মোহাম্মদ শাহজাহান
তুবার মন খারাপ।
বারান্দায় তুবা ফুলের বাগান করেছে। টবে ক্যাকটাস, গোলাপ ও ডায়ান্থাস। তার প্রিয় ফুল ডায়ান্থাস। তুবা মুখ ভার করে বারান্দার সামনে এসে দাঁড়িয়ে চিন্তা করছে, তার গাছে কোনো ফুল নেই। ঝিরঝির বাতাস তার ঘন কালো চুলের গুচ্ছ উড়িয়ে দিয়ে যায়। মনে মনে ভাবে, কত দিন হয়ে গেল একটি ফুলও ফুটল না। ডায়ান্থাস ফুলের গাছটি এনেছে বাবাকে দিয়ে। এই ফুলটি দেখতে ছোট্ট। পাপড়িগুলো গোলাপি, মাঝখানে গাঢ় লাল রঙ। সে ডায়ান্থাস ফুলের গল্প তার মায়ের কাছে শুনেছে। তার অনেক দিনের ইচ্ছা—এই ফুল গাছটি বাগানে শোভা বর্ধন করুক। তার বন্ধু টুনটুনি, প্রজাপতি ও মৌমাছি। তারা হইচই করে হাসি মুখে সবার প্রাণ ভরিয়ে দেবে বাগানের ফুল দেখে।
তুবা এবার পঞ্চম শ্রেণিতে, লেখাপড়ায় ভালো। রোজ স্কুল থেকে ফিরে বারান্দার বাগানের পরিচর্যা করে। ফুলের আশা নিয়ে দিন যায় ওর। একদিন তুবার বেশি বেশি মন খারাপ। বারান্দার এক কোনায় দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। এমন সময় বন্ধু টুনটুনি এসে বলল, ‘বন্ধু, তোমার কী হয়েছে? কাঁদছ কেন?’
তুবা বলল, ‘বন্ধু, আমার প্রিয় ফুল ডায়ান্থাস আজও ফুটল না। আমি রোজ কত সেবা করি এদের।’
‘ও... এই কথা! বন্ধু, তুমি মন খারাপ কোরো না। ধৈর্য ধরো। একদিন ঠিকই তোমার বাগানে ফুল ফুটবে। পাখিরা গান গাইবে তার স্বাধীন সুর দিয়ে। মৌমাছি তার মধু নেবে চুপিচুপি। প্রজাপতি ঘুরবে তার রঙিন পাখার রঙের বাহার নিয়ে। আবার দেখা হবে বন্ধু।’ এই বলে টুনটুনি ফুরুত করে উড়ে চলে যায়।
একটা প্রজাপতি ঘুরতে ঘুরতে এলো তার বাগানে। প্রজাপতি তার রঙ ছড়িয়ে বলল, ‘বন্ধু, তোমার মন খারাপ কেন? কী হয়েছে তোমার?’
তুবা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে দুচোখের জল ডান হাতে মুছতে মুছতে বলল, ‘আজ কত দিন হলো বন্ধু, আমার বাগানে একটিও ফুল ফুটল না। তাই আমার কোনো কিছুই ভালো লাগছে না।’
প্রজাপতি বলল, ‘ও... এই কথা! বন্ধু, মন খারাপ কোরো না। সবুর করো। সবুরে মেওয়া ফলে। তুমি ধৈর্য ধরো। একদিন দেখবে তোমার বাগানে অনেক ফুল ফুটেছে। আবার দেখা হবে।’ এ কথা বলে প্রজাপতিও চলে যায়।
মৌমাছি ভোঁ-ভোঁ শব্দ করে বারান্দার এক কোনায় উড়তে থাকে। দেখে গ্রিলে মাথা রেখে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে তুবা। আর নীল আকাশকে বলছে, ‘হে নীল আকাশ, তুমি কি আমার কথা শুনছ?’
এমন সময় মৌমাছি বলল, ‘বন্ধু, আকাশ শুনতে পাচ্ছে কি না জানি না, তবে আমি শুনতে পাচ্ছি তোমার মনের কথা।’
তুবা ঘুরে তাকায়। দেখে মৌমাছি তার কানের কাছে এসে বলছে, ‘মন খারাপ কেন, বন্ধু?’
তুবা সেই একই কথা বলল মৌমাছিকে। আরো বলল, ‘তুমি শুধু শুধু এসেছ কেন? বাগানে তো ফুল নেই। তুমি মধু নেবে কী করে? তুমি অন্য বাগানে যাও।’
মৌমাছি হেসে বলল, ‘তুমি না আমার প্রিয় বন্ধু। ফুল তো একদিন না একদিন ফুটবেই আমি জানি। তাই তোমার বাগানে আসি। দেখে যাই আমার প্রিয় বন্ধুর নিজের হাতে করা বাগানটি।’
এ কথা শুনে তুবার গভীর মনটা কেমন যেন করে উঠল। সে মৌমাছিকে বলল, ‘বন্ধু, তোমরা আমাকে এত ভালোবাস!’
এই বলে তুবা কাঁদতে কাঁদতেই হেসে ফেলল । এমন সময় তার বড় বোন ডেকে উঠল, ‘তুবা, তুবা, ওঠ্, ওঠ্, সকাল হয়ে গেছে। স্কুলে যাবি না? সময় হয়ে গেছে, তাড়াতাড়ি ওঠ্।’
তুবার ঘুমটা ভেঙে যায়। বিছানায় উঠে বসে। আর ভাবে, ‘এ কী দেখলাম! দেখি তো আমার বাগানে ফুল ফুটেছে কি না?’ দুহাতে চোখ কচলাতে কচলাতে দৌড়ে বারান্দায় যায়। দেখে সূর্যের মিষ্টি আলোয় বাগান ঝলমল করছে। টবে সত্যি সত্যিই তার কাঙ্ক্ষিত ডায়ান্থাস ফুল ফুটেছে। তার সঙ্গে একটি লাল টুকটুকে গোলাপও ফুটেছে। এই দেখে তুবা চিৎকার করে ডাকতে থাকে, ‘ও শুভা আপু, ও আমার ভাইয়া, দেখে যাও, দেখে যাও—আমার বাগানে কত ফুল ফুটেছে!’
এদিকে মৌমাছি, প্রজাপতি ও টুনটুনি সবাই প্রাণ খুলে হইচই করছে।
তুবার মন খারাপ।
বারান্দায় তুবা ফুলের বাগান করেছে। টবে ক্যাকটাস, গোলাপ ও ডায়ান্থাস। তার প্রিয় ফুল ডায়ান্থাস। তুবা মুখ ভার করে বারান্দার সামনে এসে দাঁড়িয়ে চিন্তা করছে, তার গাছে কোনো ফুল নেই। ঝিরঝির বাতাস তার ঘন কালো চুলের গুচ্ছ উড়িয়ে দিয়ে যায়। মনে মনে ভাবে, কত দিন হয়ে গেল একটি ফুলও ফুটল না। ডায়ান্থাস ফুলের গাছটি এনেছে বাবাকে দিয়ে। এই ফুলটি দেখতে ছোট্ট। পাপড়িগুলো গোলাপি, মাঝখানে গাঢ় লাল রঙ। সে ডায়ান্থাস ফুলের গল্প তার মায়ের কাছে শুনেছে। তার অনেক দিনের ইচ্ছা—এই ফুল গাছটি বাগানে শোভা বর্ধন করুক। তার বন্ধু টুনটুনি, প্রজাপতি ও মৌমাছি। তারা হইচই করে হাসি মুখে সবার প্রাণ ভরিয়ে দেবে বাগানের ফুল দেখে।
তুবা এবার পঞ্চম শ্রেণিতে, লেখাপড়ায় ভালো। রোজ স্কুল থেকে ফিরে বারান্দার বাগানের পরিচর্যা করে। ফুলের আশা নিয়ে দিন যায় ওর। একদিন তুবার বেশি বেশি মন খারাপ। বারান্দার এক কোনায় দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। এমন সময় বন্ধু টুনটুনি এসে বলল, ‘বন্ধু, তোমার কী হয়েছে? কাঁদছ কেন?’
তুবা বলল, ‘বন্ধু, আমার প্রিয় ফুল ডায়ান্থাস আজও ফুটল না। আমি রোজ কত সেবা করি এদের।’
‘ও... এই কথা! বন্ধু, তুমি মন খারাপ কোরো না। ধৈর্য ধরো। একদিন ঠিকই তোমার বাগানে ফুল ফুটবে। পাখিরা গান গাইবে তার স্বাধীন সুর দিয়ে। মৌমাছি তার মধু নেবে চুপিচুপি। প্রজাপতি ঘুরবে তার রঙিন পাখার রঙের বাহার নিয়ে। আবার দেখা হবে বন্ধু।’ এই বলে টুনটুনি ফুরুত করে উড়ে চলে যায়।
একটা প্রজাপতি ঘুরতে ঘুরতে এলো তার বাগানে। প্রজাপতি তার রঙ ছড়িয়ে বলল, ‘বন্ধু, তোমার মন খারাপ কেন? কী হয়েছে তোমার?’
তুবা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে দুচোখের জল ডান হাতে মুছতে মুছতে বলল, ‘আজ কত দিন হলো বন্ধু, আমার বাগানে একটিও ফুল ফুটল না। তাই আমার কোনো কিছুই ভালো লাগছে না।’
প্রজাপতি বলল, ‘ও... এই কথা! বন্ধু, মন খারাপ কোরো না। সবুর করো। সবুরে মেওয়া ফলে। তুমি ধৈর্য ধরো। একদিন দেখবে তোমার বাগানে অনেক ফুল ফুটেছে। আবার দেখা হবে।’ এ কথা বলে প্রজাপতিও চলে যায়।
মৌমাছি ভোঁ-ভোঁ শব্দ করে বারান্দার এক কোনায় উড়তে থাকে। দেখে গ্রিলে মাথা রেখে দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে তুবা। আর নীল আকাশকে বলছে, ‘হে নীল আকাশ, তুমি কি আমার কথা শুনছ?’
এমন সময় মৌমাছি বলল, ‘বন্ধু, আকাশ শুনতে পাচ্ছে কি না জানি না, তবে আমি শুনতে পাচ্ছি তোমার মনের কথা।’
তুবা ঘুরে তাকায়। দেখে মৌমাছি তার কানের কাছে এসে বলছে, ‘মন খারাপ কেন, বন্ধু?’
তুবা সেই একই কথা বলল মৌমাছিকে। আরো বলল, ‘তুমি শুধু শুধু এসেছ কেন? বাগানে তো ফুল নেই। তুমি মধু নেবে কী করে? তুমি অন্য বাগানে যাও।’
মৌমাছি হেসে বলল, ‘তুমি না আমার প্রিয় বন্ধু। ফুল তো একদিন না একদিন ফুটবেই আমি জানি। তাই তোমার বাগানে আসি। দেখে যাই আমার প্রিয় বন্ধুর নিজের হাতে করা বাগানটি।’
এ কথা শুনে তুবার গভীর মনটা কেমন যেন করে উঠল। সে মৌমাছিকে বলল, ‘বন্ধু, তোমরা আমাকে এত ভালোবাস!’
এই বলে তুবা কাঁদতে কাঁদতেই হেসে ফেলল । এমন সময় তার বড় বোন ডেকে উঠল, ‘তুবা, তুবা, ওঠ্, ওঠ্, সকাল হয়ে গেছে। স্কুলে যাবি না? সময় হয়ে গেছে, তাড়াতাড়ি ওঠ্।’
তুবার ঘুমটা ভেঙে যায়। বিছানায় উঠে বসে। আর ভাবে, ‘এ কী দেখলাম! দেখি তো আমার বাগানে ফুল ফুটেছে কি না?’ দুহাতে চোখ কচলাতে কচলাতে দৌড়ে বারান্দায় যায়। দেখে সূর্যের মিষ্টি আলোয় বাগান ঝলমল করছে। টবে সত্যি সত্যিই তার কাঙ্ক্ষিত ডায়ান্থাস ফুল ফুটেছে। তার সঙ্গে একটি লাল টুকটুকে গোলাপও ফুটেছে। এই দেখে তুবা চিৎকার করে ডাকতে থাকে, ‘ও শুভা আপু, ও আমার ভাইয়া, দেখে যাও, দেখে যাও—আমার বাগানে কত ফুল ফুটেছে!’
এদিকে মৌমাছি, প্রজাপতি ও টুনটুনি সবাই প্রাণ খুলে হইচই করছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে