মোহনা জাহ্নবী
বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে কেউ হয়ে ওঠেন পাঠক, কেউ বুকশপের মালিক, কেউ আবার পাঠকের পাশাপাশি বুক রিভিউয়ার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর। হাসনাত আব্দুল্লাহ তেমনই একজন বইপ্রেমী। তিনি কাজ করছেন বইসংক্রান্ত বিভিন্ন কনটেন্ট নিয়ে।
হাসনাত বলেন, ‘বাড়িতে আব্বুর অনেক বই ছিল, অধিকাংশই ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক। ছোটবেলা থেকেই দেখতাম আব্বু প্রচুর বই পড়েন, সেখান থেকে বই পড়ার আগ্রহ শুরু হয়। ক্লাস সেভেনে থাকাকালে এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে কিছু উপন্যাসের বই পাই। পড়ে ফেরত দেব, এই শর্তে তিনটা বই নিয়ে আসি বাসায়। তখন থেকে বই পড়া শুরু। আর বই নিয়ে কাজ শুরু করেছি ঢাকা এসে। একটা সময় পরে খেয়াল করলাম, আমি যে বইগুলো পড়ছি, সে সম্পর্কে যদি অন্য কাউকে জানানো যায় তাহলে মন্দ হয় না। ২০২২ সালে গুলিস্তান থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে একটা মাইক্রোফোন কিনে শুরু করি বই নিয়ে ভিডিও বানানো। প্রথমে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কাজ শুরু করি, পেজের নাম ‘Bookish Hasnat’। এরপর ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক সব প্ল্যাটফর্মেই কাজ করা শুরু করি। প্রথম দিকে অনেকেই হাসাহাসি করত, কম দামি মোবাইলে শ্যুট করতাম, কনটেন্টের কোয়ালিটি ভালো ছিল না, পরে আস্তে আস্তে মানুষজন রেসপন্স করা শুরু করল, আমিও সেই থেকে নতুন উদ্যমে কাজ করা শুরু করলাম।’
হাসনাত বুক রিভিউ করেন। একটা বই পড়ার পরে তা কেমন লাগল, বইটার ভালো দিক, খারাপ দিক, বইটা কেন পড়া উচিত কিংবা কেন উচিত নয়, এসব বিষয় নিয়ে রিভিউ করেন।
বইসংক্রান্ত কনটেন্টে তিনি সাধারণত বইপ্রেমী মানুষদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেন। বিভিন্ন পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্টোরিটেলিংয়ে তিনি গল্প পড়েন, কোনো লেখকের লেখা গল্প কিংবা উপন্যাসের কোনো অংশ ভালো লাগলে, তা পড়ে শোনান। এক্ষেত্রে ভালো লাগলে পাঠকরা পরবর্তী সময়ে তা সংগ্রহ করতে পারেন।
তিনি লেখকদের সাক্ষাৎকারও নিয়ে থাকেন। একজন লেখক যখন লেখেন তখন তার মনে নানা ধরনের বিষয় থাকে, তার লেখার একটা উদ্দেশ্য থাকে, অনেকে বলেন লেখক তার জীবনের গল্প লেখেন। হাসনাত চেষ্টা করেন লেখকের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার মাধ্যমে তার লেখালেখির পেছনের গল্পটা ফুটিয়ে তুলতে, পাঠককে জানাতে যে কেন তিনি লেখেন কিংবা কেন তার লিখে যাওয়া উচিত।
বইসংক্রান্ত তথ্যবহুল ডকুমেন্টারি তৈরি করেন হাসনাত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা বা চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে এসব ডকুমেন্টারি করে থাকেন। যেমন : বাংলাবাজারের সঙ্গে বইয়ের সম্পর্ক কী, কিংবা নীলক্ষেতে বই বিক্রির আদ্যোপান্ত প্রভৃতি বিষয়।
বইমেলাকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করেন তিনি। বইমেলায় বিভিন্ন পাঠকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রশ্নোত্তর পর্ব, ডকুমেন্টারি, লেখকদের সঙ্গে আড্ডা এবং বই নিয়ে বিভিন্ন রকমের রিলস তৈরি করে থাকেন।
বর্তমান সময়ে সাহিত্যজগতের পরিবেশ নিয়ে হাসনাত বলেন, ‘দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার তাড়নায় অনেক লেখক সহজপাচ্য, কিন্তু সাহিত্যমানহীন লেখা তৈরি করছেন। ফেসবুক-সেলিব্রেটিদের অনেকের বই কনটেন্টের চেয়ে পরিচিতির জোরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনেক প্রকাশক এখন ব্যবসায়িক দিকটাই বেশি গুরুত্ব দেন, ফলে মানসম্পন্ন পাণ্ডুলিপির চেয়ে ‘বেস্টসেলার’ হতে পারে, এমন বই প্রকাশেই জোর দিচ্ছেন তারা। লেখার মান যাচাই ছাড়াই বই ছাপানোর প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। আগে সাহিত্য সমালোচনার ধারা শক্তিশালী ছিল, কিন্তু এখন মূলত ‘বন্ধুবান্ধবতন্ত্র’ চলছে। কেউ প্রকৃত সমালোচনা করলে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে হয়। সাহিত্য এখন এক অদ্ভুত সন্ধিক্ষণে আছে—একদিকে নতুন সম্ভাবনা, অন্যদিকে মানহীনতার ঝুঁকি। মৌলিকতা ও মানসম্মত সাহিত্যচর্চার প্রতি মনোযোগ না দিলে দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের সাহিত্যজগৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে প্রতিভাবান লেখকেরা যদি সাহস নিয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।’
বইপ্রেমী হাসনাতের জন্ম বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কুলুবাড়ি গ্রামে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসে সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত।
বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে কেউ হয়ে ওঠেন পাঠক, কেউ বুকশপের মালিক, কেউ আবার পাঠকের পাশাপাশি বুক রিভিউয়ার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর। হাসনাত আব্দুল্লাহ তেমনই একজন বইপ্রেমী। তিনি কাজ করছেন বইসংক্রান্ত বিভিন্ন কনটেন্ট নিয়ে।
হাসনাত বলেন, ‘বাড়িতে আব্বুর অনেক বই ছিল, অধিকাংশই ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক। ছোটবেলা থেকেই দেখতাম আব্বু প্রচুর বই পড়েন, সেখান থেকে বই পড়ার আগ্রহ শুরু হয়। ক্লাস সেভেনে থাকাকালে এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে কিছু উপন্যাসের বই পাই। পড়ে ফেরত দেব, এই শর্তে তিনটা বই নিয়ে আসি বাসায়। তখন থেকে বই পড়া শুরু। আর বই নিয়ে কাজ শুরু করেছি ঢাকা এসে। একটা সময় পরে খেয়াল করলাম, আমি যে বইগুলো পড়ছি, সে সম্পর্কে যদি অন্য কাউকে জানানো যায় তাহলে মন্দ হয় না। ২০২২ সালে গুলিস্তান থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে একটা মাইক্রোফোন কিনে শুরু করি বই নিয়ে ভিডিও বানানো। প্রথমে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কাজ শুরু করি, পেজের নাম ‘Bookish Hasnat’। এরপর ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক সব প্ল্যাটফর্মেই কাজ করা শুরু করি। প্রথম দিকে অনেকেই হাসাহাসি করত, কম দামি মোবাইলে শ্যুট করতাম, কনটেন্টের কোয়ালিটি ভালো ছিল না, পরে আস্তে আস্তে মানুষজন রেসপন্স করা শুরু করল, আমিও সেই থেকে নতুন উদ্যমে কাজ করা শুরু করলাম।’
হাসনাত বুক রিভিউ করেন। একটা বই পড়ার পরে তা কেমন লাগল, বইটার ভালো দিক, খারাপ দিক, বইটা কেন পড়া উচিত কিংবা কেন উচিত নয়, এসব বিষয় নিয়ে রিভিউ করেন।
বইসংক্রান্ত কনটেন্টে তিনি সাধারণত বইপ্রেমী মানুষদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেন। বিভিন্ন পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্টোরিটেলিংয়ে তিনি গল্প পড়েন, কোনো লেখকের লেখা গল্প কিংবা উপন্যাসের কোনো অংশ ভালো লাগলে, তা পড়ে শোনান। এক্ষেত্রে ভালো লাগলে পাঠকরা পরবর্তী সময়ে তা সংগ্রহ করতে পারেন।
তিনি লেখকদের সাক্ষাৎকারও নিয়ে থাকেন। একজন লেখক যখন লেখেন তখন তার মনে নানা ধরনের বিষয় থাকে, তার লেখার একটা উদ্দেশ্য থাকে, অনেকে বলেন লেখক তার জীবনের গল্প লেখেন। হাসনাত চেষ্টা করেন লেখকের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার মাধ্যমে তার লেখালেখির পেছনের গল্পটা ফুটিয়ে তুলতে, পাঠককে জানাতে যে কেন তিনি লেখেন কিংবা কেন তার লিখে যাওয়া উচিত।
বইসংক্রান্ত তথ্যবহুল ডকুমেন্টারি তৈরি করেন হাসনাত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা বা চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে এসব ডকুমেন্টারি করে থাকেন। যেমন : বাংলাবাজারের সঙ্গে বইয়ের সম্পর্ক কী, কিংবা নীলক্ষেতে বই বিক্রির আদ্যোপান্ত প্রভৃতি বিষয়।
বইমেলাকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন কনটেন্ট তৈরি করেন তিনি। বইমেলায় বিভিন্ন পাঠকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রশ্নোত্তর পর্ব, ডকুমেন্টারি, লেখকদের সঙ্গে আড্ডা এবং বই নিয়ে বিভিন্ন রকমের রিলস তৈরি করে থাকেন।
বর্তমান সময়ে সাহিত্যজগতের পরিবেশ নিয়ে হাসনাত বলেন, ‘দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়ার তাড়নায় অনেক লেখক সহজপাচ্য, কিন্তু সাহিত্যমানহীন লেখা তৈরি করছেন। ফেসবুক-সেলিব্রেটিদের অনেকের বই কনটেন্টের চেয়ে পরিচিতির জোরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনেক প্রকাশক এখন ব্যবসায়িক দিকটাই বেশি গুরুত্ব দেন, ফলে মানসম্পন্ন পাণ্ডুলিপির চেয়ে ‘বেস্টসেলার’ হতে পারে, এমন বই প্রকাশেই জোর দিচ্ছেন তারা। লেখার মান যাচাই ছাড়াই বই ছাপানোর প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। আগে সাহিত্য সমালোচনার ধারা শক্তিশালী ছিল, কিন্তু এখন মূলত ‘বন্ধুবান্ধবতন্ত্র’ চলছে। কেউ প্রকৃত সমালোচনা করলে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হতে হয়। সাহিত্য এখন এক অদ্ভুত সন্ধিক্ষণে আছে—একদিকে নতুন সম্ভাবনা, অন্যদিকে মানহীনতার ঝুঁকি। মৌলিকতা ও মানসম্মত সাহিত্যচর্চার প্রতি মনোযোগ না দিলে দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের সাহিত্যজগৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে প্রতিভাবান লেখকেরা যদি সাহস নিয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।’
বইপ্রেমী হাসনাতের জন্ম বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কুলুবাড়ি গ্রামে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসে সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শেষ বর্ষে অধ্যয়নরত।
বিসিএস’এ বয়সসীমা ৩৪ বছর নির্ধারণসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন চিকিৎসক পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন ।
৯ ঘণ্টা আগেডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯৮৮। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর প্রায় ৫৪ শতাংশই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে।
১০ ঘণ্টা আগেএকটি সংক্রমিত ইউএসবি ড্রাইভ বা ডিভাইস মুহূর্তের মধ্যেই আপনার কম্পিউটারকে বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) র্যাগিং বন্ধ, হয়রানি প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
১৩ ঘণ্টা আগে