রুশিতা রূপন্তী
জসীমউদ্দীন। পল্লীকবি নামেই তিনি পরিচিত। গ্রামবাংলার ঋতুবৈচিত্র্য, জীবনযাপনের ধরন তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন, অনুভব করেছিলেন। এগুলো তাকে প্রভাবিত করেছিল খুব। তাই তার লেখায় আমরা গ্রাম্য জীবনকে নিবিড়ভাবে দেখতে পাই। আর তিনি হয়ে ওঠেন আমাদের পল্লীকবি।
সমৃদ্ধ এই কবির জন্ম ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে। তবে তার পৈতৃক নিবাস ফরিদপুরের অম্বিকাপুরের গোবিন্দপুর গ্রামে। যার লেখায় এত সুন্দর গ্রাম্য প্রকৃতির বর্ণনা থাকে, তার বেড়ে ওঠা গ্রাম কিংবা বাড়ি দেখার আগ্রহ ছিল সব সময়।
আমার জন্মও ফরিদপুরে হওয়ায়, কবির বাড়িতে বেশ কয়েকবারই যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। তবে সর্বশেষ গিয়েছিলাম ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে; তাদের কবির বাড়ি দেখাব বলে। ঢাকা থেকে কবি জসীমউদ্দীনের বাড়িতে এক দিনের ভ্রমণে সহজেই যাওয়া যায়। গুলিস্তান থেকে ভোরবেলা সবাই গোল্ডেন লাইনের বাসে উঠে পড়লাম। ফরিদপুর পৌঁছালাম প্রায় ঘণ্টা-তিনেক পর। সদরের এক হোটেল থেকে নাশতা সেরে অটো নিয়ে চলে গেলাম কবির বাড়িতে। সদর থেকে কবির বাড়ি খুব কাছেই।
গোবিন্দপুর গ্রামে তার বাড়িতে পৌঁছালে প্রথমেই চোখে পড়বে মূল ফটক আর ফটকের ভেতরে ডান পাশে একটা উঁচু কবরস্থান। সেই কবরস্থানে ডালিমগাছের নিচে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন আমাদের পল্লীকবি। এ ছাড়া তার পরিবারের আরো অনেকেই সেখানে শায়িত আছেন।
জনপ্রতি মাত্র ২০ টাকা প্রবেশমূল্য দিয়ে টিকিট কেটে সবাই চলে গেলাম ভেতরে। বাড়িজুড়ে গাছপালা থাকার কারণে ছায়া সুনিবিড় একটা শান্ত পরিবেশ বিরাজ করে সেখানে। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় কবির লেখা কবিতার চরণ অনুরাগীদের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মূল ফটকের পাশেই একটা দোকান। তার সঙ্গে ছোট একটা কক্ষে কবি পরিবারের সংগ্রহশালা। আর তার পাশেই দোলনা ও বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা।
এরপর অন্দরমহলে গেলে চোখে পড়বে চারপাশে চারটা ঘর। একটা সিমেন্টের, বাকিগুলো টিনের। প্রতিটি ঘর খুব নান্দনিকভাবে সাজানো। সব ঘরেই আছে সংগ্রহশালা। একটা ঘরের পাশে আছে ঢেঁকিঘর, আরেকটা ঘরের পাশে রান্নাঘর। সেখানেও কবির মায়ামমতার ছাপ স্পষ্ট। আজও যেন বাড়ির প্রতিটি কোনায় কবির স্মৃতি জ্বলজ্বল করে।
উঠোনে পেরিয়ে পেছনে গেলে আগে চোখে পড়ত একটা ছোট্ট পুকুর। এখন তা মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এমনকি আগে কবির বাড়ির চারপাশে কোনো দেয়াল ছিল না। এখন দেয়াল তোলা হয়েছে অনেকটা অংশজুড়ে। পুকুর ভরাট করে তার পাশ দিয়ে গাঁথা হয়েছে দেয়াল। সেখানেও দুটো দোলনা রাখা হয়েছে। তার সামনে একটা গাছের নিচে কিছু সিমেন্টের বেঞ্চি বানানো হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। পুকুরের পাশেই আরেকটা ঘর, কবির ছেলে হাসুর ঘর। সেই ঘরে গেলেও কবি ও কবি পরিবারের বিভিন্ন স্মৃতি সংগ্রহ দেখা যায়। ওই ঘরের সামনে আছে একটা মস্ত বড় তেঁতুলগাছ, যা লাগিয়েছিলেন কবিপত্নী। গাছটার বয়স কবির বয়সের মতোই দীর্ঘ।
তেঁতুলগাছ বরাবর বাড়ির সম্মুখভাবে এগিয়ে এলে সেই কবরস্থানটা। কবরস্থানের কাছে রয়েছে আরো দুটি টিনের ঘর ও তাতে নানা স্মৃতিচিহ্ন রাখা। সেখানে আছে নামাজের স্থানও। বাঁশ দিয়ে একটা বৃক্ষবাড়িও তৈরি করা হয়েছে তার সামনে। বিভিন্ন গাছে পাখির বাসা তৈরির জন্য ডালে ডালে বসানো হয়েছে মাটির হাঁড়ি। ক্রমেই পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার এ সময় কেউ এত যত্ন করে পাখির বাসা তৈরি করে দিয়েছে, এ ব্যাপারটা আমাকে যারপরনাই মুগ্ধ করেছে। মোটকথা, বাড়িজুড়ে একটা শান্তি বিরাজ করে, যা শুধু আমাকে নয়, যেকোনো দর্শনার্থীকেই মুগ্ধ করে।
কবির বাড়ির সামনেই কুমার নদ। তা এখন মৃতপ্রায়। কুমার নদের আগে একটা লম্বা মাঠ। সেখানে প্রতিবছর জানুয়ারিতে মাসব্যাপী জসীমমেলা হয়। কবির বাড়ি থেকে বের হলেই ডানপাশে মিউজিয়াম। মিউজিয়ামটা আগে ছিল না, কয়েক বছর হলো তৈরি করা হয়েছে। মিউজিয়ামে প্রবেশের জন্য আলাদা করে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। প্রবেশমূল্য ৪০ টাকা। মিউজিয়াম চত্বর বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে তৈরি এবং সাজানো-গোছানো। মিউজিয়ামের ভেতরে কয়েকটা ভবন আছে। তবে শুধু একটা ভবনেই কবির স্মৃতি সংগ্রহশালা করা হয়েছে। সংগ্রহশালাটি নিঃসন্দেহে সুন্দর, তবে আরো যত্নের সঙ্গে কাজ করলে সব ভবন মিলিয়ে সুন্দর একটা পূর্ণাঙ্গ মিউজিয়াম বানানো সম্ভব।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে পল্লীকবির বাড়িতে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, গুলিস্তান থেকে বাসে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়া। এই পথে সবচেয়ে ভালো বাস সার্ভিস গোল্ডেন লাইনের। ঢাকা থেকে ফরিদপুর নন-এসি বাসের ভাড়া ৪০০ এবং এসি বাসের ভাড়া ৫০০। ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লাগে সাধারণত। সেখান থেকে কবির বাড়ি মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। অটোতে করেই চলে যাওয়া যায়। অটো ভাড়া জনপ্রতি ১৫-২০ টাকা।
কী খাবেন
ফরিদপুর গেলে অবশ্যই তেঁতুলতলার মিষ্টি, বাগাটের দই আর মিষ্টি খেয়ে আসবেন। এ ছাড়া ফরিদপুর খেজুর গুড়ের জন্যও বিখ্যাত। চাইলে খেজুর গুড়ও নিয়ে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
যদি এক দিনের ভ্রমণে যান, তাহলে থাকা নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু কবির বাড়ি ছাড়া আরো অনেক জায়গা যদি দেখতে চান, রাত থাকা প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে ফরিদপুর সদরে পর্যাপ্ত আবাসিক হোটেল পেয়ে যাবেন। ভাড়াও সাধ্যের ভেতর।
ফরিদপুরে আরো যা যা দেখতে পারেন
বাইশরশি জমিদার বাড়ি, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, কানাইপুর শিকদার বাড়ি, অচিন বৃক্ষ, জগদ্বন্ধু সুন্দরের আশ্রম, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাতরাইল মসজিদ, মথুরাপুর দেউল ইত্যাদি।
সতর্কতা
পথেঘাটে কিংবা কোনো পর্যটন স্পটে ময়লা ফেলবেন না। স্থানীয় এবং পর্যটকদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করুন।
জসীমউদ্দীন। পল্লীকবি নামেই তিনি পরিচিত। গ্রামবাংলার ঋতুবৈচিত্র্য, জীবনযাপনের ধরন তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন, অনুভব করেছিলেন। এগুলো তাকে প্রভাবিত করেছিল খুব। তাই তার লেখায় আমরা গ্রাম্য জীবনকে নিবিড়ভাবে দেখতে পাই। আর তিনি হয়ে ওঠেন আমাদের পল্লীকবি।
সমৃদ্ধ এই কবির জন্ম ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে। তবে তার পৈতৃক নিবাস ফরিদপুরের অম্বিকাপুরের গোবিন্দপুর গ্রামে। যার লেখায় এত সুন্দর গ্রাম্য প্রকৃতির বর্ণনা থাকে, তার বেড়ে ওঠা গ্রাম কিংবা বাড়ি দেখার আগ্রহ ছিল সব সময়।
আমার জন্মও ফরিদপুরে হওয়ায়, কবির বাড়িতে বেশ কয়েকবারই যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। তবে সর্বশেষ গিয়েছিলাম ঢাকা থেকে বন্ধুদের নিয়ে; তাদের কবির বাড়ি দেখাব বলে। ঢাকা থেকে কবি জসীমউদ্দীনের বাড়িতে এক দিনের ভ্রমণে সহজেই যাওয়া যায়। গুলিস্তান থেকে ভোরবেলা সবাই গোল্ডেন লাইনের বাসে উঠে পড়লাম। ফরিদপুর পৌঁছালাম প্রায় ঘণ্টা-তিনেক পর। সদরের এক হোটেল থেকে নাশতা সেরে অটো নিয়ে চলে গেলাম কবির বাড়িতে। সদর থেকে কবির বাড়ি খুব কাছেই।
গোবিন্দপুর গ্রামে তার বাড়িতে পৌঁছালে প্রথমেই চোখে পড়বে মূল ফটক আর ফটকের ভেতরে ডান পাশে একটা উঁচু কবরস্থান। সেই কবরস্থানে ডালিমগাছের নিচে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন আমাদের পল্লীকবি। এ ছাড়া তার পরিবারের আরো অনেকেই সেখানে শায়িত আছেন।
জনপ্রতি মাত্র ২০ টাকা প্রবেশমূল্য দিয়ে টিকিট কেটে সবাই চলে গেলাম ভেতরে। বাড়িজুড়ে গাছপালা থাকার কারণে ছায়া সুনিবিড় একটা শান্ত পরিবেশ বিরাজ করে সেখানে। বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় কবির লেখা কবিতার চরণ অনুরাগীদের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মূল ফটকের পাশেই একটা দোকান। তার সঙ্গে ছোট একটা কক্ষে কবি পরিবারের সংগ্রহশালা। আর তার পাশেই দোলনা ও বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা।
এরপর অন্দরমহলে গেলে চোখে পড়বে চারপাশে চারটা ঘর। একটা সিমেন্টের, বাকিগুলো টিনের। প্রতিটি ঘর খুব নান্দনিকভাবে সাজানো। সব ঘরেই আছে সংগ্রহশালা। একটা ঘরের পাশে আছে ঢেঁকিঘর, আরেকটা ঘরের পাশে রান্নাঘর। সেখানেও কবির মায়ামমতার ছাপ স্পষ্ট। আজও যেন বাড়ির প্রতিটি কোনায় কবির স্মৃতি জ্বলজ্বল করে।
উঠোনে পেরিয়ে পেছনে গেলে আগে চোখে পড়ত একটা ছোট্ট পুকুর। এখন তা মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এমনকি আগে কবির বাড়ির চারপাশে কোনো দেয়াল ছিল না। এখন দেয়াল তোলা হয়েছে অনেকটা অংশজুড়ে। পুকুর ভরাট করে তার পাশ দিয়ে গাঁথা হয়েছে দেয়াল। সেখানেও দুটো দোলনা রাখা হয়েছে। তার সামনে একটা গাছের নিচে কিছু সিমেন্টের বেঞ্চি বানানো হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। পুকুরের পাশেই আরেকটা ঘর, কবির ছেলে হাসুর ঘর। সেই ঘরে গেলেও কবি ও কবি পরিবারের বিভিন্ন স্মৃতি সংগ্রহ দেখা যায়। ওই ঘরের সামনে আছে একটা মস্ত বড় তেঁতুলগাছ, যা লাগিয়েছিলেন কবিপত্নী। গাছটার বয়স কবির বয়সের মতোই দীর্ঘ।
তেঁতুলগাছ বরাবর বাড়ির সম্মুখভাবে এগিয়ে এলে সেই কবরস্থানটা। কবরস্থানের কাছে রয়েছে আরো দুটি টিনের ঘর ও তাতে নানা স্মৃতিচিহ্ন রাখা। সেখানে আছে নামাজের স্থানও। বাঁশ দিয়ে একটা বৃক্ষবাড়িও তৈরি করা হয়েছে তার সামনে। বিভিন্ন গাছে পাখির বাসা তৈরির জন্য ডালে ডালে বসানো হয়েছে মাটির হাঁড়ি। ক্রমেই পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার এ সময় কেউ এত যত্ন করে পাখির বাসা তৈরি করে দিয়েছে, এ ব্যাপারটা আমাকে যারপরনাই মুগ্ধ করেছে। মোটকথা, বাড়িজুড়ে একটা শান্তি বিরাজ করে, যা শুধু আমাকে নয়, যেকোনো দর্শনার্থীকেই মুগ্ধ করে।
কবির বাড়ির সামনেই কুমার নদ। তা এখন মৃতপ্রায়। কুমার নদের আগে একটা লম্বা মাঠ। সেখানে প্রতিবছর জানুয়ারিতে মাসব্যাপী জসীমমেলা হয়। কবির বাড়ি থেকে বের হলেই ডানপাশে মিউজিয়াম। মিউজিয়ামটা আগে ছিল না, কয়েক বছর হলো তৈরি করা হয়েছে। মিউজিয়ামে প্রবেশের জন্য আলাদা করে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। প্রবেশমূল্য ৪০ টাকা। মিউজিয়াম চত্বর বেশ খানিকটা জায়গা নিয়ে তৈরি এবং সাজানো-গোছানো। মিউজিয়ামের ভেতরে কয়েকটা ভবন আছে। তবে শুধু একটা ভবনেই কবির স্মৃতি সংগ্রহশালা করা হয়েছে। সংগ্রহশালাটি নিঃসন্দেহে সুন্দর, তবে আরো যত্নের সঙ্গে কাজ করলে সব ভবন মিলিয়ে সুন্দর একটা পূর্ণাঙ্গ মিউজিয়াম বানানো সম্ভব।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে পল্লীকবির বাড়িতে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, গুলিস্তান থেকে বাসে পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়া। এই পথে সবচেয়ে ভালো বাস সার্ভিস গোল্ডেন লাইনের। ঢাকা থেকে ফরিদপুর নন-এসি বাসের ভাড়া ৪০০ এবং এসি বাসের ভাড়া ৫০০। ফরিদপুর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছাতে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লাগে সাধারণত। সেখান থেকে কবির বাড়ি মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে। অটোতে করেই চলে যাওয়া যায়। অটো ভাড়া জনপ্রতি ১৫-২০ টাকা।
কী খাবেন
ফরিদপুর গেলে অবশ্যই তেঁতুলতলার মিষ্টি, বাগাটের দই আর মিষ্টি খেয়ে আসবেন। এ ছাড়া ফরিদপুর খেজুর গুড়ের জন্যও বিখ্যাত। চাইলে খেজুর গুড়ও নিয়ে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
যদি এক দিনের ভ্রমণে যান, তাহলে থাকা নিয়ে চিন্তা নেই। কিন্তু কবির বাড়ি ছাড়া আরো অনেক জায়গা যদি দেখতে চান, রাত থাকা প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে ফরিদপুর সদরে পর্যাপ্ত আবাসিক হোটেল পেয়ে যাবেন। ভাড়াও সাধ্যের ভেতর।
ফরিদপুরে আরো যা যা দেখতে পারেন
বাইশরশি জমিদার বাড়ি, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, কানাইপুর শিকদার বাড়ি, অচিন বৃক্ষ, জগদ্বন্ধু সুন্দরের আশ্রম, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাতরাইল মসজিদ, মথুরাপুর দেউল ইত্যাদি।
সতর্কতা
পথেঘাটে কিংবা কোনো পর্যটন স্পটে ময়লা ফেলবেন না। স্থানীয় এবং পর্যটকদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করুন।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
৫ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৬ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৭ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৭ ঘণ্টা আগে