মুহিব্বুল্লাহ কাফি
মহাসাগরের বিশাল জলরাশিতে ২ লাখ ২৮ হাজার ৪৫০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদের বসবাস রয়েছে। এর মধ্যে পাইপ ফিশ অন্যতম (Pipe Fish) । পাইপ ফিশ দেখতে ছোট মুখবিশিষ্ট সোজা দেহের সমুদ্র ঘোড়ার মতো । ‘পাইপ’ নামটি এসেছে থুতুর অদ্ভুত আকৃতি থেকে, যা লম্বা নলের মতো। যার শেষ অংশটি সরু এবং ছোট মুখ দিয়ে তৈরি, যা ওপরের দিকে খোলে। দাঁতহীন এই প্রাণীটির দেহ এবং লেজ লম্বা ও পাতলা।
দেখতে অনেকটা সাপের মতো। পাইপ ফিশ খুব সরু, লম্বা দেহের মাছ, যা হাড়ের বর্মের বলয় দিয়ে আবৃত। তাদের লম্বা নলাকার থুতু এবং ছোট মুখ, একটি একক পৃষ্ঠীয় পাখনা এবং সাধারণত একটি ছোট লেজের পাখনা থাকে। পাইপ ফিশের বেশির ভাগ প্রজাতি ৩৫-৪০ সেমি (১৪-১৫ দশমিক ৫ ইঞ্চি) লম্বা হয়ে থাকে।
পাইপ ফিশ ছোট জলজ প্রাণীর ওপর আক্রমণ করে এবং দ্রুত মুখে পুরে নেয়। এরা খাবার চুষে খেতে পছন্দ করে। প্রত্যেকের একটি অত্যন্ত পরিবর্তিত কঙ্কাল রয়েছে, যা বর্মযুক্ত আস্তরণে তৈরি। এই ত্বকের কঙ্কালের বেশ কয়েকটি অনুদৈর্ঘ্য শিলা রয়েছে, তাই শরীরের মধ্য দিয়ে একটি উল্লম্ব অংশ কৌণিক দেখায়, অন্যান্য মাছের মতো গোলাকার বা ডিম্বাকৃতি নয়।
সমুদ্রের জলরাশিতে ভেলন সারিয়া নামে এক ধরনের ঘাস আছে । সেই ঘাসের ভেতরেই এরা বাসস্থান গড়ে নেয়। বিশেষ করে ইলগ্রাস, প্রবাল প্রাচীরেও এদের দেখা মেলে। ভেলেন সারিয়া ঘাসের আড়ালে পাইপ ফিশ লুকিয়ে থাকায় অন্যান্য জলজ ও মাছখেকো প্রাণীরা এদের খুব একটা দেখতে পায় না।
বেশির ভাগ পাইপ ফিশের জীবনযাপন সমুদ্রকেন্দ্রিক। তবে কয়েক প্রজাতির পাইপ ফিশ মিঠা পানিতেও বাস করে । এদের বসবাসের স্থান সাধারণত ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের উপকূলে এগুলো প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কিছু প্রজাতির পাইপ ফিশের লেজ প্রিহেনসিল থাকে, যেমন সামুদ্রিক ঘোড়ার ক্ষেত্রে ।
বেশির ভাগ পাইপ ফিশের পুচ্ছ পাখনার কিছু রূপ থাকে (সামুদ্রিক ঘোড়ার বিপরীতে), যা চলাচলের জন্য ব্যবহার করে থাকে। যদিও পাইপ ফিশ সামুদ্রিক প্রাণী, তবু এরা খুব ভালো সাঁতার জানে না। তবে কিছু প্রজাতির পাইপ ফিশের পুচ্ছ পাখনা আরো উন্নত, যেমন ফ্ল্যাগটেইল পাইপ ফিশ, যারা বেশ শক্তিশালী সাঁতারু।
পাইপ ফিশের প্রজনন প্রক্রিয়াটি খুব অদ্ভুত। আমরা জানি গর্ভধারণ করে স্ত্রী প্রজাতির প্রাণী। কিন্তু আল্লাহতায়ালা তার রহস্য গেঁথে রেখেছেন স্তরে স্তরে, যা বোঝা ভার। কেননা, গর্ভধারণের ক্ষেত্রে পাইপ ফিশ ও সি-হর্স ফিশের পুরুষরাই গর্ভধারণ করে এবং বাচ্চা প্রসব করে।
বাচ্চারা জন্মের পর থেকেই স্বাধীনভাবে সাঁতার কাটতে শুরু করে এবং তারা তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য খাওয়া শুরু করে। ডিম ফুটে বের হওয়ার পর থেকে বাচ্চা পাইপ ফিশরা তাদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যায়। তবে এই পাইপ ফিশরা তাদের একেক বাচ্চার জন্য একেক ধরনের যত্নআত্তি করে থাকে। ছানা যদি সুস্থ-সবল হয়, তাহলে সেটির প্রতি তেমন একটা নজর দেয় না। তবে যদি বাচ্চা দুর্বল হয়, তাহলে তাকে চোখে চোখে রেখে যত্ন করে বড় করে তোলে বাবা পাইপ ফিশই।
পাইপ ফিশের কিছু পোনা ছোট লার্ভা পর্যায়ের হয় এবং অল্প সময়ের জন্য প্লাঙ্কটন হিসেবে বেঁচে থাকে । অন্যরা তাদের বাবা-মায়ের সম্পূর্ণরূপে বিকশিত কিন্তু ক্ষুদ্র সংস্করণ, তারা অবিলম্বে তাদের বাবা-মায়ের মতো একই আচরণ করে।
মহাসাগরের বিশাল জলরাশিতে ২ লাখ ২৮ হাজার ৪৫০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদের বসবাস রয়েছে। এর মধ্যে পাইপ ফিশ অন্যতম (Pipe Fish) । পাইপ ফিশ দেখতে ছোট মুখবিশিষ্ট সোজা দেহের সমুদ্র ঘোড়ার মতো । ‘পাইপ’ নামটি এসেছে থুতুর অদ্ভুত আকৃতি থেকে, যা লম্বা নলের মতো। যার শেষ অংশটি সরু এবং ছোট মুখ দিয়ে তৈরি, যা ওপরের দিকে খোলে। দাঁতহীন এই প্রাণীটির দেহ এবং লেজ লম্বা ও পাতলা।
দেখতে অনেকটা সাপের মতো। পাইপ ফিশ খুব সরু, লম্বা দেহের মাছ, যা হাড়ের বর্মের বলয় দিয়ে আবৃত। তাদের লম্বা নলাকার থুতু এবং ছোট মুখ, একটি একক পৃষ্ঠীয় পাখনা এবং সাধারণত একটি ছোট লেজের পাখনা থাকে। পাইপ ফিশের বেশির ভাগ প্রজাতি ৩৫-৪০ সেমি (১৪-১৫ দশমিক ৫ ইঞ্চি) লম্বা হয়ে থাকে।
পাইপ ফিশ ছোট জলজ প্রাণীর ওপর আক্রমণ করে এবং দ্রুত মুখে পুরে নেয়। এরা খাবার চুষে খেতে পছন্দ করে। প্রত্যেকের একটি অত্যন্ত পরিবর্তিত কঙ্কাল রয়েছে, যা বর্মযুক্ত আস্তরণে তৈরি। এই ত্বকের কঙ্কালের বেশ কয়েকটি অনুদৈর্ঘ্য শিলা রয়েছে, তাই শরীরের মধ্য দিয়ে একটি উল্লম্ব অংশ কৌণিক দেখায়, অন্যান্য মাছের মতো গোলাকার বা ডিম্বাকৃতি নয়।
সমুদ্রের জলরাশিতে ভেলন সারিয়া নামে এক ধরনের ঘাস আছে । সেই ঘাসের ভেতরেই এরা বাসস্থান গড়ে নেয়। বিশেষ করে ইলগ্রাস, প্রবাল প্রাচীরেও এদের দেখা মেলে। ভেলেন সারিয়া ঘাসের আড়ালে পাইপ ফিশ লুকিয়ে থাকায় অন্যান্য জলজ ও মাছখেকো প্রাণীরা এদের খুব একটা দেখতে পায় না।
বেশির ভাগ পাইপ ফিশের জীবনযাপন সমুদ্রকেন্দ্রিক। তবে কয়েক প্রজাতির পাইপ ফিশ মিঠা পানিতেও বাস করে । এদের বসবাসের স্থান সাধারণত ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের উপকূলে এগুলো প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কিছু প্রজাতির পাইপ ফিশের লেজ প্রিহেনসিল থাকে, যেমন সামুদ্রিক ঘোড়ার ক্ষেত্রে ।
বেশির ভাগ পাইপ ফিশের পুচ্ছ পাখনার কিছু রূপ থাকে (সামুদ্রিক ঘোড়ার বিপরীতে), যা চলাচলের জন্য ব্যবহার করে থাকে। যদিও পাইপ ফিশ সামুদ্রিক প্রাণী, তবু এরা খুব ভালো সাঁতার জানে না। তবে কিছু প্রজাতির পাইপ ফিশের পুচ্ছ পাখনা আরো উন্নত, যেমন ফ্ল্যাগটেইল পাইপ ফিশ, যারা বেশ শক্তিশালী সাঁতারু।
পাইপ ফিশের প্রজনন প্রক্রিয়াটি খুব অদ্ভুত। আমরা জানি গর্ভধারণ করে স্ত্রী প্রজাতির প্রাণী। কিন্তু আল্লাহতায়ালা তার রহস্য গেঁথে রেখেছেন স্তরে স্তরে, যা বোঝা ভার। কেননা, গর্ভধারণের ক্ষেত্রে পাইপ ফিশ ও সি-হর্স ফিশের পুরুষরাই গর্ভধারণ করে এবং বাচ্চা প্রসব করে।
বাচ্চারা জন্মের পর থেকেই স্বাধীনভাবে সাঁতার কাটতে শুরু করে এবং তারা তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য খাওয়া শুরু করে। ডিম ফুটে বের হওয়ার পর থেকে বাচ্চা পাইপ ফিশরা তাদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যায়। তবে এই পাইপ ফিশরা তাদের একেক বাচ্চার জন্য একেক ধরনের যত্নআত্তি করে থাকে। ছানা যদি সুস্থ-সবল হয়, তাহলে সেটির প্রতি তেমন একটা নজর দেয় না। তবে যদি বাচ্চা দুর্বল হয়, তাহলে তাকে চোখে চোখে রেখে যত্ন করে বড় করে তোলে বাবা পাইপ ফিশই।
পাইপ ফিশের কিছু পোনা ছোট লার্ভা পর্যায়ের হয় এবং অল্প সময়ের জন্য প্লাঙ্কটন হিসেবে বেঁচে থাকে । অন্যরা তাদের বাবা-মায়ের সম্পূর্ণরূপে বিকশিত কিন্তু ক্ষুদ্র সংস্করণ, তারা অবিলম্বে তাদের বাবা-মায়ের মতো একই আচরণ করে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
২২ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
১ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
১ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচার
২ ঘণ্টা আগে