আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

ডিআর কঙ্গোর সংঘাতে পঙ্গুত্ব বয়ে বেড়াচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ

আমার দেশ অনলাইন

ডিআর কঙ্গোর সংঘাতে পঙ্গুত্ব বয়ে বেড়াচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ
এক বছর আগে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ যোদ্ধারা কঙ্গোর গোমা শহর দখলে নেওয়ার পর মানবিক সংকট তীব্র হয়েছে।

বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির আঘাত থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) পূর্বাঞ্চলে এম২৩ বিদ্রোহীদের সহিংসতায় বহু মানুষ হাত-পা হারিয়েছেন। প্রায় এক বছর আগে রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ যোদ্ধারা গোমা শহর দখলে নেওয়ার পর এ মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে।

গোমা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সহিংসতার শিকারদের একজন ২৫ বছর বয়সী ডেভিড মুহিরে। নর্থ কিভু প্রদেশের রুটশুরু এলাকার বুইজা গ্রামে গরু চরানোর সময় একটি বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণে তিনি গুরুতর আহত হন। এতে তার ডান হাত ও ডান পা হারাতে হয়, আর তার সঙ্গে থাকা আরেক কৃষক নিহত হন।

বিজ্ঞাপন

ঘটনার সময় খনিজসমৃদ্ধ ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত নতুন করে ভয়াবহ রূপ নেয়। সরকারবিরোধী এম২৩ একাধিক এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। পূর্ব ডিআর কঙ্গো তিন দশক ধরে অভ্যন্তরীণ ও সীমান্তপারের সহিংসতায় জর্জরিত, যার একটি অংশের শিকড় ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডা গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত।

চলতি বছরের শুরুতে এম২৩ দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক রাজধানী দখলের লক্ষ্যে ঝটিকা অভিযান চালালে কঙ্গোলিজ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ব্যাপক প্রাণহানির পর গোমা ও বুকাভু শহর এম২৩-এর দখলে চলে যায়।

৪ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রুয়ান্ডা ও ডিআর কঙ্গোর নেতাদের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সংঘর্ষ থামেনি। চুক্তির কয়েক দিনের মধ্যেই এম২৩ নতুন করে অভিযান শুরু করে এবং বুরুন্ডি সীমান্তবর্তী কৌশলগত শহর উভিরাকে লক্ষ্যবস্তু করে।

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) জানায়, চলতি বছর পূর্ব ডিআর কঙ্গোতে তাদের সহায়তাপ্রাপ্ত কেন্দ্রে অস্ত্র, মাইন ও অবিস্ফোরিত গোলার আঘাতে আহত ৮০০ জনের বেশি মানুষ চিকিৎসা পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪০০ জনের বেশি গোমার শিরিকা লা উমোজা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন, যা অঙ্গচ্ছেদপ্রাপ্তদের জন্য বিশেষায়িত।

চিকিৎসাধীন মুহিরে এএফপিকে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশা করছেন তারা। কেন্দ্রের অন্য কক্ষগুলোতে শিশুসহ সংঘাতের শিকাররা পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে হাঁটা, সাইকেল চালানো ও খেলাধুলায় অংশ নিচ্ছে।

আইসিআরসি কর্মকর্তা সিয়াহানা বলেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় ভুক্তভোগীর সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।

এসআর

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ

এলাকার খবর

খুঁজুন