দুদক চেয়ারম্যান

হাসিনা ও পরিবারের দুর্নীতি মামলার রায় হতে পারে অক্টোবর-নভেম্বরে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ২১

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে চলমান দুর্নীতি মামলার কয়েকটির রায় আসতে পারে আগামী অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে লেবার পার্টির আইনপ্রণেতা টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলাও সচল হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার সকালে রাজধানীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও দুদকের এক সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। দুদকের পক্ষে মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এবং টিআইবির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সই করেন। ৫ বছরের জন্য সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে আসেন দুই সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা সাংবাদিকদের সামনে খোলামেলা কথা বলেন।

দুদক জানায়, সমঝোতা স্মারকের আওতায় দুদক ও টিআইবি দুর্নীতি প্রতিরোধে গণসচেতনতা, পদ্ধতিগত উৎকর্ষ এবং নৈতিকতার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, জনসম্পৃক্ততা, অধিপরামর্শ ও প্রচারাভিযান পরিচালনার পাশাপাশি যৌথ উদ্যোগে গবেষণা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকের ৬টি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। আশা করছি, সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অক্টোবর অথবা নভেম্বরের শেষ দিকে আদালতের বিবেচনায় রায় এসে যাবে। হাইকোর্টের আদেশের আটকে যাওয়া গুলশানে টিউলিপ সিদ্দিকের ফ্ল্যাট জালিয়াতির মামলাও সচল হবে।

টিআইবির সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে শুধু আইন প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, সামাজিক প্রতিরোধও গড়ে তোলা জরুরি। তার মতে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগ দুর্নীতি প্রতিরোধে শক্ত ভিত তৈরি করবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে টিআইবির সঙ্গে এই সমঝোতা।

তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সরকার প্রতিবাদ না করে সূচকের ফল মেনে নিয়েছে। এটি সত্যের কাছাকাছি, তাই আমরা গ্রহণ করেছি। দুদক যদি দুর্নীতিমুক্ত না হয়, তবে অন্য প্রতিষ্ঠানকে বলার নৈতিক অধিকার থাকে না। তাই নিজেদের ঘরে দুর্নীতি রোধে আমরা কাজ করছি এবং এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

এসময় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, দুদক সংস্কারের ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রতিবন্ধকতা নেই। আশুকরণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে নেই। আমরা সংস্কারে যে সুপারিশগুলো জমা দিয়েছি, তার দুটি দিক রয়েছে। একটা দিক হচ্ছে সরকারের সিদ্ধান্তক্রমে সুপারিশ বাস্তবায়ন, কিছু সুপারিশ আছে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য দরকার। সেগুলো নিয়ে ঐকমম্য কমিশনে আলোচনা হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত