জুলাই সনদ বাস্তবায়নে যেসব সুপারিশ করেছিলো ঐকমত্য কমিশন

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪০

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫' বাস্তবায়নে তাদের সুপারিশ সরকারের হাতে হস্তান্তর করে ২৮শে অক্টোবর।

সেই সুপারিশে সনদ বাস্তবায়নে অবিলম্বে সরকারি আদেশ জারি করে একটি গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গণভোটের ব্যালটে দেয়ার জন্য কমিশন যে প্রশ্ন সুপারিশে করেছে তা হলো: 'আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?'

কমিশন তাদের সুপারিশে বলেছে: "ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদ ও জাতীয় সংসদ হিসেবে কার্যকর থাকবে। তবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ কার্যকর থাকবে ২৭০ দিন"।

এ বিষয়ে বিকল্প প্রস্তাবে কমিশন বলেছে, যদি সংবিধান সংস্কার পরিষদ ২৭০ দিনের মধ্যে তাদের দায়িত্ব সম্পাদন করতে না পারে, তাহলে গণভোটে পাশ হওয়া বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হবে।

ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশে সংসদ নির্বাচনের ভোটের সংখ্যানুপাতে ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষের সুপারিশ করেছে।

এতে বলা হয়েছে, গণভোটে জনগণের সম্মতি এলে জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠার ৪৫ দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।

কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, নির্বাচনের পর যে সংসদ কার্যকর হবে তারাই সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হবেন।

"এক্ষেত্রে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একাদিক্রমে সংসদ ও সংস্কার পরিষদের জন্য আলাদা শপথ নিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর দান করিবেন," বলা হয়েছে সুপারিশে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত