বিআরটিএ-এর মতবিনিময় সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার

সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে অবকাঠামোগত এবং আইনগত পরিবর্তন, ফিটনেসবিহীন সব গাড়ী তুলে নিয়ে মানসম্মত গণপরিবহন চালু ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ড্রাইভিং ট্রেইনিং সেন্টার পর্যন্ত সর্বত্রে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে সড়ক সংশ্লিষ্টরা।
রোববার রাজধানীর বনানীতে ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আয়োজিত মতবিনিময় সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য রিমেম্বার, সাপোর্ট এন্ড অ্যাক্ট। র্অথাৎ ‘আমরা স্মরণ করি যারা রোডক্র্যাশে মারা গেছেন তাদের, সহায়তা নিয়ে থাকতে চাই আহতদের পাশে এবং জীবন বাঁচাতে নিতে চাই কার্যকর উদ্যোগ’।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সড়ক দূর্ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী পরিবার, পুলিশ, বিএরটিএ, ট্রাক এবং গণপরিবহন মালিক সমিতি ও চিকিৎসকসহ সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সভাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক তরুণকে নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্ট্রি দেখানো হয়। যেখানে নিহত তরুণের মা বলেন, সরকারের কাছে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারানোরা শুধুমাত্র একটা দূর্ঘটনার সংখ্যা। এছাড়া আর কিছুই না। অথচ যার প্রিয়জন চলে যায়, সে বোঝে আসলে সামান্য কিছু নাকি বড় কিছু! আমার ছেলে হারানোর ব্যথা কখনো ভোলা সম্ভব না।
অবকাঠামোগত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের প্রাণ বাচাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে সরকারের কাছে আমি বাস-ট্রাক ও মোটরবাইকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লেন করার জন্য অনুরোধ করছি।
মতবনিমিয় সভায় প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলা হয়, পাঁচ থেকে ২৯ বছর বয়সের শিশু ও তরুণদের মৃত্যুর প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দূর্ঘটনায় ৯২ শতাংশ মৃত্যু ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহে; যা উন্নত দেশের তুলনায় তিন গুণ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, পুলিশ এবং বিআরটিএ’র তথ্য মতে, সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন-সকলের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বিআরটিএ শিশু ও তরুণদরে রক্ষায় কাজ করছে। এই তরুণদের রক্ষা না করলে ২০৪০ সালের পর দেশ ডেমোগ্রাফি ডিভিডেন্ট(জনমিতির সুফল) হারাবে।
এছাড়াও সেফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে নিরাপদ যানবহন করতে গাড়ীর ফিটনেস অটোমেশনে যাচ্ছে। দক্ষ চালক গড়ে তুলতে ড্রাইভারদেরকে ৬০ ঘন্টা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ট্রেনিং না হলে বিআরটিএ চালকদের লাইসেন্স দেবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দীন আহম চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন-রোডক্র্যাশ ও এক্সিডেন্ট দুটো পার্থক্য রয়েছে। রোডক্র্যাশ প্রতিরোধযোগ্য কিন্তু এক্সিডেন্ট প্রতিরোধযোগ্য না। তাই সড়কে সকলের নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রয়োজন। কারণ সড়ক পরিবহন আইন পরিবহন সংক্রান্ত আইন। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনা।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী ও গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিবিউটরের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. মো. শরিফুল আলম, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, শারমিন রহমান প্রমুখ।
মতবিনিময়ে তারা বলেন, একটি দেশের রাজধানীর সড়কে থাকা গণপরিবহনের দিকে তাকানো যায় না। একটারও কোন ছাল(রঙ) নেই, গ্লাস নেই এবং ফিটনেসের ভয়াবহ অবস্থা। অথচ কেউ দেখছে না। এই সব গণ পরিবহন বাদ দিয়ে অবশ্যই সব পক্ষের সাথে বসে মানসম্মত গণপরিবহন চালু করা উচিৎ।

সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে অবকাঠামোগত এবং আইনগত পরিবর্তন, ফিটনেসবিহীন সব গাড়ী তুলে নিয়ে মানসম্মত গণপরিবহন চালু ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ড্রাইভিং ট্রেইনিং সেন্টার পর্যন্ত সর্বত্রে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে সড়ক সংশ্লিষ্টরা।
রোববার রাজধানীর বনানীতে ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেমব্রেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আয়োজিত মতবিনিময় সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য রিমেম্বার, সাপোর্ট এন্ড অ্যাক্ট। র্অথাৎ ‘আমরা স্মরণ করি যারা রোডক্র্যাশে মারা গেছেন তাদের, সহায়তা নিয়ে থাকতে চাই আহতদের পাশে এবং জীবন বাঁচাতে নিতে চাই কার্যকর উদ্যোগ’।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, সড়ক দূর্ঘটনার শিকার ভুক্তভোগী পরিবার, পুলিশ, বিএরটিএ, ট্রাক এবং গণপরিবহন মালিক সমিতি ও চিকিৎসকসহ সড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সভাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক তরুণকে নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্ট্রি দেখানো হয়। যেখানে নিহত তরুণের মা বলেন, সরকারের কাছে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারানোরা শুধুমাত্র একটা দূর্ঘটনার সংখ্যা। এছাড়া আর কিছুই না। অথচ যার প্রিয়জন চলে যায়, সে বোঝে আসলে সামান্য কিছু নাকি বড় কিছু! আমার ছেলে হারানোর ব্যথা কখনো ভোলা সম্ভব না।
অবকাঠামোগত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের প্রাণ বাচাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে সরকারের কাছে আমি বাস-ট্রাক ও মোটরবাইকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লেন করার জন্য অনুরোধ করছি।
মতবনিমিয় সভায় প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলা হয়, পাঁচ থেকে ২৯ বছর বয়সের শিশু ও তরুণদের মৃত্যুর প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দূর্ঘটনায় ৯২ শতাংশ মৃত্যু ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশসমূহে; যা উন্নত দেশের তুলনায় তিন গুণ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, পুলিশ এবং বিআরটিএ’র তথ্য মতে, সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন-সকলের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বিআরটিএ শিশু ও তরুণদরে রক্ষায় কাজ করছে। এই তরুণদের রক্ষা না করলে ২০৪০ সালের পর দেশ ডেমোগ্রাফি ডিভিডেন্ট(জনমিতির সুফল) হারাবে।
এছাড়াও সেফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে নিরাপদ যানবহন করতে গাড়ীর ফিটনেস অটোমেশনে যাচ্ছে। দক্ষ চালক গড়ে তুলতে ড্রাইভারদেরকে ৬০ ঘন্টা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ট্রেনিং না হলে বিআরটিএ চালকদের লাইসেন্স দেবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দীন আহম চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন-রোডক্র্যাশ ও এক্সিডেন্ট দুটো পার্থক্য রয়েছে। রোডক্র্যাশ প্রতিরোধযোগ্য কিন্তু এক্সিডেন্ট প্রতিরোধযোগ্য না। তাই সড়কে সকলের নিরাপত্তার কথা ভেবে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রয়োজন। কারণ সড়ক পরিবহন আইন পরিবহন সংক্রান্ত আইন। কিন্তু নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনা।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী ও গ্লোবাল হেলথ এডভোকেসি ইনকিবিউটরের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর ড. মো. শরিফুল আলম, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, শারমিন রহমান প্রমুখ।
মতবিনিময়ে তারা বলেন, একটি দেশের রাজধানীর সড়কে থাকা গণপরিবহনের দিকে তাকানো যায় না। একটারও কোন ছাল(রঙ) নেই, গ্লাস নেই এবং ফিটনেসের ভয়াবহ অবস্থা। অথচ কেউ দেখছে না। এই সব গণ পরিবহন বাদ দিয়ে অবশ্যই সব পক্ষের সাথে বসে মানসম্মত গণপরিবহন চালু করা উচিৎ।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা আগামীকাল সোমবার। এ রায়ের জন্য সারাদেশের মানুষ; বিশেষ করে ওই আন্দোলনে হতাহত পরিবারের সদস্যরা অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) জোন ৪/২ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় আবাসিক প্লটে অননুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করা হয় এবং একাধিক অবৈধ দোকান ও রেস্টুরেন্ট উচ্ছেদ করা হয়।
৩৯ মিনিট আগে
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য করণীয় সব কিছুই করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিনি বলেন, একটি ভালো নির্বাচন করা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোন বিকল্প নেই।
২ ঘণ্টা আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আশেপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনাসদস্য মোতায়েন চেয়ে সেনা সদরে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
২ ঘণ্টা আগে