প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

ডিজিটালাইজেশনের নামে বিগত সরকার দেশকে জিম্মি করেছে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৪৪
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ৪৭
ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাইজেশনের নামে বিগত সরকার বিভিন্ন কৌশলগত অবকাঠামোকে কিছু নির্দিষ্ট দেশি-বিদেশি কোম্পানির কাছে জিম্মি করে রেখে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।

বিজ্ঞাপন

শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে তিনি এ অভিযোগ তুলেন।

ফেসবুকে ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেন, আমি মনে করি জনগণের কর ও ভ্যাটের টাকায় কিংবা বিদেশি ঋণের টাকায় মন্ত্রণালয়, দপ্তর সংস্থা, সরকারি কোম্পানি কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভেন্ডর লকড, সফটওয়্যার লকড এবং হার্ডওয়্যার লকড সো কলড অটোমেটেড সিস্টেম কেনা উচিত না। এমন ক্লোজ সিস্টেমের পেছনে বিনিয়োগ করে দেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সিস্টেম এবং সফটওয়্যার অটোমেশনের নামে ২০২৮-৩০-৩৪ সাল পর্যন্ত ভেন্ডর ডিপেন্ডেন্ট হয়ে আছে। এসব সিস্টেমের লাইসেন্স রিনিউয়াল ফি আকাশচুম্বী। ছোট্ট কোন কোড চেঞ্জ কিংবা প্রোফাইল পরিবর্তনের জন্য, কনফিগারেশন মডিফিকেশন এর জন্য হাজার হাজার ডলার খরচ হচ্ছে। ডিজিটাইজেশনের নামে বিগত সরকার বিভিন্ন কৌশলগত অবকাঠামোকে কিছু নির্দিষ্ট দেশি-বিদেশি কোম্পানির কাছে জিম্মি করে রেখে গিয়েছে। এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ সহজ নয়, আছে আইনি বাধা-বিপত্তি।

তিনি আরও বলেন, লকড সিস্টেমে এসব পরিবর্তন সহজসাধ্য নয়। একদিকে খরুচে, অন্যদিকে ব্যাপক সময় চলে যায়। বিদেশি সফটওয়্যার হলে মাসের পর মাস চলে যায় শুধু বুঝাইতে যে কী দরকার, কেন দরকার! একদিকে লাইসেন্স ফি যায় অন্য দিকে উচ্চ চেঞ্জ ফি, আপগ্রেডেশন ফি। দিনশেষে অটোমেশন নামধারী হলেও সফটওয়্যারগুলো দিয়ে নাগরিকদের সেবা দেওয়া যায় না। এসব নিয়ে ভাবতে হবে।

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, সম্মিলিতভাবে আমাদের ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন ফিউচার কিছু কোম্পানির কাছে বন্ধক রাখার যে গড্ডালিকা প্রবাহ এবং অদূরদর্শিতার যে ভয়ংকরতম রোগ, তা থেকে সরতে হবে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সময় হয়েছে আমাদের সম্মিলিতভাবে সতর্ক হওয়ার।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত