
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার

দেশজুড়ে চলমান সহিংসতা, গাজীপুরে মসজিদের ইমাম অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার এবং বাংলাদেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা ঢাকা কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে সাইন্সল্যাব মোড় ও নীলক্ষেত প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি কলেজের মূল ফটকের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা “নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার”, “ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী”, “ইসকনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা কলেজ শাখার সদস্য মোহাম্মদ মামুন বলেন, “গাজীপুরে আমাদের বোন আশা মনিকে নির্মমভাবে ধর্ষণ এবং অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যার মতো ঘটনা আমরা মেনে নিতে পারি না। খতিব মহিবুল্লাহ ফয়েজীকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ইসকনের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, সাধারণ জনতা রাজপথে এর জবাব দেবে ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “ইসকনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে নৃশংস কর্মকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি ২০১৩ সালে প্রথম আলো পর্যন্ত তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এখনই সময়- এই সংগঠনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার।”
সমাবেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি রেদওয়ান আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, কিন্তু কিছু চক্র ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে, কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার নামে সহিংসতা বা ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। ইসকনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া উচিত।”
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন বলেন, “সম্প্রতি অপহরণ ও হত্যার একাধিক ঘটনার প্যাটার্নে একই রকমতা দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এসব ঘটনার পেছনের শক্তিগুলোকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। তবে যে কোনো উগ্রপন্থী, সহিংস বা রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠনের বিরুদ্ধে আমরা আপোষহীন। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। তারা “ইসকন তুই জঙ্গি”, “ইসকন আর স্বৈরাচার মিলেমিশে একাকার” ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেন।
বিক্ষোভে ঢাবি শিক্ষার্থী মাহতাপ ইসলাম বলেন, “খতিব মহিবুল্লাহকে অপহরণের ঘটনায় ইসকনের সম্পৃক্ততা তদন্ত করা উচিত। আমরা আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় বলছি- এই দেশে কোনো বিদেশি প্রভাবিত সংগঠনের স্থান হবে না।”
অন্যদিকে ঢাবির শিক্ষার্থী সাদমান আব্দুল্লাহ বলেন, “ইসকন শুরু থেকেই একটি উগ্রবাদী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। তারা ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।”
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ইসকনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে সংগঠনটিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, নইলে দেশের তরুণ সমাজ রাজপথে নেমে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। একই রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজী নামের এক ইমাম অপহরণের শিকার হন; একদিন পর তাকে পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতেই শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

দেশজুড়ে চলমান সহিংসতা, গাজীপুরে মসজিদের ইমাম অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার এবং বাংলাদেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা ঢাকা কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে সাইন্সল্যাব মোড় ও নীলক্ষেত প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি কলেজের মূল ফটকের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা “নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার”, “ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী”, “ইসকনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা কলেজ শাখার সদস্য মোহাম্মদ মামুন বলেন, “গাজীপুরে আমাদের বোন আশা মনিকে নির্মমভাবে ধর্ষণ এবং অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যার মতো ঘটনা আমরা মেনে নিতে পারি না। খতিব মহিবুল্লাহ ফয়েজীকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ইসকনের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, সাধারণ জনতা রাজপথে এর জবাব দেবে ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “ইসকনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে নৃশংস কর্মকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি ২০১৩ সালে প্রথম আলো পর্যন্ত তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এখনই সময়- এই সংগঠনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার।”
সমাবেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি রেদওয়ান আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, কিন্তু কিছু চক্র ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা ধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে, কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার নামে সহিংসতা বা ষড়যন্ত্র মেনে নেব না। ইসকনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া উচিত।”
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী জিহাদ হোসেন বলেন, “সম্প্রতি অপহরণ ও হত্যার একাধিক ঘটনার প্যাটার্নে একই রকমতা দেখা যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এসব ঘটনার পেছনের শক্তিগুলোকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। তবে যে কোনো উগ্রপন্থী, সহিংস বা রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠনের বিরুদ্ধে আমরা আপোষহীন। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। তারা “ইসকন তুই জঙ্গি”, “ইসকন আর স্বৈরাচার মিলেমিশে একাকার” ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেন।
বিক্ষোভে ঢাবি শিক্ষার্থী মাহতাপ ইসলাম বলেন, “খতিব মহিবুল্লাহকে অপহরণের ঘটনায় ইসকনের সম্পৃক্ততা তদন্ত করা উচিত। আমরা আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় বলছি- এই দেশে কোনো বিদেশি প্রভাবিত সংগঠনের স্থান হবে না।”
অন্যদিকে ঢাবির শিক্ষার্থী সাদমান আব্দুল্লাহ বলেন, “ইসকন শুরু থেকেই একটি উগ্রবাদী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে। তারা ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।”
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ইসকনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে সংগঠনটিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, নইলে দেশের তরুণ সমাজ রাজপথে নেমে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। একই রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় মুফতি মহিবুল্লাহ মিয়াজী নামের এক ইমাম অপহরণের শিকার হন; একদিন পর তাকে পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতেই শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

লাগাতার ধর্ষণ-নিপীড়ন,উগ্র হিন্দুত্ববাদী অতৎপরতা ও টঙ্গীতে মসজিদের খতিবকে অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বটতলায় এসে শেষ হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য অথবা কিছু খাবার খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা একবার শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত মাথাব্যথা থাকতে পারে, আবার কিছুদিনের মধ্যেই তা ফিরে আসে।
৫ ঘণ্টা আগে
অগ্নিকাণ্ড এখন প্রায় দৈনন্দিন খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ সময় অসতর্কতা, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না থাকা বা নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে আগুন লাগে। এতে মানুষের প্রাণহানি হয় এবং সম্পদেরও বড় ক্ষতি হয়। তবে কিছু সচেতনতা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে আগুন লাগা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৬ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীরা জানান, ২০০২ সালে সর্বশেষ বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। ওই সময় চারদলীয় জোট সমর্থিত সেন্টু-বাদল-নেয়ামুল পরিষদ জয়লাভ করে। এর পর গত ২৩ বছরে কোনো নির্বাচন হয়নি। সম্প্রতি নতুন করে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি ওঠে।
১ দিন আগে