সরদার আনিছ
রাজধানীতে শনিবারের তুলনায় রোববার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রোববার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস । সকালে মেঘলা আকাশে ঝিরিঝিরি সামান্য বৃষ্টিও হয়েছে। সেই হিসেবে গরম কমার কথা কিন্তু গরম তো কমায়নি, বরং বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গরমের তীব্রতা বেড়েছে।
এছাড়া দুইদিনের ছুটি শেষে সবাই কাজে যোগ দিতে এসে সকাল থেকে গোটা নগরীতে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন। একদিকে ভাদ্রের প্রখর রোদে ভ্যাপসা গরম অন্যদিকে তীব্র যানজটে আটকে নগরবাসীর নাজেহাল অবস্থা।
সকাল ১০টা থেকে বাবুবাজার ব্রীজে তীব্র যানজট দেখা যায়। এছাড়া গুলিস্তান, সদরঘাট, জিরোপয়েন্ট সচিবালয়, কারওয়ানবাজার, পল্টন, কাকরাইলসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটে দীর্ঘসময় আটকে থাকতে দেখা গেছে।
বৃষ্টি কমে গিয়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য আর ভাদ্রের প্রখর রোদে সারাদেশে কয়েকদিন ধরেই ভ্যাপসা গরম। তাপমাত্রা খুব বেশি না থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় প্রচণ্ড গরম অনুভূতহচ্ছে। ঘরে-বাইরে সবখানেই এতটা ভ্যাপসা গরম যে মনে হচ্ছে গ্রীষ্মের তাপমাত্রাকেও হার মানিয়েছে।
অসহনীয় গরমে ছটফট করছে সারাদেশের মানুষ। সহসা এই গরম কমার কোনো লক্ষণ নেই। তবে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে হালকা বৃষ্টির পরিধি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আগের কয়েকদিনের তুলনায় আজকের আবহাওয়া কিছুটা নমনীয়। কেননা, আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের সারাদেশের ৫১টি স্টেশনের অর্ধেকের বেশি স্টেশনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ নেত্রকোনায় ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এসময় রাজধানীতে মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও যেসব এলাকায় বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে সেখানেও খুব সামান্য।
এরআগে শনিবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল কুমিল্লায় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রোববার খুলনা ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আজ রোববার সকাল থেকে সামান্য বৃষ্টি আর রাজধানীর আকাশে মেঘ জমাটবাঁধে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি তাপ তো কমায়নি, বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে প্রখর রোদে ভ্যাপসা গরমের দাপট বেড়েছে।
শনিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে এক ফোঁটা বৃষ্টি হয়নি। চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েক স্থানে সামান্য বৃষ্টি হয়। অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হয় উত্তরের পঞ্চগড়ে। ওই জেলার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় ৮২ মিলিমিটার। তবে আগের দিনের তুলনায় আজ বৃষ্টির পরিধি বাড়লেও গরম কমেনি।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আজ বৃষ্টি যে খুব বাড়বে, তা বলা যায় না। আর যে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে, তাতে গরম কমার সম্ভাবনা কম। তবে তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই গরম বেড়েছে। মাসের প্রথম দিন রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর থেকে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমে এলেও গরম কিন্তু কমেনি।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণেই এত গরম। আর এ আর্দ্রতার বেশি থাকার জন্য প্রচুর ঘাম হয়। এ ঘাম অস্বস্তি তৈরি করে বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।
এদিকে থেকে চলতি মাসের প্রথম দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সিলেটে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে ওই দিন তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে । তবে কোনো দিন হয়তো কোনো নিদিষ্ট এলাকায় দিনের কখনো বা সেটা ৩৫ ডিগ্রি কিংবা এর কিছুটা বেশি উঠছে। আবহাওয়ার এ অবস্থা শুধু রাজধানী ঢাকায় নয়, সারাদেশেই মোটামুটি একই রকম তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
সকালে রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টি যেন ভ্যাপসা গরম আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা না থাকায় দিনের সময় গড়ানোর সঙ্গে-সঙ্গে গরম আরও তীব্র থেকে তীব্র হয়েছে। দিনে রাতে ২৪ ঘণ্টায় টানা ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা বাড়লেও দেশে যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তাতে সারাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় কোনো তাপপ্রবাহ নেই। এরপরও কেন এতো গরম অনুভূত হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান আমার দেশের এই প্রতিবেদককে বলেন, সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকলেও তখন বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকে কম। প্রচণ্ড গরমে মানুষ তখনো অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, কিন্তু এতটা ঘাম কিংবা জনজীবনে অসহনীয় অবস্থা হয় না, এখন যতটা হচ্ছে। এর মূল কারণটা বৃষ্টি কমে বাতাসে আর্দ্রতার আধিক্য।
তিনি বলেন, বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে তাপমাত্রা কম থাকলেও বেশি গরম অনুভূত হয়। বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আবহাওয়ার এই অবস্থা আরো ২-৩দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া দেশজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে গরমের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে দেশে বৃষ্টির পরিমাণ কমে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকছে। এতে তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। ভ্যাপসা গরম এতোটাই তীব্র যে দিনরাতে ২৪ ঘণ্টায় মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
গুলিস্তান এলাকা ফুটপাতের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা এতোটাই বেশি যে দিনেরাতে সমানতালে গরম অনুভূত হচ্ছে। কোথাও গিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি না। ভ্যাপসা গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগস্ট মাসে দেশের চার বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। বাকি চার বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে আগস্টে স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র ১ শতাংশ বেশি হলেও চলতি মাসে স্বাভাবিক কিংবা স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
চলতি মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দুই থেকে তিনটি লঘুচাপের সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আবার এ মাসে এক থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
রাজধানীতে শনিবারের তুলনায় রোববার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে শনিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রোববার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস । সকালে মেঘলা আকাশে ঝিরিঝিরি সামান্য বৃষ্টিও হয়েছে। সেই হিসেবে গরম কমার কথা কিন্তু গরম তো কমায়নি, বরং বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গরমের তীব্রতা বেড়েছে।
এছাড়া দুইদিনের ছুটি শেষে সবাই কাজে যোগ দিতে এসে সকাল থেকে গোটা নগরীতে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন। একদিকে ভাদ্রের প্রখর রোদে ভ্যাপসা গরম অন্যদিকে তীব্র যানজটে আটকে নগরবাসীর নাজেহাল অবস্থা।
সকাল ১০টা থেকে বাবুবাজার ব্রীজে তীব্র যানজট দেখা যায়। এছাড়া গুলিস্তান, সদরঘাট, জিরোপয়েন্ট সচিবালয়, কারওয়ানবাজার, পল্টন, কাকরাইলসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটে দীর্ঘসময় আটকে থাকতে দেখা গেছে।
বৃষ্টি কমে গিয়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য আর ভাদ্রের প্রখর রোদে সারাদেশে কয়েকদিন ধরেই ভ্যাপসা গরম। তাপমাত্রা খুব বেশি না থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় প্রচণ্ড গরম অনুভূতহচ্ছে। ঘরে-বাইরে সবখানেই এতটা ভ্যাপসা গরম যে মনে হচ্ছে গ্রীষ্মের তাপমাত্রাকেও হার মানিয়েছে।
অসহনীয় গরমে ছটফট করছে সারাদেশের মানুষ। সহসা এই গরম কমার কোনো লক্ষণ নেই। তবে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে হালকা বৃষ্টির পরিধি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আগের কয়েকদিনের তুলনায় আজকের আবহাওয়া কিছুটা নমনীয়। কেননা, আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের সারাদেশের ৫১টি স্টেশনের অর্ধেকের বেশি স্টেশনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ নেত্রকোনায় ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। এসময় রাজধানীতে মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও যেসব এলাকায় বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে সেখানেও খুব সামান্য।
এরআগে শনিবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল কুমিল্লায় ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ রোববার খুলনা ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আজ রোববার সকাল থেকে সামান্য বৃষ্টি আর রাজধানীর আকাশে মেঘ জমাটবাঁধে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি তাপ তো কমায়নি, বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে প্রখর রোদে ভ্যাপসা গরমের দাপট বেড়েছে।
শনিবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। খুলনা ও বরিশাল বিভাগে এক ফোঁটা বৃষ্টি হয়নি। চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েক স্থানে সামান্য বৃষ্টি হয়। অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হয় উত্তরের পঞ্চগড়ে। ওই জেলার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় ৮২ মিলিমিটার। তবে আগের দিনের তুলনায় আজ বৃষ্টির পরিধি বাড়লেও গরম কমেনি।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, আজ বৃষ্টি যে খুব বাড়বে, তা বলা যায় না। আর যে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে, তাতে গরম কমার সম্ভাবনা কম। তবে তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই গরম বেড়েছে। মাসের প্রথম দিন রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পর থেকে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমে এলেও গরম কিন্তু কমেনি।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণেই এত গরম। আর এ আর্দ্রতার বেশি থাকার জন্য প্রচুর ঘাম হয়। এ ঘাম অস্বস্তি তৈরি করে বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৪২-এর বেশি হলে তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য হয়।
এদিকে থেকে চলতি মাসের প্রথম দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সিলেটে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে ওই দিন তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকছে । তবে কোনো দিন হয়তো কোনো নিদিষ্ট এলাকায় দিনের কখনো বা সেটা ৩৫ ডিগ্রি কিংবা এর কিছুটা বেশি উঠছে। আবহাওয়ার এ অবস্থা শুধু রাজধানী ঢাকায় নয়, সারাদেশেই মোটামুটি একই রকম তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
সকালে রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টি যেন ভ্যাপসা গরম আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা না থাকায় দিনের সময় গড়ানোর সঙ্গে-সঙ্গে গরম আরও তীব্র থেকে তীব্র হয়েছে। দিনে রাতে ২৪ ঘণ্টায় টানা ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা বাড়লেও দেশে যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তাতে সারাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় কোনো তাপপ্রবাহ নেই। এরপরও কেন এতো গরম অনুভূত হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান আমার দেশের এই প্রতিবেদককে বলেন, সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকলেও তখন বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকে কম। প্রচণ্ড গরমে মানুষ তখনো অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, কিন্তু এতটা ঘাম কিংবা জনজীবনে অসহনীয় অবস্থা হয় না, এখন যতটা হচ্ছে। এর মূল কারণটা বৃষ্টি কমে বাতাসে আর্দ্রতার আধিক্য।
তিনি বলেন, বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকলে তাপমাত্রা কম থাকলেও বেশি গরম অনুভূত হয়। বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আবহাওয়ার এই অবস্থা আরো ২-৩দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া দেশজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে গরমের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে দেশে বৃষ্টির পরিমাণ কমে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকছে। এতে তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। ভ্যাপসা গরম এতোটাই তীব্র যে দিনরাতে ২৪ ঘণ্টায় মানুষের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
গুলিস্তান এলাকা ফুটপাতের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতা এতোটাই বেশি যে দিনেরাতে সমানতালে গরম অনুভূত হচ্ছে। কোথাও গিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি না। ভ্যাপসা গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগস্ট মাসে দেশের চার বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। বাকি চার বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে আগস্টে স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্র ১ শতাংশ বেশি হলেও চলতি মাসে স্বাভাবিক কিংবা স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
চলতি মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ মাসে দুই থেকে তিনটি লঘুচাপের সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আবার এ মাসে এক থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেতিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও এসেম্বলিতে তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়েও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ সময় উপদেষ্টা তামাকমুক্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
১ ঘণ্টা আগেআগামী শুক্র ও শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে। এ জন্য ঢাকা কাস্টমস হাউসের সব শুল্ক দলের অফিস খোলা থাকবে। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এসংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট চেয়ে জটিলতা তৈরি করছে বিএনপি। নভেম্বরে গণভোট হলে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় থাকবে। বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে