জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) পাঠানো এক লিখিত প্রতিবাদে তারা প্রতিবেদনের সব তথ্যকে “মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে দাবি করে।
প্রতিবাদে জানানো হয়, সংবাদে যে অনিয়ম, পক্ষপাত ও পূর্বনির্ধারিত প্রার্থীকে টিকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে—তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, লিখিত পরীক্ষা থেকে শুরু করে চূড়ান্ত নির্বাচন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া “স্বচ্ছ ও পক্ষপাতহীনভাবে” সম্পন্ন হয়েছে।
সংবাদে ৩৮ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণের কথা বলা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করছে, প্রকৃতপক্ষে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় ২০ জন। কোডিং পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয় এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত কোয়ালিফাইং নম্বর পাওয়া প্রার্থীদেরই ভাইভার জন্য ডাকা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, ভাইভা গ্রহণের সময় প্রার্থীদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় কোনো পক্ষপাত বা বাহ্যিক প্রভাব ছিল না।
সংবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে উপাচার্যের “ঘনিষ্ঠতা” থাকার অভিযোগকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ “কল্পনাপ্রসূত” দাবি করেছে। প্রশাসন দাবি করে, সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক উপাচার্যের পূর্বপরিচিত নন, এমনকি কখনো যোগাযোগও হয়নি।
প্রতিবাদে আরও বলা হয়, যাচাইবাছাই ছাড়া এ ধরনের সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নীতি অনুযায়ী, গুরুতর ধরনের অভিযোগ প্রকাশের আগে যথাযথ তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেন তারা।
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতেই ছাপা হয়েছে। অভিযোগকারীদের বক্তব্য হুবহু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নেওয়ার যথাসম্ভব সাংবাদিকতার নৈতিকতা অনুসরণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনের কোনো তথ্যই প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত মতামত, ব্যাখ্যা বা কল্পনার ওপর ভিত্তি করে লেখা হয়নি। অভিযোগে যাদের নাম এসেছে, তাদের বক্তব্যও সংবাদে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদক ব্যক্তিগতভাবে কোনো তথ্য বিকৃতি বা ভুল উপস্থাপন করেননি।

