লিপিকা আফরোজ
ঘর হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে আপন ও নিরাপদ আশ্রয়। ছোট হোক, বড় হোক নিজের ঘরের মতো শান্তির জায়গা নেই। তাই আপনার ছোট্ট বাড়িতে সেরা কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট যুক্ত করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এর মাধ্যমে শুধু আপনার বাড়ির সৌন্দর্যই বাড়বে তা নয়, বরং আপনার থাকার জায়গায় স্বাস্থ্যকর বায়ুর মানও বজায় থাকবে। ঘরে কী ধরনের গাছ লাগালে ভালো হবে এবং যত্নই বা কীভাবে নিতে হবে, সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট
পোথোস অতিপরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট। একে আমরা মানি প্ল্যান্ট নামেই বেশি চিনি। বেশির ভাগ ইনডোর বাগানের শুরুই হয় এই লতানো পোথোস দিয়ে। মাটি, পানি—যেকোনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর কদর অনেক। লতানো এই গাছের পর্বে পর্বে থাকে সবুজ পাতার সৌন্দর্য। পানিতে রাখা পোথোসে যেমন থাকে ছোট আকৃতির পানপাতার মতো পাতা, মাটিতে লাগানো হলে ওই একই পোথোসের পাতা হতে পারে বেশ বড়।
লাকি ব্যাম্বু
প্রতি পর্বে একটি করে পাতা নিয়ে সোজা বেড়ে ওঠে লাকি ব্যাম্বু। পাতা গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ, হলদেটে সবুজ ও সবুজের মাঝে সাদা, কিংবা হলুদ দাগের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে মূলেও। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এর কমলা রঙের শিকড়গুচ্ছ এককথায় নয়নাভিরাম। নার্সারি কিংবা বৃক্ষমেলায় বিশেষ কৌশলে প্যাঁচানো লাকি ব্যাম্বুও বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও লাকি ব্যাম্বুকে এমন আকৃতি দিতে পারেন। ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন।
ছোট বাড়ির জন্য ঘৃতকুমারী উদ্ভিদ
ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যগুলো সুপরিচিত। তাই অনেকেই বাড়িতে অ্যালোভেরা উদ্ভিদ রাখেন। এটি একটি ছোট পাত্রযুক্ত উদ্ভিদ হিসেবে বৃদ্ধি পায় এবং সহজেই বাড়ির যেকোনো জায়গায় ফিট করা যায়। উদ্ভিদের উজ্জ্বল সবুজ পাতা আপনার পরিবারে রঙের একটি পপ যোগ করতে পারে।
ক্যাকটাই (Cacti)
বাড়ির জন্য সেরা অন্দর গাছগুলোর মধ্যে একটি হলো ক্যাকটাস (বহুবচন ‘ক্যাকটাই’)। এগুলো বিভিন্ন রঙ, আকার ও আকারে পাওয়া যায়। তাদের মাঝে মাঝে উজ্জ্বল রঙের ফুল আপনার ঘরে রঙের ছোঁয়া যোগ করতে পারে। আর ক্যাকটাস কম পানিতেও টিকে থাকতে পারে। অতএব এ-জাতীয় উদ্ভিদের যত্ন নেওয়া সহজ।
মুক্তার স্ট্রিং
গৃহমধ্যস্থ গাছপালা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি সুন্দর স্ট্রিং অব পার্লস প্ল্যান্টকে আপনার জন্য ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। এটি আপনার থাকার জায়গায় সুন্দর আমেজ যোগ করবে। কারণ এটি ঝুলন্ত অবস্থায় পট করা যেতে পারে। এই উদ্ভিদের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য পানি এবং পরোক্ষভাবে আলোর ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
অ্যাসপারাগাস ফার্ন
অ্যাসপারাগাস ফার্ন একটি ঝোপঝাড় ধরনের উদ্ভিদ, যা সূক্ষ্ম ও নান্দনিক চেহারার জন্য পরিচিত। এটি ঘরের শোভা বাড়াতে অত্যন্ত উপযোগী। উদ্ভিদটির নিয়মিত প্রচুর পানি প্রয়োজন, তাই পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে যত্নবান হতে হবে। এছাড়া অ্যাসপারাগাস ফার্ন যেন পরোক্ষভাবে পর্যাপ্ত আলো পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আপনার ঘরে মার্জিত ভাব ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে বেতের ঝুড়ি বেছে নিতে পারেন।
ফিলোডেনড্রন
যেকোনো বাড়ির শোভাবর্ধনে চিরহরিৎ উদ্ভিদ ফিলোডেনড্রন। এটি সহজে যত্ন নেওয়া যায় বলে নতুন উদ্ভিদপ্রেমীদের জন্য উপযুক্ত। যদি পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায় তাহলে পানি দিতে হবে। যদি পাতা ঝরে পড়তে শুরু করে তবে পানি দেওয়া কমাতে হবে।
ইনডোর প্ল্যান্টের যত্ন
আপনি যদি কিছু কৌশল জানেন তবে আপনার ইনডোর প্ল্যান্টগুলোর যত্ন নেওয়া আরো সহজ হবে। এখানে কিছু প্রয়োজনীয় টিপস দেওয়া হলো—
সূর্যালোকের পরিমাণ ঠিক রাখুন
ইনডোর প্ল্যান্টে প্রয়োজনীয় সূর্যালোকের পরিমাণ সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে। ন্যূনতম সূর্যালোকের প্রয়োজন হলে এটিকে জানালার পাশে রাখুন। বেশি পরিমাণ সূর্যালোকের প্রয়োজন হলে এটি বাইরে বারান্দায় রাখুন।
অতিরিক্ত পানি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
গাছগুলো কেনার আগে কতটা পানি প্রয়োজন তা অবশ্যই জেনে নিন। কিছু গাছে বর্ষাকালে পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে গ্রীষ্মকালে ভালোভাবে পানি দেওয়া প্রয়োজন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পানির দেওয়ার ক্ষেত্রে হেরফের হতে পারে।
ভালো মানের মাটি ব্যবহার করুন
গাছের সুস্থ ও সবল বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সবসময় উচ্চ মানের মাটি ব্যবহার করুন। মাটিতে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব উপাদান থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রতি ১০ দিন পরপর মাটি হালকা করে নেড়ে দিন, যাতে মাটির ভেতর বাতাস চলাচল করতে পারে। গাছের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতি দুই মাস অন্তর একবার ভালো মানের সার প্রয়োগ করুন। এতে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করুন
গাছের গোড়ার চারপাশে মাটি বা টবের ওপরে আগাছা জন্মাতে পারে, যা গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করে ফেলে। তাছাড়া গাছের পাতা ও মাটিতে পোকামাকড়, শুঁয়োপোকা, মাছি বা বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস দেখা দিলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় নিয়মিতভাবে তদারক করতে হবে।
রান্নাঘরের বর্জ্য ব্যবহার করুন
প্রতিদিনের রান্নাবান্নার পর জমে থাকা কিছু বর্জ্য গাছের জন্য চমৎকার প্রাকৃতিক সার। শাকসবজি ও ডালধোয়া পানি, ব্যবহৃত চা-পাতা, ডিমের খোসাগুঁড়া, কলা বা আপেলের খোসা ইত্যাদি জিনিসের মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও পুষ্টি উপাদান, যা মাটির গুণাগুণ বাড়িয়ে দরকারি পুষ্টি সরবরাহ করে।
নিয়মিত ছাঁটাই করুন
গাছের পরিপূর্ণ বৃদ্ধি ও আকৃতি সুন্দর রাখতে প্রতি দু-তিন মাস পরপর গাছ ছাঁটাই করা প্রয়োজন। গাছের পাতা, ডাল বা কুঁড়িগুলো যদি শুকিয়ে যায় বা মরে যেতে শুরু করে, তবে সেগুলো কেটে ফেলে দিন। ফুল ফোটার পর শুকিয়ে যাওয়া অংশ এবং যেসব পাতা হলদে বা বাদামি হয়ে গেছে, সেগুলো ছেঁটে দিলে গাছের শক্তি সঠিকভাবে বণ্টিত হয় এবং নতুন ডালপালা গজাতে সাহায্য করে।
পানিতে রাখা ইনডোর প্ল্যান্টের যত্ন
ইনডোর প্ল্যান্টের পানি নিয়মিত বিরতিতে পাল্টে দিন। স্বচ্ছ কাচের গ্লাস, পানির পাত্র, অ্যাকুয়ারিয়াম ও টেস্টটিউবেও বসাতে পারেন এসব গাছ। স্বচ্ছ কাচে ছড়ানো শিকড়ের সৌন্দর্য নজর কাড়বে।
ঘর হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে আপন ও নিরাপদ আশ্রয়। ছোট হোক, বড় হোক নিজের ঘরের মতো শান্তির জায়গা নেই। তাই আপনার ছোট্ট বাড়িতে সেরা কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট যুক্ত করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এর মাধ্যমে শুধু আপনার বাড়ির সৌন্দর্যই বাড়বে তা নয়, বরং আপনার থাকার জায়গায় স্বাস্থ্যকর বায়ুর মানও বজায় থাকবে। ঘরে কী ধরনের গাছ লাগালে ভালো হবে এবং যত্নই বা কীভাবে নিতে হবে, সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট
পোথোস অতিপরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট। একে আমরা মানি প্ল্যান্ট নামেই বেশি চিনি। বেশির ভাগ ইনডোর বাগানের শুরুই হয় এই লতানো পোথোস দিয়ে। মাটি, পানি—যেকোনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর কদর অনেক। লতানো এই গাছের পর্বে পর্বে থাকে সবুজ পাতার সৌন্দর্য। পানিতে রাখা পোথোসে যেমন থাকে ছোট আকৃতির পানপাতার মতো পাতা, মাটিতে লাগানো হলে ওই একই পোথোসের পাতা হতে পারে বেশ বড়।
লাকি ব্যাম্বু
প্রতি পর্বে একটি করে পাতা নিয়ে সোজা বেড়ে ওঠে লাকি ব্যাম্বু। পাতা গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ, হলদেটে সবুজ ও সবুজের মাঝে সাদা, কিংবা হলুদ দাগের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে মূলেও। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এর কমলা রঙের শিকড়গুচ্ছ এককথায় নয়নাভিরাম। নার্সারি কিংবা বৃক্ষমেলায় বিশেষ কৌশলে প্যাঁচানো লাকি ব্যাম্বুও বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও লাকি ব্যাম্বুকে এমন আকৃতি দিতে পারেন। ইউটিউবে অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন।
ছোট বাড়ির জন্য ঘৃতকুমারী উদ্ভিদ
ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার নিরাময়ের বৈশিষ্ট্যগুলো সুপরিচিত। তাই অনেকেই বাড়িতে অ্যালোভেরা উদ্ভিদ রাখেন। এটি একটি ছোট পাত্রযুক্ত উদ্ভিদ হিসেবে বৃদ্ধি পায় এবং সহজেই বাড়ির যেকোনো জায়গায় ফিট করা যায়। উদ্ভিদের উজ্জ্বল সবুজ পাতা আপনার পরিবারে রঙের একটি পপ যোগ করতে পারে।
ক্যাকটাই (Cacti)
বাড়ির জন্য সেরা অন্দর গাছগুলোর মধ্যে একটি হলো ক্যাকটাস (বহুবচন ‘ক্যাকটাই’)। এগুলো বিভিন্ন রঙ, আকার ও আকারে পাওয়া যায়। তাদের মাঝে মাঝে উজ্জ্বল রঙের ফুল আপনার ঘরে রঙের ছোঁয়া যোগ করতে পারে। আর ক্যাকটাস কম পানিতেও টিকে থাকতে পারে। অতএব এ-জাতীয় উদ্ভিদের যত্ন নেওয়া সহজ।
মুক্তার স্ট্রিং
গৃহমধ্যস্থ গাছপালা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি সুন্দর স্ট্রিং অব পার্লস প্ল্যান্টকে আপনার জন্য ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। এটি আপনার থাকার জায়গায় সুন্দর আমেজ যোগ করবে। কারণ এটি ঝুলন্ত অবস্থায় পট করা যেতে পারে। এই উদ্ভিদের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য পানি এবং পরোক্ষভাবে আলোর ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
অ্যাসপারাগাস ফার্ন
অ্যাসপারাগাস ফার্ন একটি ঝোপঝাড় ধরনের উদ্ভিদ, যা সূক্ষ্ম ও নান্দনিক চেহারার জন্য পরিচিত। এটি ঘরের শোভা বাড়াতে অত্যন্ত উপযোগী। উদ্ভিদটির নিয়মিত প্রচুর পানি প্রয়োজন, তাই পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে যত্নবান হতে হবে। এছাড়া অ্যাসপারাগাস ফার্ন যেন পরোক্ষভাবে পর্যাপ্ত আলো পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আপনার ঘরে মার্জিত ভাব ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে বেতের ঝুড়ি বেছে নিতে পারেন।
ফিলোডেনড্রন
যেকোনো বাড়ির শোভাবর্ধনে চিরহরিৎ উদ্ভিদ ফিলোডেনড্রন। এটি সহজে যত্ন নেওয়া যায় বলে নতুন উদ্ভিদপ্রেমীদের জন্য উপযুক্ত। যদি পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায় তাহলে পানি দিতে হবে। যদি পাতা ঝরে পড়তে শুরু করে তবে পানি দেওয়া কমাতে হবে।
ইনডোর প্ল্যান্টের যত্ন
আপনি যদি কিছু কৌশল জানেন তবে আপনার ইনডোর প্ল্যান্টগুলোর যত্ন নেওয়া আরো সহজ হবে। এখানে কিছু প্রয়োজনীয় টিপস দেওয়া হলো—
সূর্যালোকের পরিমাণ ঠিক রাখুন
ইনডোর প্ল্যান্টে প্রয়োজনীয় সূর্যালোকের পরিমাণ সম্পর্কে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে। ন্যূনতম সূর্যালোকের প্রয়োজন হলে এটিকে জানালার পাশে রাখুন। বেশি পরিমাণ সূর্যালোকের প্রয়োজন হলে এটি বাইরে বারান্দায় রাখুন।
অতিরিক্ত পানি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
গাছগুলো কেনার আগে কতটা পানি প্রয়োজন তা অবশ্যই জেনে নিন। কিছু গাছে বর্ষাকালে পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে গ্রীষ্মকালে ভালোভাবে পানি দেওয়া প্রয়োজন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পানির দেওয়ার ক্ষেত্রে হেরফের হতে পারে।
ভালো মানের মাটি ব্যবহার করুন
গাছের সুস্থ ও সবল বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সবসময় উচ্চ মানের মাটি ব্যবহার করুন। মাটিতে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব উপাদান থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রতি ১০ দিন পরপর মাটি হালকা করে নেড়ে দিন, যাতে মাটির ভেতর বাতাস চলাচল করতে পারে। গাছের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতি দুই মাস অন্তর একবার ভালো মানের সার প্রয়োগ করুন। এতে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করুন
গাছের গোড়ার চারপাশে মাটি বা টবের ওপরে আগাছা জন্মাতে পারে, যা গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ করে ফেলে। তাছাড়া গাছের পাতা ও মাটিতে পোকামাকড়, শুঁয়োপোকা, মাছি বা বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাস দেখা দিলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় নিয়মিতভাবে তদারক করতে হবে।
রান্নাঘরের বর্জ্য ব্যবহার করুন
প্রতিদিনের রান্নাবান্নার পর জমে থাকা কিছু বর্জ্য গাছের জন্য চমৎকার প্রাকৃতিক সার। শাকসবজি ও ডালধোয়া পানি, ব্যবহৃত চা-পাতা, ডিমের খোসাগুঁড়া, কলা বা আপেলের খোসা ইত্যাদি জিনিসের মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও পুষ্টি উপাদান, যা মাটির গুণাগুণ বাড়িয়ে দরকারি পুষ্টি সরবরাহ করে।
নিয়মিত ছাঁটাই করুন
গাছের পরিপূর্ণ বৃদ্ধি ও আকৃতি সুন্দর রাখতে প্রতি দু-তিন মাস পরপর গাছ ছাঁটাই করা প্রয়োজন। গাছের পাতা, ডাল বা কুঁড়িগুলো যদি শুকিয়ে যায় বা মরে যেতে শুরু করে, তবে সেগুলো কেটে ফেলে দিন। ফুল ফোটার পর শুকিয়ে যাওয়া অংশ এবং যেসব পাতা হলদে বা বাদামি হয়ে গেছে, সেগুলো ছেঁটে দিলে গাছের শক্তি সঠিকভাবে বণ্টিত হয় এবং নতুন ডালপালা গজাতে সাহায্য করে।
পানিতে রাখা ইনডোর প্ল্যান্টের যত্ন
ইনডোর প্ল্যান্টের পানি নিয়মিত বিরতিতে পাল্টে দিন। স্বচ্ছ কাচের গ্লাস, পানির পাত্র, অ্যাকুয়ারিয়াম ও টেস্টটিউবেও বসাতে পারেন এসব গাছ। স্বচ্ছ কাচে ছড়ানো শিকড়ের সৌন্দর্য নজর কাড়বে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে