বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০টি ভূমিকম্প রেকর্ড করেছে ভূমিকম্প মনিটরিং ওয়েবসাইট আর্থকোয়াকট্র্যাকার ডটকম। শুক্রবারের কম্পনের রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার রাজধানী ও আশপাশে ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও তিনবার মৃদু কম্পন অনুভূত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘন ঘন ভূকম্পন কোনোভাবেই ভালো লক্ষণ নয়।
রোববার দুপুরের আপডেটে আর্থকোয়াকট্র্যাকার জানিয়েছে, শুধু গত একদিনেই বিশ্বজুড়ে ৯১টি কম্পন হয়েছে। গত সাতদিনে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫২-এ।
শুক্রবার বাংলাদেশে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রাজধানীসহ সারা দেশে অনুভূত হয় কম্পনটি। আতঙ্কে অনেকে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। কেউ কেউ ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন। এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। নরসিংদীতে মারা গেছেন পাঁচজন, ঢাকায় চারজন এবং নারায়ণগঞ্জে একজন।
ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিদ্যমান সক্ষমতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ডা. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি বিবেচনায় সমগ্র বাংলাদেশকে মোট তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চঝুঁকির আওতাভুক্ত অঞ্চলকে জোন-১, মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা জোন-২ এবং জোন-৩-এর এলাকা নিম্ন ঝুঁকিপ্রবণ হিসাবে চিহ্নিত। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক মানচিত্রে দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৯১টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘আর্থকোয়াকট্র্যাকার ডটকম’।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সারা দেশ। এই ভূমিকম্পে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
নরসিংদীতে পাঁচ, ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত অনেকেই ভবন থেকে লাফ দেন, কিছু ভবন হেলে পড়ে ও ফাটল ধরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন ভূমিকম্পের ঘটনা বড় ধরনের ভূকম্পনের পূর্বাভাস হতে পারে। তাই জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

