দেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সমুদ্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নৌবাহিনী নিয়মিত টহল পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে টহল চলাকালে কুতুবদিয়া বহিঃনোঙর এলাকা থেকে মিয়ানমারে অবৈধভাবে সিমেন্ট পাচারকালে দুটি ইঞ্জিন চালিত বোট আটক করা হয়। এসময় ১৭৫০ বস্তা সিমেন্ট উদ্ধার করার পাশাপাশি ২৩ জন চোরাকারবারিকে আটক করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
এর আগে, ইঞ্জিন চালিত বোটের মাধ্যমে সমুদ্রপথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মায়ানমারে সিমেন্ট পাচার করার গোপন সংবাদ পায় নৌবাহিনী, যার প্রেক্ষিতে সেন্টমার্টিন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।
টহল কাজে নিয়োজিত ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ শহীদ মহিবুল্লাহ। কুতুবদিয়া বাতিঘর হতে ৪৬ মাইল অদূরে সন্দেহজনক দুটি কাঠের বোট দেখতে পেয়ে নৌবাহিনী জাহাজ বোট দুটিকে তল্লাশির লক্ষ্যে থামার সংকেত প্রদান করে। তবে বোট দুটি সংকেত পেয়ে না থেমে পালানোর চেষ্টা করে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ মহিবুল্লাহ ধাওয়া করে ‘এফবি আজিজুল হক’ এবং ‘এফবি রুনা আক্তার’ নামক দুইটি বোট আটক করে। আটককৃত বোটগুলো তল্লাশি করে ১৭৫০ বস্তা বাংলাদেশি ডায়মন্ড সিমেন্ট এবং ৩২টি মোবাইল জব্দ করা হয়। এ সময় চোরাকারবারি দলের ২৩জন সদস্যকেও আটক করা হয়। আটকৃত ব্যক্তিদের সূত্রে জানা যায়, অধিক মুনাফা লাভের আশায় তারা সিমেন্টগুলো মায়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল ও আটকৃত ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পতেঙ্গা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা বজায় রাখার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস, মাদক চোরাচালান ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে নৌবাহিনীর অভিযান ও টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

