বিশেষ আবাসন বৃত্তিতে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটক অবরোধ করে রেখেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী প্রকল্প’-এর শিক্ষার্থীরা। এতে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তারা সোমবার রাত সাড়ে ৮টা ৩০ পর্যন্ত লেখা প্রতিবেদনে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
টানা অবরোধ কর্মসূচির সময় একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আন্দোলনকারীরা জানান, অসুস্থ শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম আহম্মেদ। সকাল থেকে না খেয়ে থাকা এবং দীর্ঘ সময় স্লোগান দেওয়ার কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী হাসনাত হোসেন বলেন, “আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি। অনেক শিক্ষার্থী ৫–৬ হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়ে হলে থাকে, কেউ কেউ ৯–১০ হাজার টাকাও দেয়। তাহলে বৃত্তি থেকে আমাদের কেন বাদ দেওয়া হবে?”
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী বখতিয়ার ইসলাম বলেন, “আস-সুন্নাহ হল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে— মেধাবী হলের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসনিক সম্পর্ক নেই এবং এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল হিসেবে বিবেচনা না করতে বলা হয়েছে। আমাদের তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব। দাবি না মানলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে।”
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো—
১. আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মেধাবী প্রকল্প’-এ অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো আবাসন বৃত্তি নীতিমালার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা; ২. আবাসন বৃত্তিকে ‘মেধাভিত্তিক’ না রেখে ‘প্রয়োজনভিত্তিক’ করার লক্ষ্যে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি ও সিজিপিএ-নির্ভর শর্ত বাতিল করা; এবং ৩. রি-অ্যাডমিশন সংক্রান্ত শর্ত সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা।

