সুষ্ঠু নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের ওপর নির্ভর করলেও সবচেয়ে বেশি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলের ওপর বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার।
শুক্রবার(১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হবে। সেইসাথে আইন ও বিধি-বিধান প্রয়োগ করতে হবে। একই সাথে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। সেইসাথে তাদের যে আইন ও বিধি-বিধান আছে -সেগুলো প্রয়োগ করতে হবে। কারণ ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলো ও তাদের প্রার্থীরা হয়তো আচরণবিধি সবই অমান্য করবে। নির্বাচন কমিশন এই পর্যন্ত কোন কঠোরতা দেখাতে পারে নাই। কাজেই ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশনের কঠোরতার ওপর নির্ভর করবে সুষ্ঠু নির্বাচন। আর আমার মনে হয় সুষ্ঠু নির্বাচন সবচেয়ে বেশি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলের ওপর এবং তাদের প্রার্থীদের সদাচরণের ওপর।
তিনি বলেন, ওই নির্বাচন দুটো সুষ্ঠু হওয়ার কারণ রাজনৈতিক দলগুলো একটা আচরণবিধি প্রণয়ন করেছিল তিন জোটের রূপরেখার অংশ হিসেবে। আচরণবিধি মেনে কোনরকম অভিযোগ হলে তারা নিজেরাই এর সমাধান করেছেন। তাই বলতে চাই-আমাদের নির্বাচন কমিশনের উপর যেমন নির্ভর করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরও নির্ভর করে। তারা যদি সদাচরণ করে, তবে এটি অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব। তারা সদাচরণ করার অঙ্গীকারবদ্ধ না হলে পুলিশ-আর্মি কেউই কিছু করতে পারবে না।
সুষ্ঠু নির্বাচনের বল এখন রাজনৈতিক দল এবং একই সাথে নির্বাচন কমিশনের কোটে উল্লেখ করে তিনি নির্বাচন কমিশনকে সংস্কারের পাশাপাশি আইন ও বিধিবিধান মানায় কঠোরতা দেখানোর আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আলতাফ পারভেজ, স্বপন আদনান, জিয়া আহসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার প্রমুখ।

