জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, গত ১৭ বছরে শিক্ষাব্যবস্থাকে দুমড়েমুচড়ে ফেলা হয়েছে।
সোমবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রিসার্চ ফেয়ার ও অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় শিক্ষা এবং গবেষণায় অনন্য অবদান রাখায় মোট ১০১ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী রিসার্চ ফেয়ারের আয়োজন করে নোবিপ্রবি প্রশাসন।
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজুয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ (মুরাদ), নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ নোবিপ্রবি ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এ সময় প্রধান বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমাদেরকে নাগরিক থেকে অধিকারহীন জাতিতে পরিণত করতে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা আরো বলেন, গুম-খুনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অপরাজনীতির মাধ্যমে শিক্ষার মান নষ্ট করে দেয়া হয়েছে।
ফ্যাসিস্ট আমলের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণরুম এবং গেস্ট রুমের মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হতো। প্রটোকল শিখানোর নাম দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হতো।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার আরেকটা বড় কারণ ছিলো শিক্ষকদের ক্লাসবিমূখ হওয়া। শিক্ষকরা ক্লাসে না গিয়ে রাজনৈতিক আড্ডায় বেশি সময় দিতেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস এবং গবেষণার চেয়ে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো রাজনৈতিক আড্ডা দেওয়া।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ তৈরী করে দিয়েছে। আপনাদের কাছে আমার বিনীত নিবেদন আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দির ভিতর রাজনীতি আনবেন না। রাজনৈতিক অঙ্গনে আপনাদের মত যোগ্য লোকের প্রয়োজন। যারা রাজনীতি করতে চান তাদের শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেয়া উচিত হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা রক্ষা করতে সবকিছু নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। বৈষম্য দূর করার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হলো শিক্ষা। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চিন্তার বিপ্লব ঘটাতে হবে। গবেষণায় আমাদেরকে বেশি সময় দিতে হবে। আমাদের সম্পদের অপ্রতুলতা আছে সত্যি তবে আমাদের ইচ্ছাশক্তির কোনো কমতি নেই। চাইলে আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারবো।
এমএস
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, গত ১৭ বছরে শিক্ষাব্যবস্থাকে দুমড়েমুচড়ে ফেলা হয়েছে।
সোমবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রিসার্চ ফেয়ার ও অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় শিক্ষা এবং গবেষণায় অনন্য অবদান রাখায় মোট ১০১ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী রিসার্চ ফেয়ারের আয়োজন করে নোবিপ্রবি প্রশাসন।
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজুয়ানুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ (মুরাদ), নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ নোবিপ্রবি ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এ সময় প্রধান বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমাদেরকে নাগরিক থেকে অধিকারহীন জাতিতে পরিণত করতে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা আরো বলেন, গুম-খুনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অপরাজনীতির মাধ্যমে শিক্ষার মান নষ্ট করে দেয়া হয়েছে।
ফ্যাসিস্ট আমলের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণরুম এবং গেস্ট রুমের মাধ্যমে নবীন শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করা হতো। প্রটোকল শিখানোর নাম দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হতো।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার আরেকটা বড় কারণ ছিলো শিক্ষকদের ক্লাসবিমূখ হওয়া। শিক্ষকরা ক্লাসে না গিয়ে রাজনৈতিক আড্ডায় বেশি সময় দিতেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস এবং গবেষণার চেয়ে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো রাজনৈতিক আড্ডা দেওয়া।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমাদের তরুণ সমাজ অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তারা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথ তৈরী করে দিয়েছে। আপনাদের কাছে আমার বিনীত নিবেদন আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দির ভিতর রাজনীতি আনবেন না। রাজনৈতিক অঙ্গনে আপনাদের মত যোগ্য লোকের প্রয়োজন। যারা রাজনীতি করতে চান তাদের শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেয়া উচিত হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা রক্ষা করতে সবকিছু নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। বৈষম্য দূর করার সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হলো শিক্ষা। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চিন্তার বিপ্লব ঘটাতে হবে। গবেষণায় আমাদেরকে বেশি সময় দিতে হবে। আমাদের সম্পদের অপ্রতুলতা আছে সত্যি তবে আমাদের ইচ্ছাশক্তির কোনো কমতি নেই। চাইলে আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারবো।
এমএস
পরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৬ মিনিট আগেসেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেতিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও এসেম্বলিতে তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়েও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ সময় উপদেষ্টা তামাকমুক্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
২ ঘণ্টা আগেআগামী শুক্র ও শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে। এ জন্য ঢাকা কাস্টমস হাউসের সব শুল্ক দলের অফিস খোলা থাকবে। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এসংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে