চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সুমনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামের খুলশী থানার ৫ নম্বর লেনের ১৭ নম্বর বাসা থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ পাশ থেকে তিনটি চিরকুট পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সুমনের মরদেহ পাশ থেকে পাওয়া ৩টি চিরকুটের মধ্যে ১ ডিসেম্বরের লেখা একটি চিরকুটে লেখা রয়েছে, 'আশাই জীবন আশাই মরন, ব্যর্থতা-হতাশা অন্ধকারে নিয়ে যায়।'
বৃহস্পতিবার লেখা একটি চিরকুটে লেখা রয়েছে, 'আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারো প্রতি কোনো অভিযোগও নেই। সবাই ভালো থাকবেন।'
'আমার সব অভিযোগ নিজের প্রতি। তাই আমার ব্যাপারে জানার চেষ্টা না করাটাই ভালো হবে'— এই লেখা চিরকুটে কোন তারিখ দেওয়া নেই।
জানা যায়, চট্টগ্রামের খুলশীতে মামার বাসায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন সুমন। দুই দিন আগে মামার পরিবার তুরস্কে যাওয়ায় বাসায় দু’ভাইই ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বড় ভাই কাজে বের হয়ে গেলে সুমন সারাদিন একা থাকে। বিকেলে তিনি ভাইকে ফোন করে বাসায় ফিরতে কত সময় লাগবে জানতে চান।
এরপর আর ফোন ধরেননি। মা ও ভাই যোগাযোগ না পেয়ে দারোয়ানকে দিয়ে দরজা পরীক্ষা করান। সাড়া না মেলায় বড় ভাই বাসায় ফিরে দরজা খুলে দেখেন—সুমন ফাঁসিতে ঝুলে আছেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি খুবই মর্মান্তিক। ঘটনার পরই আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। মরদেহ পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়েছে। পরিবারের সম্মতি পেলে পুলিশ ময়নাতদন্ত করবে বলে জানিয়েছে।

