মশার প্রাকৃতিক শত্রুর সংরক্ষণ করে জৈবিক দমনে জোর কীটতত্ত্ববিদদের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ১৯: ৫৮

উলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া (মশার শরীরে ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বাধাদানকারী ব্যাকটেরিয়া) দ্বারা আক্রান্ত মশা প্রকৃতিতে অবস্থান করে ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রকৃতির অন্যান্য জীবের ওপর কোনো প্রকার বিরূপ প্রভাব‌ও ফেলনা বলে জানিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদেরা। তাই, মশার প্রাকৃতিক শত্রুর সংরক্ষণ করে জৈবিক দমনের ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৭ জুন) জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) কীটতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত “এডিস মশার টেকসই ব্যবস্থাপনা: উলবাকিয়া ইন্টারভেনশ” শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন কীটতত্ত্ব বিভাগের ডা. দিলখুশ জাহান।

সেমিনারে নিপসমে পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক ও পরিবেশগত সকল প্যারামিটারকে বিবেচনায় নিয়েই উলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া আমাদের দেশে ব্যবহার করা প্রযোজনা।’

প্রতিষ্ঠানটির কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার বলেন, ‘উলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়া এডিস মশার ডেঙ্গু ভাইরাস পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে বাধাগ্রস্ত করে। এই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত মশা প্রকৃতিতে অবস্থান করে ভারসাম্য বজায় রাখতে যেমন সক্ষম, একইভাবে প্রকৃতির অন্যান্য জীবের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাবও ফেলনা। যা প্রকৃতিতে পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ। উলবাকিয়া হলো গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া, যা পোষক কোষের ভিতরে বাস করে এবং সোমাটিক এবং জার্মলেয়ার টিস্যুকে সংক্রামিত করে। এই ব্যাকটেরিয়া সাধারণত প্রকৃতিতে অবস্থিত ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ ইনসেক্টের শরীরে বসবাস করে। এমন কি অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স মশার শরীরেরও এই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়া পোষক শরীরের সাথে মিথজীবিতার মাধ্যমে বসবাস করে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশেই এই ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন ও মশাকে আক্রান্ত করে লালন পালন সম্ভব। তবে তার জন্য উন্নত গবেষণাগার ও জনবল প্রয়োজন।’

পরিবেশের সকল প্রাণীর অস্তিত্ব বিবেচনায় নিয়েই মশক দমনের দীর্ঘ মেয়াদী পদ্ধতি নির্বাচন করা উচিত বলে মন্তব্য করেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো রাশেদুল ইসলাম।

আরেক প্যানেলিস্ট গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. সাফিউল ইসলাম আফ্রাদ বলেন, ‘উলবাকিয়া ইনট্রোগেশন প্রকল্প স্বল্প পরিসরে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে নেওয়া যেতে পারে।’

বিষয়:

মশা
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত