিয়েছেন এবং মূল্যায়ন রিপোর্টে কী মন্তব্য করেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি, যা প্রকল্প নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তারা বলেন, একই বিভাগের একাধিক প্রকল্প প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও একটিকে অনুমোদন ও অন্যগুলোকে অকারণেই বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ আবেদনকারীদের এই নীতির বিষয়ে আগে কিছুই জানানো হয়নি। এখানে রাজনৈতিক স্বজনপ্রীতি প্রাধান্য পেয়েছে বলে আমরা মনে করি।
শিক্ষকরা বলেন, সামগ্রিকভাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রকল্পই গ্রহণ করা হয়নি, আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলকভাবে অতি কম সংখ্যক প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, হিট প্রকল্পের পরিচালকরা সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নওফেল নিযুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় আসল প্রকল্প পরিচালককে বাদ দিয়ে অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানকে গায়ের জোরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। জুলাই ২৪ বিপ্লব হয়ে গেলেও তিনি বহাল তবিয়তে অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ।
প্রকল্প প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা একটি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের ফ্যাসিস্ট শিক্ষকরা বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে রিভিউয়ার হওয়া এবং প্রকল্প পাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়েছে।
'জুলাই বিপ্লবের পরও যারা হিজ প্রজেক্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতিকরণ, রাজনীতিকরণ, এবং স্বজনপ্রীতকারিতার মাধ্যমে ইউজিসিকে কলঙ্কিত করেছে, তাদের দ্রুত অপসরণ করে যোগ্য লোকদেরকে দায়িত্ব প্রদান করা হোক; এছাড়াও দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, হিট প্রকল্পে রিভিউয়ার নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। বিশেষ করে ইসলামিক স্টাডিজের রিভিউয়ার প্যানেল না থাকাসহ পুরো প্রক্রিয়ায় অনিয়মের কথা জানিয়েছি।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ‘হায়ার এডুকেশন এক্সেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ (হিট) প্রকল্পের কার্যক্রমে চরম অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পে পর্যালোচনা প্রক্রিয়া ও নির্বাচনে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা বিষয়কে ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সোমবার ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজের সঙ্গে বৈঠক করে এসব অভিযোগ তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। রাজশাহী, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নয় সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধি দল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হিট প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ সম্পর্কে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, হিট প্রকল্প নিয়ে আমরা ইউজিসি চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এসময় আমরা ১২টি বিষয় তুলে ধরেছি। ইউজিসি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। তারা আমাদের অভিযোগ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করলেও তা যুক্তিপূর্ণ ছিল না। ইউজিসি চেয়ারম্যান আন্তরিকভাবে আমাদের কথা শুনেছেন। ইউজিসিও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় বলে চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন।
শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, হিট প্রকল্পের আওতায় গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন ও নির্বাচনের (ফেইজ ১) পুরো প্রক্রিয়াটি একগুচ্ছ অনিয়ম, বৈষম্য, রাজনৈতিক পক্ষপাত এবং অস্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে, যা আমাদের মধ্যে গভীর অসন্তোষ এবং অনাস্থা সৃষ্টি করেছে। এই প্রকল্প, যা জনগণের ঋণের টাকায় পরিচালিত, তা এখন বিতর্ক ও বৈধতার সংকটে পড়েছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হল উচ্চশিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন, গবেষণাকে উৎসাহিত করা এবং দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিং বাড়ানো। কিন্তু সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অস্বচ্ছতা, বৈষম্য এবং একাধিক অনিয়মে পরিপূর্ণ ছিল।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের বক্তব্য ‘প্রকল্পগুলো মূল্যায়ন করা হয়েছে ব্লাইন্ড রিভিউয়ের মাধ্যমে’ উল্লেখ করে শিক্ষকরা বলেন, বাস্তবে এটি কোনোভাবেই “ব্লাইন্ড” রিভিউ ছিল না। রিভিউয়াররা কোন প্রকল্পে কত নম্বর দিয়েছেন এবং মূল্যায়ন রিপোর্টে কী মন্তব্য করেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি, যা প্রকল্প নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তারা বলেন, একই বিভাগের একাধিক প্রকল্প প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও একটিকে অনুমোদন ও অন্যগুলোকে অকারণেই বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ আবেদনকারীদের এই নীতির বিষয়ে আগে কিছুই জানানো হয়নি। এখানে রাজনৈতিক স্বজনপ্রীতি প্রাধান্য পেয়েছে বলে আমরা মনে করি।
শিক্ষকরা বলেন, সামগ্রিকভাবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো প্রকল্পই গ্রহণ করা হয়নি, আবার কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলকভাবে অতি কম সংখ্যক প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, হিট প্রকল্পের পরিচালকরা সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নওফেল নিযুক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় আসল প্রকল্প পরিচালককে বাদ দিয়ে অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামানকে গায়ের জোরে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। জুলাই ২৪ বিপ্লব হয়ে গেলেও তিনি বহাল তবিয়তে অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ।
প্রকল্প প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা একটি বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের ফ্যাসিস্ট শিক্ষকরা বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে রিভিউয়ার হওয়া এবং প্রকল্প পাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়েছে।
'জুলাই বিপ্লবের পরও যারা হিজ প্রজেক্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতিকরণ, রাজনীতিকরণ, এবং স্বজনপ্রীতকারিতার মাধ্যমে ইউজিসিকে কলঙ্কিত করেছে, তাদের দ্রুত অপসরণ করে যোগ্য লোকদেরকে দায়িত্ব প্রদান করা হোক; এছাড়াও দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, হিট প্রকল্পে রিভিউয়ার নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। বিশেষ করে ইসলামিক স্টাডিজের রিভিউয়ার প্যানেল না থাকাসহ পুরো প্রক্রিয়ায় অনিয়মের কথা জানিয়েছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে
১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগে
করোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৫ ঘণ্টা আগে