চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ও উস্কানিমূলক স্লোগানের ঘটনায় ক্যাম্পাস নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শাখা ছাত্রশিবির।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
কর্মসূচিতে শিবিরের নেতাকর্মীরা ‘এই মুহূর্তে দরকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস’, ‘চাঁদাবাজদের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘লাল সন্ত্রাসের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আদুভাইরা অবরোধ করে, প্রশাসন কি করে?’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ছাত্রদল-বিএনপির বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে এসে হামলা চালাবে আর প্রশাসন এসি রুমে বসে তা মনিটরিং করবে—এমন পরিস্থিতি মেনে নেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে নিরাপত্তা দপ্তরের প্রহরীরা ব্যর্থ হয়েছেন। এই নিরাপত্তা দপ্তর দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
এ সময় শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, গত সোমবার চলমান আন্দোলনের সময় সন্ধ্যার পর হাটহাজারী থেকে স্থানীয় বিএনপি-ছাত্রদলের দুইশ থেকে তিনশো জনের একটি বহর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেইট অবরোধ করে ‘ধর ধর শিবির ধর, জবাই কর’ স্লোগান দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটি প্রথম ঘটনা যে বহিরাগতরা এসে ক্যাম্পাস অবরোধ করে।
উল্লেখ্য, চবি উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল, বাম সংগঠন ও শিবির নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের প্রেক্ষিতেই ওইদিন জিরো পয়েন্টে এ অবস্থান নেয় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় হাটহাজারী যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও মেখল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জিএম সাইফুল ইসলাম ‘ধর ধর শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ স্লোগান দেন।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

