সহযোগিতা করবে আইওএম
ইমদাদ হোসাইন
ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসী বাড়ছে। কিন্তু অধিকাংশই সেখানে গিয়ে অবৈধ উপায়ে থেকে যাচ্ছেন। বিশেষ করে এই প্রবণতা বেশি মাদারীপুর, খুলনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে। এজন্য ইউরোপে অবৈধ উপায়ে অভিবাসন ঠেকাতে ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পেতে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সম্পূর্ণ সহযোগিতায় প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাস্তবায়ন করবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার যৌক্তিকতায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দাবি, অধিকাংশ বাংলাদেশি অভিবাসী নিয়মিত উপায়ে যাত্রা শুরু করলেও ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় অবস্থান অথবা চোরাচালানিদের সহায়তায় তৃতীয় কোনো দেশে অবস্থান করেন। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই অবৈধ অভিবাসীর হার বেশি।
মন্ত্রণালয়ের দাবি, অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সক্রিয় ও গঠনমূলক সহযোগী। তারপরও অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় সরকারের সক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
এটি একটি পাইলট প্রকল্প। বাস্তবায়নের স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে খুলনা, মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে। প্রকল্পের মূল কাজ হলোÑ গবেষণা, সেমিনার ও কনফারেন্স, অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ ও জরিপ।
জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগের প্রধান সাইফুল হক চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে যারা ইউরোপ থেকে ফিরে এসেছেন, তাদের পুনর্বাসন করা হবে। তাদের কিছু আর্থিক সহায়তাও করা হবে।
সাইফুল হক চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় আমরা কিছু অ্যাকশন প্ল্যান করব, গবেষণা করব। প্রতিনিয়ত বিশ্ববাজার ব্যবস্থা পরিবর্তিত হচ্ছে। তিন জেলাকে প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে এ কর্মকর্তা বলেন, তিন জেলা থেকে এ ধরনের মাইগ্রেশন বেশি হয়। মাদারীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনাÑ এ তিন জেলা থেকে বেশি মাইগ্রেশন হয় ইউরোপে। এজন্য জেলা তিনটিতে আমরা কিছু প্রচার চালাব, যাতে অবৈধভাবে ইউরোপে লোকজন কম যায়।
অবৈধ অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য জানিয়ে সাইফুল হক চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তারা সেখানে গিয়ে অবৈধভাবে থেকে যাচ্ছে, মানবেতর জীবন-যাপন করছে, এগুলো তাদের জন্যও সমস্যা, আমাদের জন্যও সমস্যা। অনেকে মারা যান; লাশ খুঁজে পাওয়া যায় না; হঠাৎ কোনো দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে অভিবাসীদের নিয়ে আসতে হয়। এটি আইওএম করে থাকে। সম্প্রতি তাদের মাধ্যমে লেবানন থেকে অনেকে ফেরত এসেছে।
সাধারণত ৫০ কোটির ঊর্ধ্বে যে কোনো প্রকল্পে সম্ভাব্যতা যাচাই বাধ্যতামূলক। এই প্রকল্পটি সেবাধর্মী প্রকল্প হওয়ায় প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি বলেও জানায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যাবর্তনকারীদের চিহ্নিত করতে এবং তাৎক্ষণিক আগমন-পরবর্তী সহায়তা ও নির্দেশিত পরিষেবা (রেফারেল পরিষেবা) বিধান রেখে একটি সিস্টেমের উন্নয়ন ও পাইলটিংয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইওএম ২০১৭ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুদানে অভিবাসন প্রকল্পে সহায়তা করে আসছে। এ প্রকল্পের সাফল্য অর্জনের ওপর ভিত্তি করে আলোচ্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারকে কার্যকর নীতি প্রণয়নে সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া নিরাপদ অভিবাসন ও টেকসই পুনঃএকত্রীকরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সেবাদান ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বর্ণিত প্রকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসী বাড়ছে। কিন্তু অধিকাংশই সেখানে গিয়ে অবৈধ উপায়ে থেকে যাচ্ছেন। বিশেষ করে এই প্রবণতা বেশি মাদারীপুর, খুলনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের নাগরিকদের মধ্যে। এজন্য ইউরোপে অবৈধ উপায়ে অভিবাসন ঠেকাতে ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পেতে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সম্পূর্ণ সহযোগিতায় প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাস্তবায়ন করবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার যৌক্তিকতায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দাবি, অধিকাংশ বাংলাদেশি অভিবাসী নিয়মিত উপায়ে যাত্রা শুরু করলেও ভিসার মেয়াদের অতিরিক্ত সময় অবস্থান অথবা চোরাচালানিদের সহায়তায় তৃতীয় কোনো দেশে অবস্থান করেন। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই অবৈধ অভিবাসীর হার বেশি।
মন্ত্রণালয়ের দাবি, অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সক্রিয় ও গঠনমূলক সহযোগী। তারপরও অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় সরকারের সক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
এটি একটি পাইলট প্রকল্প। বাস্তবায়নের স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে খুলনা, মাদারীপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে। প্রকল্পের মূল কাজ হলোÑ গবেষণা, সেমিনার ও কনফারেন্স, অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ ও জরিপ।
জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগের প্রধান সাইফুল হক চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে যারা ইউরোপ থেকে ফিরে এসেছেন, তাদের পুনর্বাসন করা হবে। তাদের কিছু আর্থিক সহায়তাও করা হবে।
সাইফুল হক চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় আমরা কিছু অ্যাকশন প্ল্যান করব, গবেষণা করব। প্রতিনিয়ত বিশ্ববাজার ব্যবস্থা পরিবর্তিত হচ্ছে। তিন জেলাকে প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে এ কর্মকর্তা বলেন, তিন জেলা থেকে এ ধরনের মাইগ্রেশন বেশি হয়। মাদারীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনাÑ এ তিন জেলা থেকে বেশি মাইগ্রেশন হয় ইউরোপে। এজন্য জেলা তিনটিতে আমরা কিছু প্রচার চালাব, যাতে অবৈধভাবে ইউরোপে লোকজন কম যায়।
অবৈধ অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য জানিয়ে সাইফুল হক চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার কারণে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তারা সেখানে গিয়ে অবৈধভাবে থেকে যাচ্ছে, মানবেতর জীবন-যাপন করছে, এগুলো তাদের জন্যও সমস্যা, আমাদের জন্যও সমস্যা। অনেকে মারা যান; লাশ খুঁজে পাওয়া যায় না; হঠাৎ কোনো দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে অভিবাসীদের নিয়ে আসতে হয়। এটি আইওএম করে থাকে। সম্প্রতি তাদের মাধ্যমে লেবানন থেকে অনেকে ফেরত এসেছে।
সাধারণত ৫০ কোটির ঊর্ধ্বে যে কোনো প্রকল্পে সম্ভাব্যতা যাচাই বাধ্যতামূলক। এই প্রকল্পটি সেবাধর্মী প্রকল্প হওয়ায় প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি বলেও জানায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যাবর্তনকারীদের চিহ্নিত করতে এবং তাৎক্ষণিক আগমন-পরবর্তী সহায়তা ও নির্দেশিত পরিষেবা (রেফারেল পরিষেবা) বিধান রেখে একটি সিস্টেমের উন্নয়ন ও পাইলটিংয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইওএম ২০১৭ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুদানে অভিবাসন প্রকল্পে সহায়তা করে আসছে। এ প্রকল্পের সাফল্য অর্জনের ওপর ভিত্তি করে আলোচ্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারকে কার্যকর নীতি প্রণয়নে সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া নিরাপদ অভিবাসন ও টেকসই পুনঃএকত্রীকরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সেবাদান ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বর্ণিত প্রকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুধবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ তিনটি কনভেনশন অনুসমর্থন
১ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় ভূরুঙ্গামারী, থানচি ও মেহেরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নতুন তিনটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হচ্ছে। এই তিন ব্যাটালিয়নসহ বিজিবির জন্য মোট ২ হাজার ২৫৮টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সীমান্ত-১ শাখা থেকে মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেপরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেসেন্টমার্টিন দ্বীপে নৌযান চলাচলের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগে