ইমদাদ হোসাইন
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শিক্ষা খাতে মূল্যস্ফীতি ক্রমেই বাড়ছে। টিউশন ফি, কোচিং ফি, বই-খাতা-কলমের দাম, পরিবহন ও আনুষঙ্গিক খরচÑসবখানেই ব্যয় বাড়ছে। টানা তিন মাস ধরে এ ধারা অব্যাহত থাকায় শুধু শিক্ষাব্যয়ই নয়, পুরো পরিবারে আর্থিক চাপ পড়ছে। তিন বছরের উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে হাঁসফাঁস করতে থাকা পরিবারগুলোর জন্য এটি আরো উদ্বেগজনক। বিগত কয়েক বছর মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে, সরকারের শিক্ষায় বিনিয়োগ সেভাবে বাড়েনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি মাসে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে খাতভিত্তিক মূল্যস্ফীতিও দেখানো হয়। সিপিআইর আগস্ট মাসের তথ্যে দেখা যায়, এ মাসে শিক্ষা খাতের মূল্যস্ফীতি বেড়ে আট দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে। এটি তিন মাস ধরে বাড়ছে। শিক্ষা খাতের মূল্যস্ফীতি দেশের গড় মূল্যস্ফীতির চেয়েও বেশি। আগস্টের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় আট দশমিক ২৯ শতাংশে।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে শিক্ষা খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল আট দশমিক ৩৯ শতাংশ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে তা আরো বেড়ে আট দশমিক ৫৭ শতাংশে দাঁড়ায়। আগস্টে তা আরো বেড়ে ৯ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ, আট দশমিক ৯৭ শতাংশে দাঁড়াল।
শিক্ষা খাতের অব্যবস্থাপনার কারণেই এ খাতের ব্যয় বেড়েছে বলে মনে করেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু। আমার দেশকে তিনি বলেন, শিক্ষা এখন শিক্ষার জায়গায় নেই, এটি এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সেখানে যায়ই বাণিজ্য করতে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষাব্যবস্থার ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর দ্বৈত প্রকৃতি। সরকারি ব্যয়ের পাশাপাশি পরিবারগুলোর ওপরও অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা বর্তাচ্ছে।
ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের শিক্ষার মোট খরচের ৭১ শতাংশ বহন করে পরিবারগুলো, যা বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ হার। এই উচ্চ ব্যয়ের মূল কারণ হলো, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানের প্রতি অসন্তোষ এবং আসনসংখ্যার সীমাবদ্ধতা। এটি পরিবারগুলোকে ব্যয়বহুল বেসরকারি খাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাজেট বাড়ার একটি বড় অংশ পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আমার দেশকে বলেন, মূল্যস্ফীতি সব জায়গাতেই বাড়ছে। শিক্ষা উপকরণের ব্যয় বাড়ছে, প্রাতিষ্ঠানিক খরচ, ব্যবস্থাপনা বয় বেড়েই চলছে। খরচ এক জায়গায় স্থিতিশীল রাখা যাচ্ছে না। বাজারে যেটি আজ ৫০ টাকা, সেটি কাল হঠাৎ করে ১০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে শিক্ষা উপকরণসহ সব পণ্যে সামগ্রিক ব্যয় ও বাজার ব্যবস্থাপনা যদি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, বিশেষ করে যে উপকরণ শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে, শিক্ষকরা করেনÑসেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে একই ধরনের বাজারমূল্য থাকবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শিক্ষা খাতে মূল্যস্ফীতি ক্রমেই বাড়ছে। টিউশন ফি, কোচিং ফি, বই-খাতা-কলমের দাম, পরিবহন ও আনুষঙ্গিক খরচÑসবখানেই ব্যয় বাড়ছে। টানা তিন মাস ধরে এ ধারা অব্যাহত থাকায় শুধু শিক্ষাব্যয়ই নয়, পুরো পরিবারে আর্থিক চাপ পড়ছে। তিন বছরের উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে হাঁসফাঁস করতে থাকা পরিবারগুলোর জন্য এটি আরো উদ্বেগজনক। বিগত কয়েক বছর মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে, সরকারের শিক্ষায় বিনিয়োগ সেভাবে বাড়েনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতি মাসে ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে খাতভিত্তিক মূল্যস্ফীতিও দেখানো হয়। সিপিআইর আগস্ট মাসের তথ্যে দেখা যায়, এ মাসে শিক্ষা খাতের মূল্যস্ফীতি বেড়ে আট দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে। এটি তিন মাস ধরে বাড়ছে। শিক্ষা খাতের মূল্যস্ফীতি দেশের গড় মূল্যস্ফীতির চেয়েও বেশি। আগস্টের গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় আট দশমিক ২৯ শতাংশে।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে শিক্ষা খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল আট দশমিক ৩৯ শতাংশ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে তা আরো বেড়ে আট দশমিক ৫৭ শতাংশে দাঁড়ায়। আগস্টে তা আরো বেড়ে ৯ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ, আট দশমিক ৯৭ শতাংশে দাঁড়াল।
শিক্ষা খাতের অব্যবস্থাপনার কারণেই এ খাতের ব্যয় বেড়েছে বলে মনে করেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু। আমার দেশকে তিনি বলেন, শিক্ষা এখন শিক্ষার জায়গায় নেই, এটি এখন বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সেখানে যায়ই বাণিজ্য করতে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষাব্যবস্থার ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর দ্বৈত প্রকৃতি। সরকারি ব্যয়ের পাশাপাশি পরিবারগুলোর ওপরও অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা বর্তাচ্ছে।
ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের শিক্ষার মোট খরচের ৭১ শতাংশ বহন করে পরিবারগুলো, যা বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ হার। এই উচ্চ ব্যয়ের মূল কারণ হলো, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মানের প্রতি অসন্তোষ এবং আসনসংখ্যার সীমাবদ্ধতা। এটি পরিবারগুলোকে ব্যয়বহুল বেসরকারি খাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাজেট বাড়ার একটি বড় অংশ পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আমার দেশকে বলেন, মূল্যস্ফীতি সব জায়গাতেই বাড়ছে। শিক্ষা উপকরণের ব্যয় বাড়ছে, প্রাতিষ্ঠানিক খরচ, ব্যবস্থাপনা বয় বেড়েই চলছে। খরচ এক জায়গায় স্থিতিশীল রাখা যাচ্ছে না। বাজারে যেটি আজ ৫০ টাকা, সেটি কাল হঠাৎ করে ১০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে শিক্ষা উপকরণসহ সব পণ্যে সামগ্রিক ব্যয় ও বাজার ব্যবস্থাপনা যদি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, বিশেষ করে যে উপকরণ শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে, শিক্ষকরা করেনÑসেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে একই ধরনের বাজারমূল্য থাকবে।
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট ক্রয় করতে হবে, যেখানে প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস এবং কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
২৩ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪১ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে সনদে স্বাক্ষরের যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ঐক্য ও পরিবর্তনের প্রতি যৌথ অঙ্গীকারের প্রতীক। এটি আসন্ন নির্বাচনের আগে আস্থা তৈরিতেও সহায়ক হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেঅংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনি যুদ্ধকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, নির্বাচনী যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
১ ঘণ্টা আগে