স্টাফ রিপোর্টার
জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, সব শিশুকে টাইফয়েডের টিকার সুযোগ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে কেউ যেন বাদ না যায়। কারণ, একটি শিশু বাদ পড়া মানে একটি পরিবার ঝুঁকিতে থাকা। জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, কোনো অজুহাতে শিশুকে বাদ দেওয়া যাবে না। প্রত্যেক ঘরের কাজের মানুষ, বস্তির শিশুরাও এই টিকার আওতায় আসতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫-এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে প্রচারণার ঘাটতি ও সামাজিক উদাসীনতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার ঘরে নাতি-নাতনি আছে, কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে—কেউ বলেনি যে টাইফয়েডের টিকা নিচ্ছে। মানে আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি।’
নূর জাহান বেগম বলেন, ‘ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। অথচ আজও আমাদের দেশের শিশুরা টাইফয়েডে মারা যায়, কেউ কেউ স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হয়।
এটা আমাদের জন্য লজ্জার, কারণ টাইফয়েড কোনো জটিল বা অজানা রোগ নয়—এটি পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য। দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছি, আমি বিশ্বাস করি, আমরা এবারও সফল হবো।”
তিনি আরও বলেন, ‘টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা অল্প বয়সী শিশুদের জীবন বিপন্ন করে। অথচ পরিবারগুলো এর গুরুত্ব বোঝে না, এমনকি অনেকেই জানে না যে টাইফয়েডের টিকা এখন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। এটা আমাদের যোগাযোগের ঘাটতি। টিকা নিয়ে মানুষ যেন ভয় বা বিভ্রান্তিতে না থাকে, সেই প্রচারণা বাড়াতে হবে। স্কুল, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার—সব জায়গায় বার্তা পৌঁছাতে হবে।
তবে এটা শুধু সরকারের কাজ নয়। ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মী—সবার অংশগ্রহণ দরকার। সংবাদমাধ্যমও এই কাজের বড় সহযোদ্ধা। স্বাস্থ্য খাত একা সফল হতে পারে না, সামাজিক সহযোগিতাই আমাদের মূল শক্তি।’
টিকাদান কার্যক্রমে প্রশাসনিক জটিলতা না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টাইফয়েডের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন যেন কষ্টকর না হয়। সবার জন্য এটি সহজ, বিনামূল্যে এবং গ্রহণযোগ্য রাখতে হবে। আমাদের মানুষকে বুঝাতে হবে—এটা বিলাসিতা নয়, বেঁচে থাকার প্রয়োজন।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে আমাদের সবচেয়ে সফল কর্মসূচি হচ্ছে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। টাইফয়েডও অচিরেই এই নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আসবে বলে আশা করছি।
এ জন্য আমাদের সক্ষম জনবল তৈরি করতে হবে। মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের এই টিকাদানে যুক্ত করা হলে মাঠ পর্যায়ে কাজ আরও গতিশীল হবে।’
জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, সব শিশুকে টাইফয়েডের টিকার সুযোগ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে কেউ যেন বাদ না যায়। কারণ, একটি শিশু বাদ পড়া মানে একটি পরিবার ঝুঁকিতে থাকা। জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, কোনো অজুহাতে শিশুকে বাদ দেওয়া যাবে না। প্রত্যেক ঘরের কাজের মানুষ, বস্তির শিশুরাও এই টিকার আওতায় আসতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫-এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে প্রচারণার ঘাটতি ও সামাজিক উদাসীনতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার ঘরে নাতি-নাতনি আছে, কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে—কেউ বলেনি যে টাইফয়েডের টিকা নিচ্ছে। মানে আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি।’
নূর জাহান বেগম বলেন, ‘ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। অথচ আজও আমাদের দেশের শিশুরা টাইফয়েডে মারা যায়, কেউ কেউ স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হয়।
এটা আমাদের জন্য লজ্জার, কারণ টাইফয়েড কোনো জটিল বা অজানা রোগ নয়—এটি পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য। দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছি, আমি বিশ্বাস করি, আমরা এবারও সফল হবো।”
তিনি আরও বলেন, ‘টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা অল্প বয়সী শিশুদের জীবন বিপন্ন করে। অথচ পরিবারগুলো এর গুরুত্ব বোঝে না, এমনকি অনেকেই জানে না যে টাইফয়েডের টিকা এখন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। এটা আমাদের যোগাযোগের ঘাটতি। টিকা নিয়ে মানুষ যেন ভয় বা বিভ্রান্তিতে না থাকে, সেই প্রচারণা বাড়াতে হবে। স্কুল, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টার—সব জায়গায় বার্তা পৌঁছাতে হবে।
তবে এটা শুধু সরকারের কাজ নয়। ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মী—সবার অংশগ্রহণ দরকার। সংবাদমাধ্যমও এই কাজের বড় সহযোদ্ধা। স্বাস্থ্য খাত একা সফল হতে পারে না, সামাজিক সহযোগিতাই আমাদের মূল শক্তি।’
টিকাদান কার্যক্রমে প্রশাসনিক জটিলতা না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টাইফয়েডের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন যেন কষ্টকর না হয়। সবার জন্য এটি সহজ, বিনামূল্যে এবং গ্রহণযোগ্য রাখতে হবে। আমাদের মানুষকে বুঝাতে হবে—এটা বিলাসিতা নয়, বেঁচে থাকার প্রয়োজন।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে আমাদের সবচেয়ে সফল কর্মসূচি হচ্ছে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। টাইফয়েডও অচিরেই এই নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আসবে বলে আশা করছি।
এ জন্য আমাদের সক্ষম জনবল তৈরি করতে হবে। মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ইন্টার্ন ডাক্তারদের এই টিকাদানে যুক্ত করা হলে মাঠ পর্যায়ে কাজ আরও গতিশীল হবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে