মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়নে মিশনের কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪: ০০

মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়ে কর্মশালা করেছে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাটাবন সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ কর্মশালা সভাপতিত্ব করেন মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন।

সেক্রেটারি জেনারেল ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানীর সঞ্চালনায় দেশ বরেণ্য অর্ধশতাধিক ইমাম, খতিব ও সাবেক আমলাদের উপস্থিতিতে মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়নের মৌলিক দিকসমূহ তুলে ধরা হয়।

বিজ্ঞাপন

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদীন বলেন, মসজিদ আল্লাহর ঘর। পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র জায়গা। কাজেই আদর্শ দেশ ও জাতি গঠনে মসজিদের ভূমিকা অপরিসীম। তাছাড়া মসজিদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে মর্যাদাবান। তিনি আরো বলেন, আজকে আপনারা যে মতামত দিয়েছেন আপনাদের এই মতামত, অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একঝাঁক মেধাবীদের ইমাম ও খতিবদের পরামর্শগুলো নিয়ে আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত মসজিদ সমূহের জন্য একটি অভিজ্ঞ নীতিমালা প্রণয়ন করব যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।

কর্মশালায় মসজিদ মিশনের পক্ষ থেকে ২২ পৃষ্ঠা বিশিষ্ট একটি খসড়া ‘মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা’ প্রস্তাব পেশ করেন মসজিদ মিশনের জেনারেল সেক্রেটারি ও তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী। কর্মশালায় উপস্থাপিত নীতিমালা প্রস্তাবের উপর উপস্থিত আলেম উলামা সুনির্দিষ্ট ও সুচিন্তিত পরামর্শ প্রদান করেন।

মসজিদ ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা প্রণয়নের মৌলিক দিকসমূহের মধ্যে অন্যতম হল- দেশের সব মসজিদকে অভিন্ন নীতিমালা আওতায় পরিচালনার উদ্যোগ, মসজিদ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি কমিটি বা কর্তৃপক্ষের কোন অধিকার ক্ষুণ্ন করা হবে না, সব মসজিদে একটি পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবেন যারা নিয়মিত মুসল্লী ও ইসলামী আদর্শে বা মূল্যবোধে বিশ্বাসী। সেক্ষেত্রে অনিয়মিত মুসল্লী এবং চিহ্নিত অপরাধীকে মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে না রাখা, মসজিদের ইমাম বা খতিবকে পরিচালনা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা, মসজিদ কমিটি, ইমাম খতিব ও মুসল্লিদের মাঝে একটি গভীর সেতু বন্ধন তৈরি করা, ইমাম খতিব মোয়াজ্জিন খাদেম সব কর্মচারীর নিয়োগ বিয়োগ একটি নীতিমালা থাকতে হবে, ইমাম খতিবরা অবমাননাকর পরিস্থিতির শিকার যেন না হয় সে ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিক থাকতে হবে, মসজিদের ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনসহ সবার জীবন যাপনের জন্য একটি মানসম্মত সম্মানী নির্ধারণ করা, মসজিদের উদ্যোগে নিয়মিত মাসিক ও সাপ্তাহিক ইসলামিক জলসার আয়োজন করা, ইমাম-মুয়াজ্জিনকে দিয়ে সুবহে মক্তব ও কোরআন শিক্ষার কার্যকরী ব্যবস্থা রাখা এবং সন্ধ্যায় মসজিদ কেন্দ্রিক বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শায়েখ আনম রশীদ আহমাদ মাদানী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, সাতারকুল নুর মুহাম্মাদ ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মিসবাহুল উলুম কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. মহিউদ্দিন আহমাদ, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টংগী শাখার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা লুতফুর রহমান, মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমাদ, মাওলানা নাসিরুদ্দিন হেলালী, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, ড. মাওলানা নুরুল্লাহ মাদানী, নিবরাস মাদরাসার প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ মুতাসিম বিল্লাহ মাক্কী, ডক্টর অধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিন আহমেদ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আজহারী, ড. কামরুল ইসলাম শাহীন, মুফতি ইউসুফ মাহমুদী, মাওলানা জহিরুল ইসলাম জাবেরী, মুহাদ্দিস আব্দুল গফফার মাক্কী প্রমুখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত