কামরুজ্জামান
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ জিহাদ হোসেন। রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের ছাত্র। আন্দোলনের সময় সামনের সারিতে ছিলেন তিনি। যাত্রাবাড়ীতে শহীদ হন। তার কথা স্মরণ করেছেন সহযোদ্ধা কামরুজ্জামান
অনেক দিন পর জিহাদ ভাইয়ের ম্যাসেজ—‘কালকে যাবে?’ ‘হ্যাঁ ভাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসবেন।’ সকাল ১১টায় ম্যাসেজ—‘কোথায় আছ?’ ‘কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আসেন।’
কালো টি-শার্ট, গলায় নেকব্যান্ড, চোখে কালো চশমা—চেনা ভঙ্গিতেই অপেক্ষা করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে। অনেক দিন পর দেখা। সামনে যেতেই জড়িয়ে ধরলেন—‘কী অবস্থা নেতা?’
তিনি আমার দীর্ঘ চার বছরের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। জিহাদ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কবি নজরুল কলেজ শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আমি সাংগঠনিক সম্পাদক। কর্মসূচি রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল শুরু হলো, গন্তব্য বঙ্গভবন। ঢাকার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তাদের ব্যানার নিয়ে যোগ দিলেন। সাত কলেজের বাকি কলেজগুলোর ব্যানার থাকলেও কবি নজরুলের ব্যানার নেই। তবে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন। ভাই বললেন, ‘আমাদের যারা আছে, সবাইকে এক করো।’ সচিবালয়ের সামনে গেলে মিছিল থামিয়ে দেওয়া হলো। সেখানেই বসে পড়লাম। জিহাদ ভাই বললেন, ‘চলো, চা, রুটি খাই।’
কেউই নাস্তা করিনি। পাশের দোকানে বসে রুটি-কলা আর চা খেলাম। ততক্ষণে শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্টের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছে। হাঁটা শুরু করলাম মিছিলের সঙ্গে। বঙ্গভবন এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হলো। প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি জমা দিয়ে সেদিনের মতো কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করলেন। চলে এলাম।
১৬ জুলাই সকালে জিহাদ ভাইয়ের এসএমএস—‘আজকে কোথায়, কখন আসবে?’ জানালাম, ‘বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন।’ জানালেন, ‘একটু কাজ আছে, শেষ করে আসছি।’
দুপুরের পরে বের হলাম। জিহাদ ভাইকে জানালাম, বের হয়েছি। সেদিন রাস্তায় ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের মহড়া। সন্দেহ হলে ফোন চেক করা হচ্ছে। আমি মেইন রোড দিয়ে না গিয়ে বংশাল ও চকবাজারের মধ্য দিয়ে গিয়ে ঢাকা মেডিকেলের সামনে যাই। সেখান থেকে মিছিলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় প্রবেশ করি। আমার আগেই জিহাদ ভাই পৌঁছেছেন। তার সঙ্গে কজন বন্ধু। আমরা লাঠি হাতে ছবি তুলি। একসঙ্গে কিছুক্ষণ থাকি। আমি আর ঢাকা পলিটেনিক্যালের খালেদ সাইফুল্লাহ চলে যাই আক্তার ভাইয়ের সঙ্গে। জিহাদ ভাই বন্ধুদের সঙ্গে রয়ে যান।
সন্ধ্যা নামলে অনেকে বলছিলেন, যারা মেয়ে আছে, তাদের বের করে দেন। রাতে ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারে। বদরুন্নেসার কজন ছাত্রী ছিলেন; তারা বলছিলেন, ‘ভাইয়া আমাদের একটু বের করে দিন।’ তাদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের ভেতর দিয়ে বের হয়ে কলেজের সামনে দিয়ে এলেন। বাসায় ফিরে ভাইকে কল, এসএমএস করেও পাই না। কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম, ‘জিহাদ ভাই তো শহীদ মিনারে আছেন, কিন্তু কল করে পাচ্ছি না।’ টেনশনে পড়ে গেলাম। রাত ৯টায় কল দিলেন, ‘আমি বের হতে পেরেছি। মোবাইলে নেটওয়ার্ক ছিল না বলে ফোনে পাওনি।’
১৭ জুলাই জিহাদ ও তৌফিক শাহরিয়ার ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারলেও আমি পারিনি। পরে ভাই কল করে আমাকে সতর্ক করলেন, ‘এদিকের অবস্থা খারাপ। এদিকে এসো না।’
১৮ জুলাই কারফিউ। সকালে জিহাদ ভাইকে কল দিলাম। বললেন, ‘আজকে যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারব না, তাই যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনে যোগ দেব। তুমি তোমার দিকে থাকো।’ ভাইয়ের বাসা যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ কয়েকবার কথা হলো।
১৯ জুলাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই জিহাদ ভাইকে কল দিলাম। বললেন, ‘কামরুজ্জামান বের হচ্ছি।’ উত্তরে জানালাম, ‘আপডেট জানাবেন।’ জুমার নামাজ পড়ে এসে আবার তাকে কল করলাম। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে বললেন, ‘পরিস্থিতি ভালো নয়।’ আরো কথা হলো। জুমার নামাজের পরই লক্ষ্মীবাজারে নেমে এলো ভয়াবহ তাণ্ডব। টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় ভরে গেল অলিগলি। চারদিকে শুধু গুলির শব্দ।
ঘড়িতে যখন ঠিক ৩টা। জিহাদ ভাইকে কল করে জানাই, ‘আমাদের যদি কেউ এদিকে থাকে, তাড়াতাড়ি সরে যেতে বলুন। অবস্থা ভয়াবহ।’ উত্তরে বলেছিলেন, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে।’ আমাদের দুজনের কারোই জানা ছিল না—এই আমাদের শেষ কথা। সন্ধ্যায় আমার যেন কেমন লাগছিল। মনের মধ্যে চাপা ভয়। তখন যাত্রাবাড়ীর অবস্থা ভয়াবহ। একবার মনে হলো ভাইকে কল দিই। কী ভেবে যেন কল দিলাম না; ভাবলাম, বাজার করে আনি, তারপর কল দেব। বাজার করে এনে রুমের তালা খুলব, এ সময় কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বন্ধু সালমানের ফোন। ওপাশ থেকে বলল, ‘জিহাদ নামের একজন যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন; সম্ভবত হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।’ তিনি আমাদের জিহাদ ভাই কিনা, সেটি শিওর না। থমকে গেলাম।
জিহাদ ভাইকে কল দিলাম, কল ঢুকছে না। আরো কয়েকজনকে কল দিলাম, তারা শিওর বলতে পারলেন না। মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকাশ কল দিয়ে বললেন, ‘কবি নজরুলের জিহাদ যাত্রবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।’ এরপর সালমানও কল দিয়ে শিওর করল, তিনি আমাদের জিহাদ ভাই। নিঃশব্দে ঘরের ফ্লোরে আমি বসে পড়লাম।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ জিহাদ হোসেন। রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের ছাত্র। আন্দোলনের সময় সামনের সারিতে ছিলেন তিনি। যাত্রাবাড়ীতে শহীদ হন। তার কথা স্মরণ করেছেন সহযোদ্ধা কামরুজ্জামান
অনেক দিন পর জিহাদ ভাইয়ের ম্যাসেজ—‘কালকে যাবে?’ ‘হ্যাঁ ভাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসবেন।’ সকাল ১১টায় ম্যাসেজ—‘কোথায় আছ?’ ‘কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আসেন।’
কালো টি-শার্ট, গলায় নেকব্যান্ড, চোখে কালো চশমা—চেনা ভঙ্গিতেই অপেক্ষা করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে। অনেক দিন পর দেখা। সামনে যেতেই জড়িয়ে ধরলেন—‘কী অবস্থা নেতা?’
তিনি আমার দীর্ঘ চার বছরের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। জিহাদ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কবি নজরুল কলেজ শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আমি সাংগঠনিক সম্পাদক। কর্মসূচি রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান। লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল শুরু হলো, গন্তব্য বঙ্গভবন। ঢাকার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তাদের ব্যানার নিয়ে যোগ দিলেন। সাত কলেজের বাকি কলেজগুলোর ব্যানার থাকলেও কবি নজরুলের ব্যানার নেই। তবে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী এই মিছিলে যোগ দিয়েছেন। ভাই বললেন, ‘আমাদের যারা আছে, সবাইকে এক করো।’ সচিবালয়ের সামনে গেলে মিছিল থামিয়ে দেওয়া হলো। সেখানেই বসে পড়লাম। জিহাদ ভাই বললেন, ‘চলো, চা, রুটি খাই।’
কেউই নাস্তা করিনি। পাশের দোকানে বসে রুটি-কলা আর চা খেলাম। ততক্ষণে শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্টের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছে। হাঁটা শুরু করলাম মিছিলের সঙ্গে। বঙ্গভবন এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হলো। প্রতিনিধিরা স্মারকলিপি জমা দিয়ে সেদিনের মতো কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করলেন। চলে এলাম।
১৬ জুলাই সকালে জিহাদ ভাইয়ের এসএমএস—‘আজকে কোথায়, কখন আসবে?’ জানালাম, ‘বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন।’ জানালেন, ‘একটু কাজ আছে, শেষ করে আসছি।’
দুপুরের পরে বের হলাম। জিহাদ ভাইকে জানালাম, বের হয়েছি। সেদিন রাস্তায় ছিল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের মহড়া। সন্দেহ হলে ফোন চেক করা হচ্ছে। আমি মেইন রোড দিয়ে না গিয়ে বংশাল ও চকবাজারের মধ্য দিয়ে গিয়ে ঢাকা মেডিকেলের সামনে যাই। সেখান থেকে মিছিলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় প্রবেশ করি। আমার আগেই জিহাদ ভাই পৌঁছেছেন। তার সঙ্গে কজন বন্ধু। আমরা লাঠি হাতে ছবি তুলি। একসঙ্গে কিছুক্ষণ থাকি। আমি আর ঢাকা পলিটেনিক্যালের খালেদ সাইফুল্লাহ চলে যাই আক্তার ভাইয়ের সঙ্গে। জিহাদ ভাই বন্ধুদের সঙ্গে রয়ে যান।
সন্ধ্যা নামলে অনেকে বলছিলেন, যারা মেয়ে আছে, তাদের বের করে দেন। রাতে ভয়াবহ কিছু ঘটতে পারে। বদরুন্নেসার কজন ছাত্রী ছিলেন; তারা বলছিলেন, ‘ভাইয়া আমাদের একটু বের করে দিন।’ তাদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের ভেতর দিয়ে বের হয়ে কলেজের সামনে দিয়ে এলেন। বাসায় ফিরে ভাইকে কল, এসএমএস করেও পাই না। কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম, ‘জিহাদ ভাই তো শহীদ মিনারে আছেন, কিন্তু কল করে পাচ্ছি না।’ টেনশনে পড়ে গেলাম। রাত ৯টায় কল দিলেন, ‘আমি বের হতে পেরেছি। মোবাইলে নেটওয়ার্ক ছিল না বলে ফোনে পাওনি।’
১৭ জুলাই জিহাদ ও তৌফিক শাহরিয়ার ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারলেও আমি পারিনি। পরে ভাই কল করে আমাকে সতর্ক করলেন, ‘এদিকের অবস্থা খারাপ। এদিকে এসো না।’
১৮ জুলাই কারফিউ। সকালে জিহাদ ভাইকে কল দিলাম। বললেন, ‘আজকে যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারব না, তাই যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনে যোগ দেব। তুমি তোমার দিকে থাকো।’ ভাইয়ের বাসা যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ কয়েকবার কথা হলো।
১৯ জুলাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই জিহাদ ভাইকে কল দিলাম। বললেন, ‘কামরুজ্জামান বের হচ্ছি।’ উত্তরে জানালাম, ‘আপডেট জানাবেন।’ জুমার নামাজ পড়ে এসে আবার তাকে কল করলাম। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে বললেন, ‘পরিস্থিতি ভালো নয়।’ আরো কথা হলো। জুমার নামাজের পরই লক্ষ্মীবাজারে নেমে এলো ভয়াবহ তাণ্ডব। টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় ভরে গেল অলিগলি। চারদিকে শুধু গুলির শব্দ।
ঘড়িতে যখন ঠিক ৩টা। জিহাদ ভাইকে কল করে জানাই, ‘আমাদের যদি কেউ এদিকে থাকে, তাড়াতাড়ি সরে যেতে বলুন। অবস্থা ভয়াবহ।’ উত্তরে বলেছিলেন, ‘আচ্ছা, ঠিক আছে।’ আমাদের দুজনের কারোই জানা ছিল না—এই আমাদের শেষ কথা। সন্ধ্যায় আমার যেন কেমন লাগছিল। মনের মধ্যে চাপা ভয়। তখন যাত্রাবাড়ীর অবস্থা ভয়াবহ। একবার মনে হলো ভাইকে কল দিই। কী ভেবে যেন কল দিলাম না; ভাবলাম, বাজার করে আনি, তারপর কল দেব। বাজার করে এনে রুমের তালা খুলব, এ সময় কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বন্ধু সালমানের ফোন। ওপাশ থেকে বলল, ‘জিহাদ নামের একজন যাত্রাবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন; সম্ভবত হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।’ তিনি আমাদের জিহাদ ভাই কিনা, সেটি শিওর না। থমকে গেলাম।
জিহাদ ভাইকে কল দিলাম, কল ঢুকছে না। আরো কয়েকজনকে কল দিলাম, তারা শিওর বলতে পারলেন না। মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকাশ কল দিয়ে বললেন, ‘কবি নজরুলের জিহাদ যাত্রবাড়ীতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।’ এরপর সালমানও কল দিয়ে শিওর করল, তিনি আমাদের জিহাদ ভাই। নিঃশব্দে ঘরের ফ্লোরে আমি বসে পড়লাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
২৭ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
১ ঘণ্টা আগেসমাবেশে জোবায়েদের সহপাঠী সজল খান বলেন, “পুলিশ এখনো বর্ষার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। শুধু বর্ষা ও মাহির নয়, এই ঘটনায় বর্ষার পরিবারও জড়িত। গতকাল আদালতে আমাদের সঙ্গে পুলিশের আচরণ ছিল অমানবিক। আমাদের এক বান্ধবী ভিডিও করতে গেলে তার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমরা পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।”
১ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইনের মামলায় বুয়েটের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জামিনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন বিচার
২ ঘণ্টা আগে