মোহনা জাহ্নবী
সোয়াইব হাসান। কাজ করছেন অনলাইন বুকশপ ‘ভিভিড লাইব্রেরি’ নিয়ে। তিনি শোনালেন ভিভিড লাইব্রেরি শুরু করার গল্প।
বাগেরহাটে জন্ম নেওয়া মাদরাসাপড়ুয়া এই উদ্যোক্তা ২০১৬ সালে পড়াশোনার প্রয়োজনে ঢাকা আসেন। ছোটবেলা থেকেই বইয়ের প্রতি তার ভিন্ন আগ্রহ কাজ করত। যদিও পড়াশোনা বা থাকা-খাওয়ার খরচ নিয়ে কোনো সমস্যা ছিল না, তবু তিনি চাচ্ছিলেন পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে কিছু করতে। এদিকে ব্যবসা নিয়েও ছিল তার আগ্রহ, অন্যের অধীন একঘেয়ে চাকরিজীবন তার ভালো লাগে না। তিনি ভাবলেন, যেহেতু বই আর ব্যবসা দুটোতেই তার আগ্রহ আছে, তাই বই নিয়েই কিছু করা যায় কি না। তখন তিনি একটা পরিচিত অনলাইন বুকশপে কাজ করতেন। সেখান থেকেই তার কাজ শেখা। একপর্যায়ে যখন তার মনে হলো, সেই কাজে তিনি যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে গেছেন, তখন ভাবলেন এবার নিজের একটা অনলাইন বুকশপ হোক। ২০১৯ সালের শেষে সেখান থেকেই ভিভিড লাইব্রেরির জন্ম এবং বইয়ের সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে জড়িত হওয়া।
সোয়াইব বলেন, ‘আমি বইপ্রেমীদের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। এটা শুধু আমার ব্যবসাই নয়, স্বপ্নের জায়গাও। আমার বুকশপ থেকে প্রায়ই ‘মধ্যরাতের ইচ্ছা পূরণ’ নামে একটা অফার দিয়ে থাকি। অফারটি এরকম—‘একটি বইয়ের দাম হয়তো ৩০০ টাকা। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আর্থিক কারণে কেউ কেউ বইটি কিনতে পারছে না। কমেন্ট বক্সে বিভিন্ন পাঠক জানান, তারা কত টাকা হলে বইটি কিনতে পারবেন। তাদের ভেতর থেকে তখন আমরা কিছু রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন অনুযায়ী সৌভাগ্যবান কাউকে বা একাধিক জনকে বেছে নিই। তাদের শর্ত দিই, বইটি পড়া হয়ে গেলে এমন কাউকে তা উপহার দিয়ে দিতে হবে, যার বই কেনার সামর্থ্য নেই, কিন্তু পড়ার আগ্রহ আছে।’
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনলাইন বুকশপের ব্যবসা কতটা লাভজনক—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভালোভাবে লেগে না থাকলে শুধু বুকশপ দিয়ে অনেক বেশি উপার্জন সম্ভব নয়। কেউ যদি ভেবে থাকে, শুধু বুকশপ দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করব, তাহলে তাকে অনেক বেশি পরিশ্রমী হতে হবে এবং ব্যবসা বিস্তার করতে হবে। অন্যথায় অনলাইন বুকশপ থাকলেও ব্যাকআপ হিসেবে আরো উপার্জনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
যেকোনো কাজেই থাকে প্রতিবন্ধকতা। অনলাইন বুকশপের জগতের সেই প্রতিবন্ধকতার কথা বলতে গিয়ে সোয়াইব বলেন, ‘বর্তমানে পাঠকের চেয়ে সেলার বা বুকশপ বেড়ে যাচ্ছে। পাঠকরা অনেক পেজ ঘোরে দু টাকা কমে পাওয়ার জন্য। তাই বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে খুশি করে কাস্টমার ধরে রাখাটা কঠিন।’
তিনি মনে করেন, এই ব্যবসায় ভালো করতে চাইলে অনেক বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে। পাঠকদের মন বুঝে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে হবে। আন্তরিকভাবে তাদের হ্যান্ডেল করতে হবে। অনেকে পাঠকদের নানা ধরনের প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে একটু খারাপ ব্যবহার করে ফেলেন, যা একদম অনুচিত।
ভিভিড লাইব্রেরি নিয়ে স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাতিঘর, পাঠক সমাবেশ, বেঙ্গল বই—এসব জায়গায় যাতায়াত, বই দেখা ও লেখকদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া বই নিয়ে কাজ করতে আরো আগ্রহ তৈরি করেছে। আমিও স্বপ্ন দেখি, একদিন আমার প্রকাশনী হবে, বাতিঘর বা পাঠক সমাবেশের মতো বইয়ের বড় একটা জায়গা হবে। সেখানে বইপ্রেমী মানুষ আসবে, বই নিয়ে কথা বলবে। বিভিন্ন জেলায় ভিভিডের শাখা থাকবে, যেখানে পাঠকরা ফ্রিতে বই পড়তে পারবে, আবার কিনতেও পারবে।’
সোয়াইব হাসান। কাজ করছেন অনলাইন বুকশপ ‘ভিভিড লাইব্রেরি’ নিয়ে। তিনি শোনালেন ভিভিড লাইব্রেরি শুরু করার গল্প।
বাগেরহাটে জন্ম নেওয়া মাদরাসাপড়ুয়া এই উদ্যোক্তা ২০১৬ সালে পড়াশোনার প্রয়োজনে ঢাকা আসেন। ছোটবেলা থেকেই বইয়ের প্রতি তার ভিন্ন আগ্রহ কাজ করত। যদিও পড়াশোনা বা থাকা-খাওয়ার খরচ নিয়ে কোনো সমস্যা ছিল না, তবু তিনি চাচ্ছিলেন পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে কিছু করতে। এদিকে ব্যবসা নিয়েও ছিল তার আগ্রহ, অন্যের অধীন একঘেয়ে চাকরিজীবন তার ভালো লাগে না। তিনি ভাবলেন, যেহেতু বই আর ব্যবসা দুটোতেই তার আগ্রহ আছে, তাই বই নিয়েই কিছু করা যায় কি না। তখন তিনি একটা পরিচিত অনলাইন বুকশপে কাজ করতেন। সেখান থেকেই তার কাজ শেখা। একপর্যায়ে যখন তার মনে হলো, সেই কাজে তিনি যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে গেছেন, তখন ভাবলেন এবার নিজের একটা অনলাইন বুকশপ হোক। ২০১৯ সালের শেষে সেখান থেকেই ভিভিড লাইব্রেরির জন্ম এবং বইয়ের সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে জড়িত হওয়া।
সোয়াইব বলেন, ‘আমি বইপ্রেমীদের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। এটা শুধু আমার ব্যবসাই নয়, স্বপ্নের জায়গাও। আমার বুকশপ থেকে প্রায়ই ‘মধ্যরাতের ইচ্ছা পূরণ’ নামে একটা অফার দিয়ে থাকি। অফারটি এরকম—‘একটি বইয়ের দাম হয়তো ৩০০ টাকা। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আর্থিক কারণে কেউ কেউ বইটি কিনতে পারছে না। কমেন্ট বক্সে বিভিন্ন পাঠক জানান, তারা কত টাকা হলে বইটি কিনতে পারবেন। তাদের ভেতর থেকে তখন আমরা কিছু রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন অনুযায়ী সৌভাগ্যবান কাউকে বা একাধিক জনকে বেছে নিই। তাদের শর্ত দিই, বইটি পড়া হয়ে গেলে এমন কাউকে তা উপহার দিয়ে দিতে হবে, যার বই কেনার সামর্থ্য নেই, কিন্তু পড়ার আগ্রহ আছে।’
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনলাইন বুকশপের ব্যবসা কতটা লাভজনক—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভালোভাবে লেগে না থাকলে শুধু বুকশপ দিয়ে অনেক বেশি উপার্জন সম্ভব নয়। কেউ যদি ভেবে থাকে, শুধু বুকশপ দিয়েই জীবিকা নির্বাহ করব, তাহলে তাকে অনেক বেশি পরিশ্রমী হতে হবে এবং ব্যবসা বিস্তার করতে হবে। অন্যথায় অনলাইন বুকশপ থাকলেও ব্যাকআপ হিসেবে আরো উপার্জনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।’
যেকোনো কাজেই থাকে প্রতিবন্ধকতা। অনলাইন বুকশপের জগতের সেই প্রতিবন্ধকতার কথা বলতে গিয়ে সোয়াইব বলেন, ‘বর্তমানে পাঠকের চেয়ে সেলার বা বুকশপ বেড়ে যাচ্ছে। পাঠকরা অনেক পেজ ঘোরে দু টাকা কমে পাওয়ার জন্য। তাই বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে খুশি করে কাস্টমার ধরে রাখাটা কঠিন।’
তিনি মনে করেন, এই ব্যবসায় ভালো করতে চাইলে অনেক বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে। পাঠকদের মন বুঝে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে হবে। আন্তরিকভাবে তাদের হ্যান্ডেল করতে হবে। অনেকে পাঠকদের নানা ধরনের প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে একটু খারাপ ব্যবহার করে ফেলেন, যা একদম অনুচিত।
ভিভিড লাইব্রেরি নিয়ে স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাতিঘর, পাঠক সমাবেশ, বেঙ্গল বই—এসব জায়গায় যাতায়াত, বই দেখা ও লেখকদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া বই নিয়ে কাজ করতে আরো আগ্রহ তৈরি করেছে। আমিও স্বপ্ন দেখি, একদিন আমার প্রকাশনী হবে, বাতিঘর বা পাঠক সমাবেশের মতো বইয়ের বড় একটা জায়গা হবে। সেখানে বইপ্রেমী মানুষ আসবে, বই নিয়ে কথা বলবে। বিভিন্ন জেলায় ভিভিডের শাখা থাকবে, যেখানে পাঠকরা ফ্রিতে বই পড়তে পারবে, আবার কিনতেও পারবে।’
বিসিএস’এ বয়সসীমা ৩৪ বছর নির্ধারণসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে ‘পিএসসি সংস্কার আন্দোলন চিকিৎসক পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন ।
৯ ঘণ্টা আগেডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯৮৮। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর প্রায় ৫৪ শতাংশই বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে।
১০ ঘণ্টা আগেএকটি সংক্রমিত ইউএসবি ড্রাইভ বা ডিভাইস মুহূর্তের মধ্যেই আপনার কম্পিউটারকে বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) র্যাগিং বন্ধ, হয়রানি প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
১৩ ঘণ্টা আগে