‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল আ.লীগকে টিকিয়ে রাখার কৌশল’

রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩: ৩৫
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৪৭

অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক একটি কৌশল ছিল পিলখানা হত্যাকাণ্ড। এর মাধ্যমেই সংবিধানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। কারণ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের জন্য সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সম্ভব হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

শনিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ডরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করেছে। সঠিক তদন্তের প্রেক্ষিতে বিচার প্রক্রিয়া চালানোর কাজও শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডে আমরা জাতির সূর্য সন্তানদের হারিয়েছি। তাদেরকে হারানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ভিতকে আঘাত করা হয়েছে। ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাদের হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের কবর রচনা করে নৈরাজ্যবাদের জন্ম দিয়েছিল পতিত আওয়ামী সরকার। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিডিআরের পোশাক পরে পিলখানা হত্যাকান্ডে অংশ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে দেশকে চোরাবালির সন্ধিক্ষণে দাঁড় করানো হয়েছিল। একটি রাষ্ট্র বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে বাংলাদেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে খুন-গুমের সাথে জড়িত ব্যক্তিকে আশ্রয় দিয়েছে।

পিলখানায় হত্যাকান্ডের সঠিক বিচারের দাবিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ নিম্নের ১০ দফা দাবি উত্থাপন করে বলেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের তদন্তের স্বার্থে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের লক্ষ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা অথবা তদন্ত টিম ভারতীয় সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তিনি যে স্থানে অবস্থান করছেন সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র বিতার্কিকদের পরাজিত করে তেজগাঁও কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিক, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মিশন ও সাংবাদিক মো. আতিকুর রহমান।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত