বুক রিভিউ
ডক্টর মোবাশ্বার হাসান
‘ক্রসফায়ারের নীলনকশা’ বইটি বাংলাদেশের একটি কালো অধ্যায়ের উপাখ্যান। সাংবাদিক ও লেখক আবু সুফিয়ানের এই অসামান্য সৃষ্টি আমাদের মনে করিয়ে দেয় র্যাব কীভাবে দেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি জারি করেছিল। এই বই মনে করিয়ে দেয় শেখ হাসিনার শাসনামলে মানুষের জীবনের মূল্য নেমে এসেছিল শূন্যের কোঠায়।
আমরা জানি, বিচারবহির্ভূত হত্যা কোনোভাবেই একটি গণতান্ত্রিক বা মানবিক রাষ্ট্রের অংশ হতে পারে না। অথচ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে এই ‘ক্রসফায়ার’ শব্দটি হয়ে উঠেছিল প্রতিদিনের এক খুবই সাধারণ ঘটনা। এ বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় এক-একটি রক্তাক্ত কাহিনি তুলে ধরেছে, যা সমাজের সুস্থতার ভিতকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে এই জাতীয় ট্রমা থেকে বের হতে।
পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে র্যাব একটি ভয়ংকর ডেথ স্কোয়াডে পরিণত হয়, যা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক বিরোধীদের এবং ভিন্নমতের কণ্ঠরোধে ব্যবহৃত হয়েছে। এ বই থেকে আমরা জানতে পারি কীভাবে সরকার র্যাবকে বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো ও খুন করার যন্ত্রে পরিণত করেছিল।
এমন নিষ্ঠুরতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ২০২১ সালে র্যাব এবং এর ছয় সাবেক কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার চাপ সত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তখনকার সরকার র্যাবের কার্যকলাপ বন্ধ করেনি। বরং, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য তাদের আরো আগ্রাসীভাবে ব্যবহার করেছিল, যা আমরা দেখেছি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় প্রতিরোধকালে। এই বই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় র্যাবের ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়, যা আমাদের ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলোর পরিপন্থী। একটা মানবিক বাংলাদেশের পরিপন্থী।
আবু সুফিয়ানের এ বই আমাদের নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে, যে ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব প্রকৃত দায়িত্ববোধ সম্পন্ন সরকারের এবং সেই সরকারের নাগরিকদের ওপর। আমি প্রত্যাশা করি, এই বইটি পাঠকসমাজ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ করে তুলবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বন্ধ হতে পারে না এবং এ বই এই লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠুক। আবু সুফিয়ানকে তার সত্য প্রকাশের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তার এই উদ্যোগ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ডক্টর মোবাশ্বার হাসান
সিডনি পলিসি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেন্টার
‘ক্রসফায়ারের নীলনকশা’ বইটি বাংলাদেশের একটি কালো অধ্যায়ের উপাখ্যান। সাংবাদিক ও লেখক আবু সুফিয়ানের এই অসামান্য সৃষ্টি আমাদের মনে করিয়ে দেয় র্যাব কীভাবে দেশে একটি ভয়ের সংস্কৃতি জারি করেছিল। এই বই মনে করিয়ে দেয় শেখ হাসিনার শাসনামলে মানুষের জীবনের মূল্য নেমে এসেছিল শূন্যের কোঠায়।
আমরা জানি, বিচারবহির্ভূত হত্যা কোনোভাবেই একটি গণতান্ত্রিক বা মানবিক রাষ্ট্রের অংশ হতে পারে না। অথচ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে এই ‘ক্রসফায়ার’ শব্দটি হয়ে উঠেছিল প্রতিদিনের এক খুবই সাধারণ ঘটনা। এ বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় এক-একটি রক্তাক্ত কাহিনি তুলে ধরেছে, যা সমাজের সুস্থতার ভিতকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে এই জাতীয় ট্রমা থেকে বের হতে।
পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে র্যাব একটি ভয়ংকর ডেথ স্কোয়াডে পরিণত হয়, যা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক বিরোধীদের এবং ভিন্নমতের কণ্ঠরোধে ব্যবহৃত হয়েছে। এ বই থেকে আমরা জানতে পারি কীভাবে সরকার র্যাবকে বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানো ও খুন করার যন্ত্রে পরিণত করেছিল।
এমন নিষ্ঠুরতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ২০২১ সালে র্যাব এবং এর ছয় সাবেক কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার চাপ সত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তখনকার সরকার র্যাবের কার্যকলাপ বন্ধ করেনি। বরং, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য তাদের আরো আগ্রাসীভাবে ব্যবহার করেছিল, যা আমরা দেখেছি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় প্রতিরোধকালে। এই বই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় র্যাবের ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়, যা আমাদের ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলোর পরিপন্থী। একটা মানবিক বাংলাদেশের পরিপন্থী।
আবু সুফিয়ানের এ বই আমাদের নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করবে, যে ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব প্রকৃত দায়িত্ববোধ সম্পন্ন সরকারের এবং সেই সরকারের নাগরিকদের ওপর। আমি প্রত্যাশা করি, এই বইটি পাঠকসমাজ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ করে তুলবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বন্ধ হতে পারে না এবং এ বই এই লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠুক। আবু সুফিয়ানকে তার সত্য প্রকাশের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানাই। তার এই উদ্যোগ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ডক্টর মোবাশ্বার হাসান
সিডনি পলিসি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেন্টার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
২৬ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
১ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
১ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচার
২ ঘণ্টা আগে