পারভীন আক্তার
গাজরে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের যত্নে অতুলনীয়। বেটা ক্যারোটিন নামক প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে গাজরে, যা ত্বকের মরা কোষ দূর করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। নিয়মিত গাজরের ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, পাশাপাশি ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর হয়। রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও গাজরের জুড়ি নেই। তাই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নিয়মিত গাজরের রস ব্যবহার করুন। জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন গাজরের ফেসপ্যাক। একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।
ত্বক উজ্জ্বল করার প্যাক
প্রথমে একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ ও এক টেবিল চামচ গাজরের রস নিন। এবার একটি কাঁটাচামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই প্যাক পাতলা করে মুখে ও গলায় লাগান।
আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবার হালকা পানি লাগিয়ে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে এই প্যাক সপ্তাহে অন্তত দুবার ব্যবহার করুন।
ত্বক উজ্জ্বল করতে
গাজর পেস্ট করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক হবে কোমল ও উজ্জ্বল।
রোদে পোড়া দাগ দূর হবে
এক টেবিল চামচ গাজরের রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক টেবিল চামচ দই মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দূর হবে রোদে পোড়া কালচে দাগ।
রোদে পোড়া দাগ দূর করার প্যাক
প্রথমে একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে এর মধ্যে এক চা চামচ মধু, এক চা চামচ গাজরের রস ও এক চা চামচ টকদই মেশান। এবার একটি কাঁটাচামচ দিয়ে উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে ও গলায় লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
শুষ্ক ত্বকের মতো তৈলাক্ত ত্বকের বিশেষ যত্নের ক্ষেত্রে গাজর খুব ভালো কাজ করতে পারে। কারণ গাজরের ‘ভিটামিন এ’ ত্বকের অতিরিক্ত তেল বের করে দিয়ে একে সতেজ ও টক্সিনমুক্ত রাখে। তৈলাক্ততা দূর করতে চটজলদি বানিয়ে ফেলতে পারেন একটি ফেস মাস্ক।
এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে সজীব ও ব্রণমুক্ত রাখবে ত্বক। ৩ টেবিল চামচ গাজরের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ বাটার মিল্ক, ২ টেবিল চামচ বেসন ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি ৩০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
জিন, হরমোন ও পরিবেশগত—এই তিন কারণে মূলত ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের জন্য গাজর একটি আদর্শ রূপচর্চার উপাদান। পটাশিয়ামসমৃদ্ধ গাজর ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে একে ভেতর থেকে আর্দ্র করে। এজন্য একটি সহজ ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। একটি গাজরের অর্ধেক ভালো করে পানি দিয়ে পেস্ট করে নিন। এতে এক চামচ দুধ ও এক চামচ মধু মেশান। মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন লাগালে ত্বকের শুষ্কতা অনেকখানি কমে আসবে।
গাজরে চুল তাজা
চুলের সমস্যা সমাধানেও গাজর কার্যকর। এর ভিটামিন আর খনিজ উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে। গাজরের ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’ মাথার তালুতে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করে। এজন্য চুলে লাগাতে পারেন গাজরের তেল। বানানোও সহজ। গ্রেট করা গাজর দেড় কাপ জলপাই তেলে মিশিয়ে এক সপ্তাহ ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রাখতে হবে। পরে ছেঁকে পরিষ্কার পাত্রে আলাদা করে রেখে দিলে অনেক দিন ধরে এটি ব্যবহার করা যাবে।
চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে
ত্বকের মতো চুলের সমস্যা সমাধানে গাজর বেশ কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন আর খনিজ উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে। আর গাজরের ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’ মাথার তালুর রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। এজন্য চুলে লাগাতে পারেন গাজরের তেল। বানানো খুবই সহজ। দুটি ছোট সাইজের গাজর গ্রেটার দিয়ে কুচি করে কেটে দেড় কাপ জলপাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এক সপ্তাহ ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রেখে দিলেই হবে। এই কদিনে তেলের রঙ হবে গাজরের মতোই উজ্জ্বল কমলা। ছেঁকে নিয়ে পরিষ্কার পাত্রে আলাদা করে রেখে অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন এই তেল। এছাড়া মাথার তালুতে গোসলের আধা ঘণ্টা আগে গাজরের রস লাগাতে পারেন। এতে চুল হবে সুন্দর ও ঝলমলে।
গাজরে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের যত্নে অতুলনীয়। বেটা ক্যারোটিন নামক প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে গাজরে, যা ত্বকের মরা কোষ দূর করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। নিয়মিত গাজরের ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, পাশাপাশি ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর হয়। রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও গাজরের জুড়ি নেই। তাই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নিয়মিত গাজরের রস ব্যবহার করুন। জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে কীভাবে ব্যবহার করবেন গাজরের ফেসপ্যাক। একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।
ত্বক উজ্জ্বল করার প্যাক
প্রথমে একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ ও এক টেবিল চামচ গাজরের রস নিন। এবার একটি কাঁটাচামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই প্যাক পাতলা করে মুখে ও গলায় লাগান।
আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবার হালকা পানি লাগিয়ে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে এই প্যাক সপ্তাহে অন্তত দুবার ব্যবহার করুন।
ত্বক উজ্জ্বল করতে
গাজর পেস্ট করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক হবে কোমল ও উজ্জ্বল।
রোদে পোড়া দাগ দূর হবে
এক টেবিল চামচ গাজরের রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক টেবিল চামচ দই মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে দূর হবে রোদে পোড়া কালচে দাগ।
রোদে পোড়া দাগ দূর করার প্যাক
প্রথমে একটি বাটিতে ডিমের সাদা অংশ নিয়ে এর মধ্যে এক চা চামচ মধু, এক চা চামচ গাজরের রস ও এক চা চামচ টকদই মেশান। এবার একটি কাঁটাচামচ দিয়ে উপাদানগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে ও গলায় লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
শুষ্ক ত্বকের মতো তৈলাক্ত ত্বকের বিশেষ যত্নের ক্ষেত্রে গাজর খুব ভালো কাজ করতে পারে। কারণ গাজরের ‘ভিটামিন এ’ ত্বকের অতিরিক্ত তেল বের করে দিয়ে একে সতেজ ও টক্সিনমুক্ত রাখে। তৈলাক্ততা দূর করতে চটজলদি বানিয়ে ফেলতে পারেন একটি ফেস মাস্ক।
এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে সজীব ও ব্রণমুক্ত রাখবে ত্বক। ৩ টেবিল চামচ গাজরের রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ বাটার মিল্ক, ২ টেবিল চামচ বেসন ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি ৩০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
জিন, হরমোন ও পরিবেশগত—এই তিন কারণে মূলত ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের জন্য গাজর একটি আদর্শ রূপচর্চার উপাদান। পটাশিয়ামসমৃদ্ধ গাজর ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে একে ভেতর থেকে আর্দ্র করে। এজন্য একটি সহজ ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। একটি গাজরের অর্ধেক ভালো করে পানি দিয়ে পেস্ট করে নিন। এতে এক চামচ দুধ ও এক চামচ মধু মেশান। মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন লাগালে ত্বকের শুষ্কতা অনেকখানি কমে আসবে।
গাজরে চুল তাজা
চুলের সমস্যা সমাধানেও গাজর কার্যকর। এর ভিটামিন আর খনিজ উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে। গাজরের ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’ মাথার তালুতে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করে। এজন্য চুলে লাগাতে পারেন গাজরের তেল। বানানোও সহজ। গ্রেট করা গাজর দেড় কাপ জলপাই তেলে মিশিয়ে এক সপ্তাহ ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রাখতে হবে। পরে ছেঁকে পরিষ্কার পাত্রে আলাদা করে রেখে দিলে অনেক দিন ধরে এটি ব্যবহার করা যাবে।
চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে
ত্বকের মতো চুলের সমস্যা সমাধানে গাজর বেশ কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন আর খনিজ উপাদান চুলের গোড়া মজবুত করে। আর গাজরের ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘ই’ মাথার তালুর রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। এজন্য চুলে লাগাতে পারেন গাজরের তেল। বানানো খুবই সহজ। দুটি ছোট সাইজের গাজর গ্রেটার দিয়ে কুচি করে কেটে দেড় কাপ জলপাই তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এক সপ্তাহ ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রেখে দিলেই হবে। এই কদিনে তেলের রঙ হবে গাজরের মতোই উজ্জ্বল কমলা। ছেঁকে নিয়ে পরিষ্কার পাত্রে আলাদা করে রেখে অনেক দিন ব্যবহার করতে পারবেন এই তেল। এছাড়া মাথার তালুতে গোসলের আধা ঘণ্টা আগে গাজরের রস লাগাতে পারেন। এতে চুল হবে সুন্দর ও ঝলমলে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
১ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
২ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
২ ঘণ্টা আগে