রায়হান আহমেদ তামীম
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আইন বিভাগে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নুসরাত জাহান টুম্পার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর, থাকেন ঢাকার ডেমরায়। পরিবারে মা-বাবা ও চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। দুই ভাই প্রবাসে, বড় বোন মাস্টার্সে পড়ছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে রাজপথে না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই আন্দোলনের যৌক্তিক দাবির পক্ষে ছিলেন টুম্পা। আন্দোলন যখন ধীরে ধীরে বেগবান হতে শুরু করে এবং ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলে, নির্মমভাবে অত্যাচার শুরু করে—তখন সরাসরি রাজপথে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ জন্মে তার। সেই ইচ্ছা দৃঢ়সংকল্পে রূপ নেয়, যখন ১৬ জুলাই আবু সাঈদ নির্মমভাবে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
টুম্পার ভাষ্য, ‘শহীদ আবু সাঈদকে হত্যার সেই নির্মম দৃশ্য আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছিলাম। জুলাইয়ের সময়গুলোয় মা আমার পাশে সারাক্ষণ বসে দৃশ্যগুলো দেখতেন। আবু সাঈদ হত্যার সেই ভিডিওটা দেখার পর আমার মা অনেক কেঁদেছিলেন। তারপর ১৭ জুলাই আমি মাকে বলি আমিও এই আন্দোলনে যোগ দিতে চাই।’
পরদিন, ১৮ জুলাই মায়ের কাছ থেকে সম্মতি নিয়েই বাসা থেকে বের হন টুম্পা। যেহেতু তার বাসা যাত্রাবাড়ীর কাছে, সেদিনই তিনি যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই সেখানেই অবস্থান নেন।
টুম্পা বলেন, ‘আমার এখনো একটা ঘটনা স্পষ্ট মনে আছে—তখন সময় বেলা ২টা কি ২টা ৩০। ওই সময় একজন কলেজের শিক্ষার্থীর বুকে রাবার বুলেট লাগলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা এমন একটা পর্যায়ে ছিলাম, যেখানে পেছনে ফিরে গেলে কাছাকাছি কোনো হসপিটাল ছিল না। সামনের দিকে একটু এগিয়ে যেতে পারলে হসপিটাল পাওয়া যেত, কিন্তু আমরা সেখানে যেতে পারছিলাম না, কারণ সেখানে পুলিশ ছিল এবং অনবরত টিয়ার সেল ও ছররা বুলেট ছুড়ছিল তারা। ওই শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল, তাই ওর অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়।
যেহেতু ওই সময় পুলিশ আমাদের ধাওয়া দিয়েছিল, তাই আমরা ওকে হসপিটালে নিতে পারছিলাম না। আশপাশে একটা বাইক ওয়াশের গ্যারেজ ছিল, সেই মামাকে রিকোয়েস্ট করে আমরা শুধু তিন-চারজন অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নিয়ে কিছুটা সময়ের জন্য আশ্রয় নিই। যেহেতু ওর অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছিল, তাই আমি আমার এক পরিচিত মেডিকেল স্টুডেন্ট আপুকে কল দিয়ে জানতে চাই, এখন কী করা উচিত। তখন আপু বলেন, ‘যত পারো ওর মাথায় পানি দাও এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হসপিটালে নিয়ে যাও।’ পরে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে ওকে নিয়ে আমরা হসপিটালে শিফট করি এবং বিকালের দিকে জানতে পারি তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
১৮ জুলাই রাতে দেশের সব ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই আন্দোলনকারীরা কেউ কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে ২০ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন টুম্পা। ইন্টারনেট ফিরতে তিন-চার দিন সময় লেগে যায়। এর মধ্যে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। এরপর ২৮ ও ২৯ জুলাই তিনি তার এক বন্ধুকে নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন।
৩০ জুলাই তাকে বাসা থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। তবে সেদিন রাতেই স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন—৩১ জুলাই আবার রাজপথে নামবেন। ৩১ জুলাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, যার মূল গন্তব্য ছিল হাইকোর্ট। একই দিনে সরকারের পক্ষ থেকে ‘গণগ্রেপ্তার’ অভিযানের ঘোষণাও আসে। এতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য কমে যায়।
টুম্পা বলেন, ‘৩১ জুলাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আমরা মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে হাইকোর্টের উদ্দেশে রওনা দিই। প্রায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে হাইকোর্ট মাজার গেটে অবস্থান নিই। সেখানে আগে থেকেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীর অবস্থান ছিল। আমরা সেখানে অবস্থান নেওয়ার প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হঠাৎ করে দুজন পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে এগিয়ে আসতে থাকে। তা বুঝতে পেরে আমরা সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার আগেই চারদিক থেকে পুলিশের একটি দল আমাদের ঘিরে ফেলে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পেছনে তখন সবাই দৌড়াচ্ছিল। আমার পাশেই নূর ভাইয়া ছিলেন। তখন একজন পুলিশ সদস্য পেছন থেকে তার কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমার মনে হলো—এখনই কিছু করতে হবে, যেভাবেই হোক। আমি সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা করি তাকে আটকাতে এবং পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাই।’
এই দৃশ্য ধারণ করা একটি ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর টুম্পার পরিবারের ওপর রাজনৈতিক চাপও তৈরি হয়। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা তার বাবাকে হুমকি দেন—টুম্পা আন্দোলনে যাওয়া বন্ধ না করলে পরিবারকে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। উদ্বেগ তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত বড় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঘটেনি।
বর্তমানে টুম্পা একটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম—Private University Students Alliance of Bangladesh (PUSAB)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি যুক্ত আছেন Excellence Bangladesh-এর Stamford University Bangladesh Zone-এর একজন সক্রিয় প্রতিনিধি হিসেবে। সাহিত্যের প্রতি বিশেষ অনুরাগ থেকেই তিনি যুক্ত হয়েছেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি সাহিত্য ফোরামের সঙ্গে, যেখানে তিনি কার্যক্রমবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নতুন বাংলাদেশ নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে টুম্পা বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ নিয়ে সবার মতো আমিও কিছু স্বপ্ন দেখি। এমন দেশ চাই, যে দেশ একজন দিনমজুরের জন্যও বসবাসযোগ্য। যে দেশের একজন নাগরিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য অনাহারে মরবে না। যে দেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললে আবরার ফাহাদের মতো নির্মমভাবে হত্যার শিকার হবে না। যে দেশে আর কোনো স্বৈরাচার জন্ম নেবে না। আমি এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যাকে চিনবে পুরো বিশ্ব তার মেধাশক্তির জন্য—এদেশের উন্নত ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা, যোগাযোগব্যবস্থা এবং মানবিক জীবনযাপনের জন্য। শুধু পাঠ্যবইয়ে গল্পে বলা উন্নত দেশ নয়, বাস্তবেই একটি উন্নত বাংলাদেশ চাই।’
স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের আইন বিভাগে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নুসরাত জাহান টুম্পার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর, থাকেন ঢাকার ডেমরায়। পরিবারে মা-বাবা ও চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। দুই ভাই প্রবাসে, বড় বোন মাস্টার্সে পড়ছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকে রাজপথে না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই আন্দোলনের যৌক্তিক দাবির পক্ষে ছিলেন টুম্পা। আন্দোলন যখন ধীরে ধীরে বেগবান হতে শুরু করে এবং ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলে, নির্মমভাবে অত্যাচার শুরু করে—তখন সরাসরি রাজপথে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ জন্মে তার। সেই ইচ্ছা দৃঢ়সংকল্পে রূপ নেয়, যখন ১৬ জুলাই আবু সাঈদ নির্মমভাবে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
টুম্পার ভাষ্য, ‘শহীদ আবু সাঈদকে হত্যার সেই নির্মম দৃশ্য আমরা সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছিলাম। জুলাইয়ের সময়গুলোয় মা আমার পাশে সারাক্ষণ বসে দৃশ্যগুলো দেখতেন। আবু সাঈদ হত্যার সেই ভিডিওটা দেখার পর আমার মা অনেক কেঁদেছিলেন। তারপর ১৭ জুলাই আমি মাকে বলি আমিও এই আন্দোলনে যোগ দিতে চাই।’
পরদিন, ১৮ জুলাই মায়ের কাছ থেকে সম্মতি নিয়েই বাসা থেকে বের হন টুম্পা। যেহেতু তার বাসা যাত্রাবাড়ীর কাছে, সেদিনই তিনি যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই সেখানেই অবস্থান নেন।
টুম্পা বলেন, ‘আমার এখনো একটা ঘটনা স্পষ্ট মনে আছে—তখন সময় বেলা ২টা কি ২টা ৩০। ওই সময় একজন কলেজের শিক্ষার্থীর বুকে রাবার বুলেট লাগলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা এমন একটা পর্যায়ে ছিলাম, যেখানে পেছনে ফিরে গেলে কাছাকাছি কোনো হসপিটাল ছিল না। সামনের দিকে একটু এগিয়ে যেতে পারলে হসপিটাল পাওয়া যেত, কিন্তু আমরা সেখানে যেতে পারছিলাম না, কারণ সেখানে পুলিশ ছিল এবং অনবরত টিয়ার সেল ও ছররা বুলেট ছুড়ছিল তারা। ওই শিক্ষার্থীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল, তাই ওর অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যায়।
যেহেতু ওই সময় পুলিশ আমাদের ধাওয়া দিয়েছিল, তাই আমরা ওকে হসপিটালে নিতে পারছিলাম না। আশপাশে একটা বাইক ওয়াশের গ্যারেজ ছিল, সেই মামাকে রিকোয়েস্ট করে আমরা শুধু তিন-চারজন অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নিয়ে কিছুটা সময়ের জন্য আশ্রয় নিই। যেহেতু ওর অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছিল, তাই আমি আমার এক পরিচিত মেডিকেল স্টুডেন্ট আপুকে কল দিয়ে জানতে চাই, এখন কী করা উচিত। তখন আপু বলেন, ‘যত পারো ওর মাথায় পানি দাও এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হসপিটালে নিয়ে যাও।’ পরে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে ওকে নিয়ে আমরা হসপিটালে শিফট করি এবং বিকালের দিকে জানতে পারি তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
১৮ জুলাই রাতে দেশের সব ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই আন্দোলনকারীরা কেউ কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে ২০ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন টুম্পা। ইন্টারনেট ফিরতে তিন-চার দিন সময় লেগে যায়। এর মধ্যে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। এরপর ২৮ ও ২৯ জুলাই তিনি তার এক বন্ধুকে নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন।
৩০ জুলাই তাকে বাসা থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। তবে সেদিন রাতেই স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন—৩১ জুলাই আবার রাজপথে নামবেন। ৩১ জুলাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, যার মূল গন্তব্য ছিল হাইকোর্ট। একই দিনে সরকারের পক্ষ থেকে ‘গণগ্রেপ্তার’ অভিযানের ঘোষণাও আসে। এতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য কমে যায়।
টুম্পা বলেন, ‘৩১ জুলাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আমরা মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী একসঙ্গে হাইকোর্টের উদ্দেশে রওনা দিই। প্রায় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে হাইকোর্ট মাজার গেটে অবস্থান নিই। সেখানে আগে থেকেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীর অবস্থান ছিল। আমরা সেখানে অবস্থান নেওয়ার প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হঠাৎ করে দুজন পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে এগিয়ে আসতে থাকে। তা বুঝতে পেরে আমরা সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার আগেই চারদিক থেকে পুলিশের একটি দল আমাদের ঘিরে ফেলে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পেছনে তখন সবাই দৌড়াচ্ছিল। আমার পাশেই নূর ভাইয়া ছিলেন। তখন একজন পুলিশ সদস্য পেছন থেকে তার কলার ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমার মনে হলো—এখনই কিছু করতে হবে, যেভাবেই হোক। আমি সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা করি তাকে আটকাতে এবং পুলিশের প্রিজন ভ্যানের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাই।’
এই দৃশ্য ধারণ করা একটি ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর টুম্পার পরিবারের ওপর রাজনৈতিক চাপও তৈরি হয়। স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা তার বাবাকে হুমকি দেন—টুম্পা আন্দোলনে যাওয়া বন্ধ না করলে পরিবারকে ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। উদ্বেগ তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত বড় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঘটেনি।
বর্তমানে টুম্পা একটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম—Private University Students Alliance of Bangladesh (PUSAB)-এর কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি যুক্ত আছেন Excellence Bangladesh-এর Stamford University Bangladesh Zone-এর একজন সক্রিয় প্রতিনিধি হিসেবে। সাহিত্যের প্রতি বিশেষ অনুরাগ থেকেই তিনি যুক্ত হয়েছেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি সাহিত্য ফোরামের সঙ্গে, যেখানে তিনি কার্যক্রমবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নতুন বাংলাদেশ নিয়ে নিজের স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে টুম্পা বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ নিয়ে সবার মতো আমিও কিছু স্বপ্ন দেখি। এমন দেশ চাই, যে দেশ একজন দিনমজুরের জন্যও বসবাসযোগ্য। যে দেশের একজন নাগরিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য অনাহারে মরবে না। যে দেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললে আবরার ফাহাদের মতো নির্মমভাবে হত্যার শিকার হবে না। যে দেশে আর কোনো স্বৈরাচার জন্ম নেবে না। আমি এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যাকে চিনবে পুরো বিশ্ব তার মেধাশক্তির জন্য—এদেশের উন্নত ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা, চিকিৎসা, যোগাযোগব্যবস্থা এবং মানবিক জীবনযাপনের জন্য। শুধু পাঠ্যবইয়ে গল্পে বলা উন্নত দেশ নয়, বাস্তবেই একটি উন্নত বাংলাদেশ চাই।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৩ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪২ মিনিট আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
১ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচার
১ ঘণ্টা আগে