শুধু কেন্দ্র নয়, পুরো নির্বাচনি এলাকার ফল বাতিলের ক্ষমতা পেল ইসি

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৯

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগে সর্বোচ্চ কোনো কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করতে পারতো। তবে এবার অনিয়ম হলে ইসি পুরো নির্বাচনি এলাকার ফলাফল বাতিল করতে পারবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমন বিধান রেখেই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে সরকার। সোমবার আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

অনুচ্ছেদ ৯১ এ বলা হয়েছে, অনিয়মের জন্য কেন্দ্রের ভোট বাতিলের পাশাপাশি প্রয়োজন হলে পুরো নির্বাচনি এলাকার ফল বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ইসিকে। আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ছয় মাসের দণ্ডের পাশাপাশি সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। দলের ক্ষেত্রেও জরিমানার বিধান রয়েছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমের পাশাপাশি ইসির ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিধান রয়েছে। হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে ইসিকে ভোটের পরেও ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশন যেসব বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে তা উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করে। দলগুলোর দাবির মধ্যেও এরপর আর কোনো পরিবর্তন আসেনি।

উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির সই হলে তা সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারি হবে।

এদিকে সংশোধিত আরপিও অনুযায়ি নিবন্ধিত দল জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে।

এর আগে ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করে। এরপর জোট মনোনীত প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করা নিয়ে বিএনপি আপত্তি তুললেও জামায়াত ও এনসিপি ২০ ধারার এ সংশোধন বহাল রাখার দাবি জানায়।

এ নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই সেই বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হলো। ফলে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে একাধিক নিবন্ধিত দল জোট করলেও জোট মনোনীত প্রার্থী বড় দলের বা অন্য দলের প্রতীকে ভোট করতে পারবে না, নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত