শামসুল হক, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট সকালের নাশতা খেতে বের হন রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলের কর্মী সাগর হাওলাদার। পরে তিনি ছাত্র-জনতার মিছিলে যুক্ত হন। এক পর্যায়ে তিনি মিছিলের সামনের দিকে চলে যান।
মিছিল মিরপুর-২ মডেল থানার সামনে এলে থানার ছাদ থেকে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পরও বাম হাত তার অবশ হয়ে গেছে। কোনো কাজ করতে পারছেন না। ফলে তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার।
জানা যায়, সাগর পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের রিকশাচালক আলতাফ হাওলাদারের ছেলে। অভাব অনটনে পড়ে সংসারের প্রয়োজনে চাকরি নেন ঢাকার মিরপুরের সিঙ্গাপুর আবাসিক হোটেলে। হোটেল থেকে ৫ আগস্ট সকালে নাশতা খেতে বের হয়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে ইকবাল নামের এক বন্ধু তাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর গাড়িতে স্থানীয় আলোক হাসপাতালে ভর্তি করান।
টানা ৪ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর জ্ঞান ফেরে তার। পরে কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে ১৭ দিন রাখা হয়। সেখানে ১ মাস ৭ দিন চিকিৎসা শেষে সাগরকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সাগরের চাকরিটাও চলে যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় সাগরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি হাসপাতাল থেকে তাদের জানানো হয়। পরের দিন সাগরের বাবার রিকশাটি বিক্রি করে ও ধার-দেনার মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে যান। আলোক হাসপাতালে ৪ দিনে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ইবনে সিনায় ২ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করতে হয় তাদের। এরপর সাগরকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তার বাম হাত অবশ, কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না।
সাগর আমার দেশকে বলেন, এখন পর্যন্ত চিকিৎসার সমস্ত টাকা পরিবার থেকেই খরচ করেছে। হোটেলের চাকরিটাও চলে গেছে। বাম হাত দিয়ে কোনো কাজ করতে পারছি না। এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার নগদ টাকা পেয়েছি। জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে কোনো টাকা পাইনি। গুলির ঘটনায় যারা জড়িত আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।
সাগরের বাবা আলতাফ হোসেন আমার দেশকে বলেন, বসতভিটা ছাড়া আমাদের কোনো ফসলি জমি নেই। ধারদেনা করে ওই সময় সাগরের চিকিৎসার খরচ চালানো হয়েছে। হোটেলে যে চাকরিটা করত সেটাও চলে গেছে। বাম হাতের চিকিৎসাসহ সাগরের এখন একটি কর্মসংস্থান প্রয়োজন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি অটোরিকশা দেওয়া হয়েছে। সেটি চালিয়ে সামান্য যা আয় হয়ে তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট সকালের নাশতা খেতে বের হন রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলের কর্মী সাগর হাওলাদার। পরে তিনি ছাত্র-জনতার মিছিলে যুক্ত হন। এক পর্যায়ে তিনি মিছিলের সামনের দিকে চলে যান।
মিছিল মিরপুর-২ মডেল থানার সামনে এলে থানার ছাদ থেকে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার পরও বাম হাত তার অবশ হয়ে গেছে। কোনো কাজ করতে পারছেন না। ফলে তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার।
জানা যায়, সাগর পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের রিকশাচালক আলতাফ হাওলাদারের ছেলে। অভাব অনটনে পড়ে সংসারের প্রয়োজনে চাকরি নেন ঢাকার মিরপুরের সিঙ্গাপুর আবাসিক হোটেলে। হোটেল থেকে ৫ আগস্ট সকালে নাশতা খেতে বের হয়ে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে ইকবাল নামের এক বন্ধু তাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর গাড়িতে স্থানীয় আলোক হাসপাতালে ভর্তি করান।
টানা ৪ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর জ্ঞান ফেরে তার। পরে কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে ১৭ দিন রাখা হয়। সেখানে ১ মাস ৭ দিন চিকিৎসা শেষে সাগরকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সাগরের চাকরিটাও চলে যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় সাগরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি হাসপাতাল থেকে তাদের জানানো হয়। পরের দিন সাগরের বাবার রিকশাটি বিক্রি করে ও ধার-দেনার মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে যান। আলোক হাসপাতালে ৪ দিনে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ইবনে সিনায় ২ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করতে হয় তাদের। এরপর সাগরকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তার বাম হাত অবশ, কোনো কাজকর্ম করতে পারছেন না।
সাগর আমার দেশকে বলেন, এখন পর্যন্ত চিকিৎসার সমস্ত টাকা পরিবার থেকেই খরচ করেছে। হোটেলের চাকরিটাও চলে গেছে। বাম হাত দিয়ে কোনো কাজ করতে পারছি না। এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ২০ হাজার নগদ টাকা পেয়েছি। জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে কোনো টাকা পাইনি। গুলির ঘটনায় যারা জড়িত আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।
সাগরের বাবা আলতাফ হোসেন আমার দেশকে বলেন, বসতভিটা ছাড়া আমাদের কোনো ফসলি জমি নেই। ধারদেনা করে ওই সময় সাগরের চিকিৎসার খরচ চালানো হয়েছে। হোটেলে যে চাকরিটা করত সেটাও চলে গেছে। বাম হাতের চিকিৎসাসহ সাগরের এখন একটি কর্মসংস্থান প্রয়োজন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি অটোরিকশা দেওয়া হয়েছে। সেটি চালিয়ে সামান্য যা আয় হয়ে তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের ডাকা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে ২০২৪ সালের ১০ জুলাই দিনভর অচল হয়ে পড়েছিল দেশের রেলপথ, সড়ক ও মহাসড়ক। সারা দেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল । কমপক্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার
৬ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এই অবরোধ কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রধান সড়ক ও রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা
১ দিন আগে২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী ও আলেম সমাজ অসাধারণ ত্যাগ ও সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
২ দিন আগে৮ জুলাই তারা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে রাজধানীর ১১টি মোড় এবং এক স্থানে রেলপথ অবরোধ করেন। আগের দিন তারা সাতটি স্থানে কর্মসূচি চালিয়েছিলেন। অবরোধের কারণে রাজধানীর বড় অংশে যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছিল।
২ দিন আগে