আলোচনা সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার

দেশে ক্রমাগত বাড়ছে স্ট্রোক ও স্পেনাইনাল ইনজুরির রোগী। অনেকক্ষেত্রে তাদের অস্ত্রোপচার যথেষ্ট নয় বরং স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন অপরিহার্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশনে জনবল নিয়োগ দেয়া হলে মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমএ) জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
সমন্বিত পুনর্বাসন চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটিতে বিএমইউয়ের বটতলায় বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন। র্যালির উদ্বোধন করেন বিএমইউয়ের উপর-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা মো শাহিনুল আলম।
সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা মো তসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বিএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরিন আক্তার, সোসইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী হাসান, বিএমইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, বিএমিউর পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, সহকারী প্রক্টর ডা. মো. এরশাদ আহসান সোহেল, হাসপাতাল উপ-পরিচালক ডা. আবু নাছেরসহ অনেকে।
এ সময় সমন্বিত উদ্যোগের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, আজকের জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সমন্বিত পুনর্বাসনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা’—অত্যন্ত সময়োপযোগী। বর্তমানে স্ট্রোক, দুর্ঘটনা, আর্থরাইটিস ও স্পাইনাল ইনজুরিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এসব ক্ষেত্রে ওষুধ বা অস্ত্রোপচারই যথেষ্ট নয়— রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন অপরিহার্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ইতোমধ্যে দেশের প্রথম রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার স্থাপন করেছি—যা পুনর্বাসন চিকিৎসায় প্রযুক্তির এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। আধুনিক রোবোটিক থেরাপির মাধ্যমে রোগীরা আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে সুস্থ হচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের এই উদ্যোগ সমাজে সচেতনতা বাড়াবে এবং পুনর্বাসন চিকিৎসায় সরকার, প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চিকিৎসক সমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য আপনারা (ডাক্তার) যে হার্ড ওয়ার্ক করেন, রিসার্চ করেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। ক্রিকেট খেলতে ফিজিক্যাল ও মেন্টাল দিকটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি একজন খেলোয়াড় ভালো পার্ফরমেন্স করতে চান ফিজিক্যাল ম্যান্টেইনের জন্য আপনাদের সাহায্য আমাদের প্রয়োজন। আমাদের রান হয়তো কাউন্ট হয় কিন্তু আপনারা যারা আমাদের সুস্থতায় কাজ করেন তারা যে পারফর্মেন্স করেন তাদের রানটা আর কাউন্ট হয় না। আমরা যখন অসুস্থ হই তখন সেবা নি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা মো তসলিম উদ্দিন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি— সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী ও মানবিক পুনর্বাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। আমরা সবসময় মনে করি, ‘ডিসএবিলিটি মানেই ডিজএবল নয়।’ এটি আসলে ‘ডিফারেন্ট অ্যাবিলিটি।’ যদি আমরা তাদের সীমাবদ্ধতার পাশে কিছু সক্ষমতা যোগ করতে পারি, তবে তাদের অক্ষমতা অনেকাংশেই কমে আসে। ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেই সক্ষমতাই তৈরি করে—মানুষকে নতুন শক্তি, নতুন দক্ষতা ও নতুন আশার আলো দেয়।
সোসাইটি জেনারেল সেক্রেটারি সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশনের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে বলেন, দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

দেশে ক্রমাগত বাড়ছে স্ট্রোক ও স্পেনাইনাল ইনজুরির রোগী। অনেকক্ষেত্রে তাদের অস্ত্রোপচার যথেষ্ট নয় বরং স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন অপরিহার্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশনে জনবল নিয়োগ দেয়া হলে মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমএ) জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
সমন্বিত পুনর্বাসন চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটিতে বিএমইউয়ের বটতলায় বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন। র্যালির উদ্বোধন করেন বিএমইউয়ের উপর-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।
পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা মো শাহিনুল আলম।
সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা মো তসলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বিএমইউর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরিন আক্তার, সোসইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী হাসান, বিএমইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, বিএমিউর পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, সহকারী প্রক্টর ডা. মো. এরশাদ আহসান সোহেল, হাসপাতাল উপ-পরিচালক ডা. আবু নাছেরসহ অনেকে।
এ সময় সমন্বিত উদ্যোগের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, আজকের জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য—‘সমন্বিত পুনর্বাসনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা’—অত্যন্ত সময়োপযোগী। বর্তমানে স্ট্রোক, দুর্ঘটনা, আর্থরাইটিস ও স্পাইনাল ইনজুরিতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এসব ক্ষেত্রে ওষুধ বা অস্ত্রোপচারই যথেষ্ট নয়— রোগীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন অপরিহার্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ইতোমধ্যে দেশের প্রথম রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার স্থাপন করেছি—যা পুনর্বাসন চিকিৎসায় প্রযুক্তির এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। আধুনিক রোবোটিক থেরাপির মাধ্যমে রোগীরা আরও দ্রুত ও কার্যকরভাবে সুস্থ হচ্ছেন। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের এই উদ্যোগ সমাজে সচেতনতা বাড়াবে এবং পুনর্বাসন চিকিৎসায় সরকার, প্রতিষ্ঠান ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চিকিৎসক সমাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য আপনারা (ডাক্তার) যে হার্ড ওয়ার্ক করেন, রিসার্চ করেন তা প্রশংসার দাবি রাখে। ক্রিকেট খেলতে ফিজিক্যাল ও মেন্টাল দিকটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি একজন খেলোয়াড় ভালো পার্ফরমেন্স করতে চান ফিজিক্যাল ম্যান্টেইনের জন্য আপনাদের সাহায্য আমাদের প্রয়োজন। আমাদের রান হয়তো কাউন্ট হয় কিন্তু আপনারা যারা আমাদের সুস্থতায় কাজ করেন তারা যে পারফর্মেন্স করেন তাদের রানটা আর কাউন্ট হয় না। আমরা যখন অসুস্থ হই তখন সেবা নি।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা মো তসলিম উদ্দিন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি— সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী ও মানবিক পুনর্বাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। আমরা সবসময় মনে করি, ‘ডিসএবিলিটি মানেই ডিজএবল নয়।’ এটি আসলে ‘ডিফারেন্ট অ্যাবিলিটি।’ যদি আমরা তাদের সীমাবদ্ধতার পাশে কিছু সক্ষমতা যোগ করতে পারি, তবে তাদের অক্ষমতা অনেকাংশেই কমে আসে। ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন সেই সক্ষমতাই তৈরি করে—মানুষকে নতুন শক্তি, নতুন দক্ষতা ও নতুন আশার আলো দেয়।
সোসাইটি জেনারেল সেক্রেটারি সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশনের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে বলেন, দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে তিন বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ব্যাপারী। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে স্থানীয় প্রশাসনের রদবদলের অংশ হিসেবে ঢাকাসহ ২৩ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে নতুন ডিসি নিয়োগ করার কথা জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইমাম প্রশিক্ষণে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি সরকারের ইসলাম বিষয়ক, দাওয়াহ ও দিকনির্দেশনা মন্ত্রী শেখ ড. আব্দুল লতীফ বিন আবদুল আযীজ আল-শাইখ।
৫ ঘণ্টা আগে
চলতি নভেম্বরের প্রথম ১২ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪২১ কোটি ২০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)।
৭ ঘণ্টা আগে