অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইআরপিপি স্বাস্থ্যকর্মীদের

ঢাবি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫, ১৬: ২৩

চাকরি স্থায়ীকরণ ও অবিলম্বে বকেয়া বেতনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ারডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আউটসোর্সিং কর্মীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

ইআরপিপি স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, পাঁচ মাস ধরে বেতন নেই। পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেউ আবার চাকরির বয়সসীমা পার করে এখন আর নতুন কোথাও আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন না। এর মধ্যেই প্রকল্প শেষের অজুহাতে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অথচ করোনা মহামারীতে প্রত্যেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার বেলা ১১টা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন ইআরপিপি স্বাস্থ্যকর্মীরা।

তাদের প্রধান দাবি স্থায়ীকরণের মাধ্যমে চাকরি বহাল রাখতে এবং রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির লিখিত নিশ্চয়তা। সেইসঙ্গে গত চার মাসের বকেয়া ভাতা অবিলম্বে পরিশোধ করার। দাবি না মানলে প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

নিপসমে কর্মরত ইআরপিপি’র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আবু সুফিয়ান বলেন, প্রায় পাঁচ বছর এই প্রকল্পে কাজ করেছি। এখন বয়স ৩৫ ছাড়িয়েছে। সরকারি চাকরির আবেদনের শেষ সীমা পেরিয়ে গেছি। এখন নতুন অদক্ষ জনবল নেয়ার চেষ্টা চলছে। এটা শুধু অবিচার না, আমাদের মর্যাদায় আঘাত।

ইআরপিপি প্রকল্পের আওতায় কর্মরত এসব স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, করোনার সময় গড়ে তোলা আরটি-পিসিআর ল্যাব, ডেডিকেটেড আইসিইউ বা আইসোলেশন ইউনিটে তারাই প্রথম দিন থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ সেই পদে নতুন লোক নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে।

তারা বলছেন, যেটুকু প্রাপ্য, সেটুকু চাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্প চলবে, তবে আমাদের চাকরি কেড়ে নেয়া হলো। আমাদের রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত না করে অন্যদের সুযোগ দেওয়া মানে অবিচারকে পুরস্কৃত করা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত