পবিপ্রবির ছাত্র পরিচালকের কক্ষে ঝুলছে শিক্ষক সাইফুলের তালা

প্রতিনিধি, পবিপ্রবি
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৩৪
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৩: ০০

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার। তাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার পর ওই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন সহযোগী অধ্যাপক এবিএম সাইফুল ইসলাম। তার অরাজকতার কারণে সাত দিন ধরে বন্ধ আছে কার্যালয়টি। এতে ছাত্রবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত ৪ আগস্ট রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীরকে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পদ প্রত্যাশী ছিলেন একই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল। তাকে দায়িত্ব না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হন। এরপর তিনি কার্যালয়ে তালা দিয়ে নিজ পদ থেকে ইস্তফা দেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জামায়াতিকরণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতি প্রকাশ করেন এবং নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ণ করছেন।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ছাত্র পরিচালকের দায়িত্ব না পেয়ে ইস্তফা দিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন না সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তবে গতকাল শনিবার বিষয়টি নিয়ে ‘পবিপ্রবি শিক্ষক সাইফুলের ক্যাডারগিরি’ শিরোনামে আমার দেশ-এ সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি পিছু হটেন। এতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হলেও সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে তালা তিনি খোলেননি।

গত শনিবার পবিপ্রবি জনসংযোগ দপ্তরের মাধ্যমে সাইফুলের পদত্যাগের বিপক্ষে প্রতিবাদলিপি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পরিচালকের কক্ষ তালা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি নির্দেশক কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল নির্দেশক কমিটির কাছে পরিচালকের কক্ষের চাবি দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও দেননি সাইফুল।

অধ্যাপক সুজাহাঙ্গীর বলেন, রোববার পরিচালকের কক্ষটি তাকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলে তিনি তা বুঝে পাননি।

সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল তালা মারার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘যেহেতু আমি দায়িত্বে ছিলাম কোথায় কিছু হারিয়ে যেন না যায় তাই চাবি নিয়ে রেখেছি।’

কিন্তু একজন পরিচালক নিয়োগ হওয়ার পরও তার তালা মারার এখতিয়ার আছে কিনা এবং সেখানে ব্যক্তিগত তালা ঝুলানোর নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়েছে এবং একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা খুব দ্রুতই মীমাংসা করে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালকের কক্ষ খুলে দেবে।

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বহন করা সেই প্রিজন ভ্যানে কী আছে

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত