আবু সুফিয়ান
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকারি দমন-পীড়ন এবং ছাত্রদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মানবাধিকারের প্রতি সরকারের আক্রমণ হিসেবে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। ছয় সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে রাখা হয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে। আন্দোলনকারীদের দাবি, সুষ্ঠু তদন্ত বা আইনি ভিত্তি ছাড়াই তাদের আটক করা হয়। এ ধরনের নিপীড়নকে সরকারি নির্যাতনের স্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
পরে ছয় সমন্বয়কের পরিবারের সদস্যরা গত বছরের ২৯ জুলাই ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের ভালো অবস্থায় থাকার কথা জানান। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আটকের পর তাদের বিবৃতি দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে ডিবি কর্মকর্তাদের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। কিন্তু ডিবির এই ব্যাখ্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এরই মধ্যে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইনের বেঞ্চ সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন। আদালতের মন্তব্য, জাতিকে নিয়ে মশকরা করবেন না। সরকারের পক্ষ থেকে ছয় সমন্বয়কের খাবার-দাবারের ছবির প্রচার এবং অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়েও হতাশা প্রকাশ করে আদালত। রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা জানান, এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি প্রক্রিয়া শুরু না করেই তাদের আটক রাখা হয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সেই সময় সরকারের বক্তব্য ছিল, আন্দোলনকারীরা সহিংসতা সৃষ্টি করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু আদালত এর বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বলে, এভাবে ছয়জন শিক্ষার্থীকে আটক রাখা এবং তাদের খাওয়ার ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা— এটা জাতির প্রতি অসম্মানজনক।
সহিংসতা, মিথ্যাচার ও শোক প্রত্যাখ্যান
তৎকালীন সরকার ৩০ জুলাই শোক দিবস ঘোষণা করে। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এই দিবসটি প্রত্যাখ্যান করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যায়। সরকার দাবি করে, সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোক পালন করা হবে। কিন্তু ছাত্ররা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল ছবি লাল করে এবং রাজধানীসহ অন্যান্য এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এই শোক দিবসের বিরোধিতা করে।
সরকারের দমন-পীড়ন এবং সহিংসতাবিরোধী প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা সোচ্চার হয়ে ওঠে। কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশের হেফাজত থেকে মুক্তি না পেলে শত শত এইচএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দেন।
রাজধানী ঢাকা এবং বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ৫০ জন ছাত্র আহত হন, যার মধ্যে বেশকিছু ছাত্র গুরুতর আহত হন। বিশেষ করে কুমিল্লায় এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বাধা দিয়ে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এর বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মৌন মিছিল বের করেন এবং সরকারের এই নৃশংস পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
সরকারি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নৃশংস দমন-পীড়ন এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সহিংস পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে চলে যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারের শক্ত অবস্থান বজায় রাখতে তারা পুলিশের শক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
ডিএমপির কর্মকর্তাদের মতে, ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরো বেশি পুলিশ সদস্য এবং রসদ যুক্ত করার প্রয়োজন হবে। পুলিশ বাহিনীর ঘাটতি এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকারি দমন-পীড়ন এবং ছাত্রদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মানবাধিকারের প্রতি সরকারের আক্রমণ হিসেবে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। ছয় সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে রাখা হয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে। আন্দোলনকারীদের দাবি, সুষ্ঠু তদন্ত বা আইনি ভিত্তি ছাড়াই তাদের আটক করা হয়। এ ধরনের নিপীড়নকে সরকারি নির্যাতনের স্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
পরে ছয় সমন্বয়কের পরিবারের সদস্যরা গত বছরের ২৯ জুলাই ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের ভালো অবস্থায় থাকার কথা জানান। তবে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আটকের পর তাদের বিবৃতি দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে ডিবি কর্মকর্তাদের দাবি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। কিন্তু ডিবির এই ব্যাখ্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এরই মধ্যে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইনের বেঞ্চ সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্য করেন। আদালতের মন্তব্য, জাতিকে নিয়ে মশকরা করবেন না। সরকারের পক্ষ থেকে ছয় সমন্বয়কের খাবার-দাবারের ছবির প্রচার এবং অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়েও হতাশা প্রকাশ করে আদালত। রিট আবেদনকারী আইনজীবীরা জানান, এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি প্রক্রিয়া শুরু না করেই তাদের আটক রাখা হয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সেই সময় সরকারের বক্তব্য ছিল, আন্দোলনকারীরা সহিংসতা সৃষ্টি করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু আদালত এর বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বলে, এভাবে ছয়জন শিক্ষার্থীকে আটক রাখা এবং তাদের খাওয়ার ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা— এটা জাতির প্রতি অসম্মানজনক।
সহিংসতা, মিথ্যাচার ও শোক প্রত্যাখ্যান
তৎকালীন সরকার ৩০ জুলাই শোক দিবস ঘোষণা করে। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এই দিবসটি প্রত্যাখ্যান করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যায়। সরকার দাবি করে, সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোক পালন করা হবে। কিন্তু ছাত্ররা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল ছবি লাল করে এবং রাজধানীসহ অন্যান্য এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এই শোক দিবসের বিরোধিতা করে।
সরকারের দমন-পীড়ন এবং সহিংসতাবিরোধী প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা সোচ্চার হয়ে ওঠে। কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশের হেফাজত থেকে মুক্তি না পেলে শত শত এইচএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দেন।
রাজধানী ঢাকা এবং বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ৫০ জন ছাত্র আহত হন, যার মধ্যে বেশকিছু ছাত্র গুরুতর আহত হন। বিশেষ করে কুমিল্লায় এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বাধা দিয়ে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এর বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মৌন মিছিল বের করেন এবং সরকারের এই নৃশংস পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
সরকারি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নৃশংস দমন-পীড়ন এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সহিংস পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে চলে যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারের শক্ত অবস্থান বজায় রাখতে তারা পুলিশের শক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
ডিএমপির কর্মকর্তাদের মতে, ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরো বেশি পুলিশ সদস্য এবং রসদ যুক্ত করার প্রয়োজন হবে। পুলিশ বাহিনীর ঘাটতি এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে।
জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫