মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা
ওয়াসিম সিদ্দিকী
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিদের সবাইকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। এ জন্য তদন্তকারী সংস্থা কোতোয়ালি থানা-পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর মধ্যে যাদের চিহ্নিত করা গেছে, তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে ভিডিওতে দেখা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সাদা গেঞ্জি পরা ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্যপ্রযুক্তিসহ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে ছয়জন রিমান্ডে রয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যারাই জড়িত, যে দলের বা মতেরই হোক; কোনো ছাড় নয়। নির্মোহভাবে তদন্ত কাজ এগোবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে ছাড়ার সুযোগ নেই।
গত ৯ জুলাই বিকাল আনুমানিক ৬টার দিকে রাজধানীর মিটফোর্ডে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়িভাবে পাথরের আঘাত ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এর আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
ঘটনার পরদিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো—মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, সারোয়ার হোসেন টিটু, মনির ওরফে ছোট মনির, মো. নান্নু, সজীব, রিয়াদ, টিটন গাজী, রাজীব, সাবাহ করিম লাকী, কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু, রজব আলী পিন্টু, সিরাজুল ইসলাম, মিজান, অপু দাস, হিম্মত আলী ও আনিসুর রহমান হাওলাদার।
এ ঘটনায় দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এমন নৃশংসভাবে মানুষ হত্যার বিষয়টিকে অনেকে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেন। কেউ কেউ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন মোড়ে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার আওয়ামী বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর এজাহারভুক্ত আসামি মহিন (৪১) ও রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়। পরে র্যাব গ্রেপ্তার করে দুজনকে। এরা হলো আলমগীর (২৮) ও ছোট মনির (২৫)। শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় মো. টিটন গাজী (৩২) নামে আরো এক এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
আসামি দুই ভাইয়ের ৫ দিনের রিমান্ড
এদিকে সোহাগ হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দুই ভাই সজীব ব্যাপারী ও রাজিব ব্যাপারীর ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত এ আদেশ দেয়। এ দিন আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে দুজনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে আসামিদের পক্ষে এদিনও কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আসামিদের পক্ষে মামলা না লড়ার সিদ্ধান্ত
সোহাগ হত্যায় গ্রেপ্তার আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করবে না বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিট। পাশাপাশি অন্য আইনজীবীদেরও এ মামলায় আসামিদের পক্ষ হয়ে আদালতে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের আহ্বায়ক মো. খোরশেদ আলম এ আহ্বান জানান। সংগঠনটির ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব নিহার হোসেন ফারুকের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন, আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল খালেক মিলন প্রমুখ।
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামিদের সবাইকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। এ জন্য তদন্তকারী সংস্থা কোতোয়ালি থানা-পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর মধ্যে যাদের চিহ্নিত করা গেছে, তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে ভিডিওতে দেখা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সাদা গেঞ্জি পরা ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্যপ্রযুক্তিসহ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে ছয়জন রিমান্ডে রয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যারাই জড়িত, যে দলের বা মতেরই হোক; কোনো ছাড় নয়। নির্মোহভাবে তদন্ত কাজ এগোবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে ছাড়ার সুযোগ নেই।
গত ৯ জুলাই বিকাল আনুমানিক ৬টার দিকে রাজধানীর মিটফোর্ডে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়িভাবে পাথরের আঘাত ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এর আগে সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
ঘটনার পরদিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো—মাহমুদুল হাসান মহিন, তারেক রহমান রবিন, আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, সারোয়ার হোসেন টিটু, মনির ওরফে ছোট মনির, মো. নান্নু, সজীব, রিয়াদ, টিটন গাজী, রাজীব, সাবাহ করিম লাকী, কালু ওরফে স্বেচ্ছাসেবক কালু, রজব আলী পিন্টু, সিরাজুল ইসলাম, মিজান, অপু দাস, হিম্মত আলী ও আনিসুর রহমান হাওলাদার।
এ ঘটনায় দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এমন নৃশংসভাবে মানুষ হত্যার বিষয়টিকে অনেকে শেখ হাসিনার শাসনামলের বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেন। কেউ কেউ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন মোড়ে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার আওয়ামী বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর এজাহারভুক্ত আসামি মহিন (৪১) ও রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করা করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়। পরে র্যাব গ্রেপ্তার করে দুজনকে। এরা হলো আলমগীর (২৮) ও ছোট মনির (২৫)। শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় মো. টিটন গাজী (৩২) নামে আরো এক এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
আসামি দুই ভাইয়ের ৫ দিনের রিমান্ড
এদিকে সোহাগ হত্যামামলায় গ্রেপ্তার দুই ভাই সজীব ব্যাপারী ও রাজিব ব্যাপারীর ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত এ আদেশ দেয়। এ দিন আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে দুজনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। তবে আসামিদের পক্ষে এদিনও কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আসামিদের পক্ষে মামলা না লড়ার সিদ্ধান্ত
সোহাগ হত্যায় গ্রেপ্তার আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করবে না বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা বার ইউনিট। পাশাপাশি অন্য আইনজীবীদেরও এ মামলায় আসামিদের পক্ষ হয়ে আদালতে না দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের আহ্বায়ক মো. খোরশেদ আলম এ আহ্বান জানান। সংগঠনটির ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব নিহার হোসেন ফারুকের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন, আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল খালেক মিলন প্রমুখ।
ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৫ মিনিট আগেপরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৫ মিনিট আগেসেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেতিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় ও এসেম্বলিতে তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়েও এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এ সময় উপদেষ্টা তামাকমুক্ত বিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
২ ঘণ্টা আগে