
এরশাদ সোহেল, তজুমদ্দিন (ভোলা)

শিক্ষার্থী সিহানের ছিল আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিবারের অসচ্ছলতা দূর করা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয় দশম শ্রেণি পড়ুয়া এই কিশোর।
সেই আন্দোলনে সে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। হাতে ও বুকে গুলি লাগে। হাসপাতালের বিছানায় কয়েক সপ্তাহ কাতরাতে থাকে সে। মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে আসা এই কিশোর কিছু খেতে গেলেই এখন বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। একদিকে পারিবারিক অসচ্ছলতা, অন্যদিকে একমাত্র ছেলের এ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছে তার পরিবার।
জানা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গত ১ আগস্ট ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামের ইজিবাইকচালক শরীফ মিয়ার একমাত্র ছেলে সিহান বাড়ি থেকে ছুটে যায় ঢাকায়।
সিহান আমার দেশকে জানায়, যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ৫ আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেয় সে। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর দ্রুত ওই জায়গা থেকে সরে আসার চেষ্টার মধ্যেই আরেকটি গুলি এসে লাগে বুকে। এরপর সে মাটিতে পড়ে যায়।
সিহানের বাবা শরীফ মিয়া জানান, গুলিবিদ্ধ সিহানকে বন্ধুরা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। একদিন পর জ্ঞান ফিরে তার। সেখানে হাতের অস্ত্রোপচার হলেও ফুসফুসে গুলি বহন করে হাসপাতালের বেডে দুই সপ্তাহ ধরে কাতরাতে থাকে সে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় সিএমএইচ হাসপাতালে।
মেডিকেল রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯ আগস্ট কম্বাইন্ড মিলিটারি হসপিটালে সিহানের বুকে অস্ত্রোপচার করে ফুসফুস থেকে বের করা হয় গুলি। সফল অস্ত্রোপচার হলেও এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি সিহান। সরকারিভাবে এখনো কোনো সহায়তা না পেলেও বেসরকারি কয়েকটি সংস্থা সিহানের পরিবারকে কিছুটা সহায়তা করেছে।
শরীফ মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে ছেলের জন্য আবেদন করলেও কোনো সাড়া পাইনি। এমনকি সরকারি ওয়েবসাইটেও নাম নেই সিহানের। সিহান যেসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে, সেগুলো উল্লেখ না করে স্থানীয় সমাজসেবা অফিসের ইচ্ছানুযায়ী অন্য হাসপাতালের নাম যুক্ত করা হয়। তাদের এই গাফিলতির কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সিহানের নাম এন্ট্রি হয়নি বলে জানা যায়।

শিক্ষার্থী সিহানের ছিল আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। তার মধ্যে অন্যতম ছিল উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিবারের অসচ্ছলতা দূর করা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয় দশম শ্রেণি পড়ুয়া এই কিশোর।
সেই আন্দোলনে সে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। হাতে ও বুকে গুলি লাগে। হাসপাতালের বিছানায় কয়েক সপ্তাহ কাতরাতে থাকে সে। মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে আসা এই কিশোর কিছু খেতে গেলেই এখন বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। একদিকে পারিবারিক অসচ্ছলতা, অন্যদিকে একমাত্র ছেলের এ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছে তার পরিবার।
জানা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে গত ১ আগস্ট ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামের ইজিবাইকচালক শরীফ মিয়ার একমাত্র ছেলে সিহান বাড়ি থেকে ছুটে যায় ঢাকায়।
সিহান আমার দেশকে জানায়, যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ৫ আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেয় সে। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর দ্রুত ওই জায়গা থেকে সরে আসার চেষ্টার মধ্যেই আরেকটি গুলি এসে লাগে বুকে। এরপর সে মাটিতে পড়ে যায়।
সিহানের বাবা শরীফ মিয়া জানান, গুলিবিদ্ধ সিহানকে বন্ধুরা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। একদিন পর জ্ঞান ফিরে তার। সেখানে হাতের অস্ত্রোপচার হলেও ফুসফুসে গুলি বহন করে হাসপাতালের বেডে দুই সপ্তাহ ধরে কাতরাতে থাকে সে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় সিএমএইচ হাসপাতালে।
মেডিকেল রিপোর্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯ আগস্ট কম্বাইন্ড মিলিটারি হসপিটালে সিহানের বুকে অস্ত্রোপচার করে ফুসফুস থেকে বের করা হয় গুলি। সফল অস্ত্রোপচার হলেও এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি সিহান। সরকারিভাবে এখনো কোনো সহায়তা না পেলেও বেসরকারি কয়েকটি সংস্থা সিহানের পরিবারকে কিছুটা সহায়তা করেছে।
শরীফ মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে ছেলের জন্য আবেদন করলেও কোনো সাড়া পাইনি। এমনকি সরকারি ওয়েবসাইটেও নাম নেই সিহানের। সিহান যেসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে, সেগুলো উল্লেখ না করে স্থানীয় সমাজসেবা অফিসের ইচ্ছানুযায়ী অন্য হাসপাতালের নাম যুক্ত করা হয়। তাদের এই গাফিলতির কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সিহানের নাম এন্ট্রি হয়নি বলে জানা যায়।

জুলাই আন্দোলনে গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো এক যোদ্ধাকে বাদী দেখিয়ে অভিনব কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মৌলভীবাজার শহরে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেন জসিমও। চৌমুহনায় মিছিলকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবুও পিছু হটেনি সাহস নিয়ে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে পুলিশ ও ছাত্রলীগকে লক্ষ্য
৩১ আগস্ট ২০২৫
চব্বিশের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন যোদ্ধা তরুণ আলেম মাওলানা শফিকুর রহমান। আন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে তার বাগবিতন্ডার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। রামপুরা এলাকায় আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ করতে দেখা যায় তাকে।
২৯ আগস্ট ২০২৫
তাইমুরের বাবা পুলিশের এসআই মো. ময়নাল হোসেন ভুঁইয়া তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, ‘একজন মানুষকে মারতে কয়টা গুলি লাগে স্যার’। আমার ছেলের কি দোষ ছিল, কেন তাকে এত কষ্ট দিয়ে মারা হলো? কেন তার শরীরে দুইশ গুলি মারা হলো।
১৯ আগস্ট ২০২৫