ইবিতে শায়খ আহমাদুল্লাহ

শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় মোহাম্মদ (সা.) এর তুলনা বিরল

প্রতিনিধি, ইবি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ০০

শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় মোহাম্মদ (সা.) এর তুলনা বিরল বলে উল্লেখ করেছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) আয়োজিত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে ‘বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুন্নাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সিরাত বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে সিরাতুন নবি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে নবী করিম (সা.) এর জীবনি, আদর্শ এবং শোষণমুক্ত সমাজ নিয়ে কথা বলেছেন সিরাত বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ । তিনি বলেন, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নবী করিম (সা.) এর কাজের তুলনা ইতিহাসে বিরল। আমরা তাঁর বহু নীতিকথা শুনি, উদাহরণ দেখি। কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তিনি নিজেই সেই নীতিগুলো জীবনে অনুসরণ করেছেন এবং প্রমাণ করেছেন। তিনি শুধু কথায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং কাজের মাধ্যমে সব বাস্তবায়ন করেছেন।

ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের বিষয় উল্লেখ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, বর্তমান সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদ ও বৈষম্য যে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে, তা আমাদের সামনে স্পষ্ট। ফিলিস্তিনে যে রকম গণহত্যা চালানো হচ্ছে, শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে এবং সেই সব দেশ যারা মানবাধিকার শিক্ষা দেয়, তারাই এই বর্বরতা সমর্থন করছে এটি গভীর চিন্তার বিষয়।

প্রশ্ন রেখে শায়খ বলেন, নবী করিম (সা.) এর আমলে কি এমন কোনো যুদ্ধ ঘটেছে যেখানে শিশুরা নিহত হয়েছে? মহানবীর শিক্ষা অনুসরণ করলে শান্তি, ন্যায় এবং মানবিক মূল্যবোধ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে, এটাই আমাদের প্রচেষ্টা হওয়াা উচিত। তিনি যে মদিনা সনদ প্রণয়ন করেছিলেন তা আজো পৃথিবীর ইতিহাসে একটি রোল মডেল।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বতন্ত্র গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যেখানে মহানবী (সা.) এর জীবন, আদর্শ ও কর্ম নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করা হবে। সেই গবেষণার ফলাফলকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হবে, যাতে মহানবীর শিক্ষা ও নীতিমালা আরো বিস্তৃতভাবে পৌঁছে যায়।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত