চাকসু ভোটে গণনার সময় গুজব-যুদ্ধ

জমির উদ্দিন, চবি থেকে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা ঘিরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় নতুন এক লড়াই তথ্যের লড়াই। কোথাও এলইডি স্ক্রিন বন্ধ, কোথাও ফল গণনা থেমে গেছে-এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে গুজবে সরগরম হয়ে ওঠে ফেসবুক গ্রুপ, মেসেঞ্জার চ্যাট আর শিক্ষার্থীদের করিডর। এমনকি প্রার্থীরাও করছেন কারচুপি।
গণনা কক্ষের বাইরের প্রতিটি মিনিটে গুজব বদলাচ্ছে রঙ। কেউ বলছে, ফল বদলে গেছে, কেউ লিখছে 'বিজয়ী তালিকা গোপনে তৈরি', আবার কেউ লাইভে এসে বলছে 'এলইডি স্ক্রিন বন্ধ মানেই কিছু একটা ঘটছে।'
এই অনিশ্চয়তার রাতেই ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন গুজব নয়, বাস্তবেই কিছু কেন্দ্রে গণনা স্থগিত রেখে ফলাফল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তাঁদের দাবি, এলইডি স্ক্রিনে গণনার অগ্রগতি বন্ধ হওয়ার পেছনে ‘প্রযুক্তিগত নয়, রাজনৈতিক’ কারণ থাকতে পারে।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোট গণনার সময় মিনিট পরপর এলইডি স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যায়। আবার চালু হলে সংখ্যাগুলো বদলে যায়। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি, কিন্তু তারা বলছে ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’। এই ‘টেকনিক্যাল’ কথাটাই এখন সবচেয়ে বড় গুজব।
একই অভিযোগ করেন ছাত্রদল সমর্থিত এজিএস প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। তিনি বলেন, দুপুর ১২টা থেকে কোথাও ৪৫ মিনিট, কোথাও ৪০ মিনিট পর্যন্ত স্ক্রিন বন্ধ। প্রশাসন যদি স্বচ্ছ থাকত, তাহলে ফল গণনা খোলা জায়গায় বা লাইভ ফিডে দেখানো যেত। স্ক্রিন বন্ধ মানেই শিক্ষার্থীদের মনে সন্দেহ তৈরি।
ফেসবুকের চবি-ভিত্তিক কয়েকটি বড় গ্রুপেও রাতে দেখা যায় নানা দাবি প্রত্য দাবি। কেউ লিখছেন, ফলাফল বদলে গেছে, কেউ আবার 'বিজয়ী তালিকা ঠিকই আগেই তৈরি ছিল। কয়েকজন স্ক্রিনে ছবি তুলে পোস্ট দিচ্ছেন কোনো অনুষদে কারা এগিয়ে, কারা পেছনে। এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এলইডি বন্ধ মানেই খেলা শুরু।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলেন, 'গণনা প্রার্থীদের উপস্থিতিতেই হচ্ছে। কিছুক্ষণের জন্য স্ক্রিনে কারিগরি সমস্যা হয়েছিল, সেটি দ্রুত ঠিক করা হয়েছে। কোনো ফল পরিবর্তনের সুযোগ নেই।'
সন্ধ্যার পর থেকেই গণনা কেন্দ্রের বাইরে শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। কেউ লাইভ ভিডিও করছে, কেউ ফোনে ফল আপডেট জানাচ্ছে, আবার কেউ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে নীরব। পাশেই বসে থাকা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা ইসলাম বলেন, এখন চবির প্রতিটি ছাত্রের কানে বাজছে একটাই কথা ‘স্ক্রিন বন্ধ, কিছু একটা হচ্ছে!’ গুজবটা এতটাই শক্তিশালী যে সত্যিকারের ঘোষণাও অনেকে বিশ্বাস করছে না।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না এই পরিস্থিতিকে বললেন ‘ডিজিটাল গুজব–সংক্রমণ’। তাঁর ভাষায়, এটি সোশ্যাল মিডিয়ার ক্লাসিক ইফেক্ট। সামান্য অনিশ্চয়তাই যখন থাকে, তখন মানুষ তথ্যের ঘাটতি পূরণ করে কল্পনা দিয়ে। চবির ভোটে এখন সেটিই ঘটছে।
ফল গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই গুজব–যুদ্ধ যে থামছে না, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ক্যাম্পাসে।
একজন নারী শিক্ষার্থী বললেন, ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত স্ক্রিন যতবার বন্ধ হবে, ততবারই নতুন গুজব জন্ম নেবে।
চবির দীর্ঘ রাতে এখন গুজব, সন্দেহ আর প্রত্যাশা মিলেমিশে একটাই কথা বলছে-সবাই ফল চায়, কিন্তু কেউই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না।'

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা ঘিরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় নতুন এক লড়াই তথ্যের লড়াই। কোথাও এলইডি স্ক্রিন বন্ধ, কোথাও ফল গণনা থেমে গেছে-এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে গুজবে সরগরম হয়ে ওঠে ফেসবুক গ্রুপ, মেসেঞ্জার চ্যাট আর শিক্ষার্থীদের করিডর। এমনকি প্রার্থীরাও করছেন কারচুপি।
গণনা কক্ষের বাইরের প্রতিটি মিনিটে গুজব বদলাচ্ছে রঙ। কেউ বলছে, ফল বদলে গেছে, কেউ লিখছে 'বিজয়ী তালিকা গোপনে তৈরি', আবার কেউ লাইভে এসে বলছে 'এলইডি স্ক্রিন বন্ধ মানেই কিছু একটা ঘটছে।'
এই অনিশ্চয়তার রাতেই ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন গুজব নয়, বাস্তবেই কিছু কেন্দ্রে গণনা স্থগিত রেখে ফলাফল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তাঁদের দাবি, এলইডি স্ক্রিনে গণনার অগ্রগতি বন্ধ হওয়ার পেছনে ‘প্রযুক্তিগত নয়, রাজনৈতিক’ কারণ থাকতে পারে।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোট গণনার সময় মিনিট পরপর এলইডি স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যায়। আবার চালু হলে সংখ্যাগুলো বদলে যায়। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি, কিন্তু তারা বলছে ‘টেকনিক্যাল সমস্যা’। এই ‘টেকনিক্যাল’ কথাটাই এখন সবচেয়ে বড় গুজব।
একই অভিযোগ করেন ছাত্রদল সমর্থিত এজিএস প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। তিনি বলেন, দুপুর ১২টা থেকে কোথাও ৪৫ মিনিট, কোথাও ৪০ মিনিট পর্যন্ত স্ক্রিন বন্ধ। প্রশাসন যদি স্বচ্ছ থাকত, তাহলে ফল গণনা খোলা জায়গায় বা লাইভ ফিডে দেখানো যেত। স্ক্রিন বন্ধ মানেই শিক্ষার্থীদের মনে সন্দেহ তৈরি।
ফেসবুকের চবি-ভিত্তিক কয়েকটি বড় গ্রুপেও রাতে দেখা যায় নানা দাবি প্রত্য দাবি। কেউ লিখছেন, ফলাফল বদলে গেছে, কেউ আবার 'বিজয়ী তালিকা ঠিকই আগেই তৈরি ছিল। কয়েকজন স্ক্রিনে ছবি তুলে পোস্ট দিচ্ছেন কোনো অনুষদে কারা এগিয়ে, কারা পেছনে। এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এলইডি বন্ধ মানেই খেলা শুরু।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলেন, 'গণনা প্রার্থীদের উপস্থিতিতেই হচ্ছে। কিছুক্ষণের জন্য স্ক্রিনে কারিগরি সমস্যা হয়েছিল, সেটি দ্রুত ঠিক করা হয়েছে। কোনো ফল পরিবর্তনের সুযোগ নেই।'
সন্ধ্যার পর থেকেই গণনা কেন্দ্রের বাইরে শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। কেউ লাইভ ভিডিও করছে, কেউ ফোনে ফল আপডেট জানাচ্ছে, আবার কেউ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে নীরব। পাশেই বসে থাকা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা ইসলাম বলেন, এখন চবির প্রতিটি ছাত্রের কানে বাজছে একটাই কথা ‘স্ক্রিন বন্ধ, কিছু একটা হচ্ছে!’ গুজবটা এতটাই শক্তিশালী যে সত্যিকারের ঘোষণাও অনেকে বিশ্বাস করছে না।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না এই পরিস্থিতিকে বললেন ‘ডিজিটাল গুজব–সংক্রমণ’। তাঁর ভাষায়, এটি সোশ্যাল মিডিয়ার ক্লাসিক ইফেক্ট। সামান্য অনিশ্চয়তাই যখন থাকে, তখন মানুষ তথ্যের ঘাটতি পূরণ করে কল্পনা দিয়ে। চবির ভোটে এখন সেটিই ঘটছে।
ফল গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই গুজব–যুদ্ধ যে থামছে না, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ক্যাম্পাসে।
একজন নারী শিক্ষার্থী বললেন, ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত স্ক্রিন যতবার বন্ধ হবে, ততবারই নতুন গুজব জন্ম নেবে।
চবির দীর্ঘ রাতে এখন গুজব, সন্দেহ আর প্রত্যাশা মিলেমিশে একটাই কথা বলছে-সবাই ফল চায়, কিন্তু কেউই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না।'

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা সাংবাদিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকের পুরস্কার পেয়েছেন আমার দেশ প্রতিনিধি নাহিদুল ইসলাম এবং আরটিভি প্রতিনিধি মো. রিয়াদুল ইসলাম। বর্ষসেরা বিশেষ প্রতিবেদন (প্রিন্ট) ক্যাটাগরিতে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি মোস্তাকিম সাদিক এবং অনলাইন
১০ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ের মধ্যে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
১৩ ঘণ্টা আগে
ক্যানসারের সাধারণ কিছু লক্ষণ যা নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ত্বকের পরিবর্তন। যেমন পিণ্ড বা ফোঁড়া যা সহজে রক্তপাত হয়, ক্ষত যা নিরাময় হয় না এবং তিলের আকার বা রঙে পরিবর্তন। এ ছাড়া অস্বাভাবিক ক্লান্তি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, ওজন হ্রাস এবং খাবার বা পান চিবাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫ বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে