
সৈয়দ আবদাল আহমদ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৪৫ বছর আগের পুরোনো মডেলের চারটি ব্ল্যাক হক (Black Hawk) ‘অ্যাটাক’ হেলিকপ্টার কিনতে যাচ্ছে। প্রতিটি ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হিসেবে ৪টি হেলিকপ্টারের মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার (১২০০ কোটি টাকার বেশি) বলে জানা গেছে।
সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই কাজটি দেওয়া হচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক সিদ্দিকের কোম্পানিকে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে, পুরোনো মডেলের এই চারটি হেলিকপ্টার কেনার আয়োজন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এজন্য তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও এহতেশাম হুদার কোম্পানি আইআরআইএস টেক (IRIS Tech)-কে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মূল সাপ্লাইয়ার মার্কিন কোম্পানি এক্সপি (XP) সার্ভিসেস। এছাড়া সাপোর্টিং হিসেবে আরএসজি (RSG) নামক কোম্পানিকে যুক্ত করা হয়, যার লোকাল এজেন্ট জেমিমেন ইন্টারন্যাশনাল (GEMIMEN International), তাদের কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। জানা গেছে, টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরিসহ কেনাকাটার যাবতীয় কার্যক্রমে ওই আইআরআইএস টেক সরাসরি জড়িত রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর সেনাসদরে দেওয়া তাদের মতামতে নতুন মডেলের হেলিকপ্টার কেনার জন্য সুপারিশ করেছিল। এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য ডিজিডিপি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা আইএসপিআর-এর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেয়। আইএসপিআরকে ফোন করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি। খুদে বার্তা (এসএমএস) দেওয়া হলেও গতকাল রাত পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
আইআরআইএস টেক কোম্পানির পার্টনার এহতেশাম হুদাকে ফোন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলুন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারিক সিদ্দিকের অন্যতম ব্যবসায়িক পার্টনার এহতেশাম হুদা ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের ক্যুর অন্যতম সহযোগী কর্নেল নাজমুল হুদার ছেলে। এহতেশাম হুদার বোন নাহিদ ইজহার খান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে ‘মায়ের কান্না’ নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সংগঠন গুমের প্রতিবাদকারী সানজিদা ইসলাম তুলির ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনটির গুমবিরোধী কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চরিত্র হনন করে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকতেই তারিক সিদ্দিক ও এহতেশাম হুদা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য ‘ব্ল্যাক হক’ নামক ‘অ্যাটাক’ হেলিকপ্টার আনার পাঁয়তারা শুরু করেন। এজন্য তাদের কোম্পানি নিজেদের মতো টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরি করে। পরবর্তী সময়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হলে ওই মহলটি কিছুদিন চুপ থেকে পুনরায় এই কাজ পাওয়ার জন্য নীলনকশা তৈরি করে।
এ লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর থেকে চারটি হেলিকপ্টার ক্রয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের শিডিউল বিক্রির তারিখ ছিল ১৯ জুলাই থেকে ১৪ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। ১৫ অক্টোবর দরপত্র খোলা হয়। দরপত্রের নম্বর ২২১.৫৬৭.২৫। হেলিকপ্টারের বিবরণ ও সংখ্যা হিসেবে দেখানো হয় মিডিয়াম হেলিকপ্টার (মাল্টি ইঞ্জিন, রিফারবিস্ট), মডেল ব্ল্যাক হক, ইউএইচ সিক্স জিরো এল সিরিজ, ইউএসএ (Black Hawk, UH60L Series, USA), চারটি (প্রথমবার)।
ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স (এমজিও) মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হেলিকপ্টার কেনার কাজের অংশ হিসেবে ৭ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন। অন্য সদস্যরা হলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আরিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান ও কর্নেল খসরু সাব্বির আলী।
কোম্পানির মূল মালিক তারিক সিদ্দিক হলেও কৌশলের অংশ হিসেবে তার নাম কোথাও রাখা হয়নি। আইআরআইএস টেকের কাগজপত্রের মালিক দেখানো হয় এহতেশাম হুদাকে। তার পিতা কর্নেল নাজমুল হুদা (মৃত), মাতা নিলুফার হুদা। কর্নেল হুদা পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নির্দেশে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে তার সেনানিবাসের বাসায় বন্দি করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হায়দার ও কর্নেল নাজমুল হুদা শেরেবাংলা নগরে একটি সেনা ইউনিটে আশ্রয় নিলে সৈনিকদের হাতে নিহত হন। কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে ও এহতেশামের বোন নাহিদ ইজহার খানকে শেখ হাসিনা সংরক্ষিত আসনের এমপি করেন এবং সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। এই নাহিদ ২০২৩ সালে মরহুম জিয়াউর রহমানের নামে শের-ই-বাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তখনকার ওসি ছিলেন উৎপল কুমার বড়ুয়া। উক্ত মামলায় খুশি হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা তাকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করেন।
এহতেশামের কোম্পানি আইআরআইএস টেকের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ি নম্বর ১৫৯ (লেবেল-৫), রোড নম্বর-৩, মহাখালী ডিওএইচএস, ঢাকা-১২০৬।
আওয়ামী আমলে তারিক সিদ্দিক এহতেশামকে সামরিক বাহিনীতে একাধিক বিমান সরবরাহ, এমআরও এবং যন্ত্রাংশসহ হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কেনাকাটার নামে লুটপাটের জন্য এসব টেন্ডারের দাম বাড়িয়ে ইচ্ছামতো একচেটিয়া নামসর্বস্ব টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ প্রদান করা হয়। এহতেশাম হুদা এর আগে জয়নুল হক শিকদারের কোম্পানি শিকদার গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। আওয়ামী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মরহুম জয়নুল হক শিকদারের ছেলে রন হক ও রিক হক শিকদারের সঙ্গে মিলে এহতেশাম হুদা বিভিন্ন অপকর্মেও যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে । ৫ আগস্টের পর থেকে রন হক ও রিক হক শিকদার পলাতক রয়েছেন।
হেলিকপ্টার কেনার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি ও ক্রয় সম্পর্কে সামরিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত
নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষা সূত্র আরো জানায়, ‘দরপত্র বিজ্ঞপ্তির’ পণ্যের বিবরণ ও পরিমাণ কলামে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে ৪টি মিডিয়াম হেলিকপ্টার মাল্টি ইঞ্জিন (Multi Engine) রিফারবিশড (Refurbished); মডেল ব্ল্যাক হক, ইউএইচ সিক্স জিরো এল সিরিজ, ইউএসএ (Model: Black hawk; UH 60 L Series, USA.)
একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ দরপত্র বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে বলেন, এখানে বিবেচনার বিষয় হলোÑ
ক) মিডিয়াম হেলিকপ্টার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে থাকে, তারপরও দরপত্রে ‘মডেল ব্ল্যাক হক, ইউএইচ সিক্স জিরো এল সিরিজ, ইউএসএ’ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দেওয়াটা কেবল ক্রয় নীতিমালার ব্যত্যয়ই নয় বরং মনে হচ্ছে কোনো একটি স্বার্থান্বেষী মহলের নীলনকশা বাস্তবায়নের বহিঃপ্রকাশ।
খ) সরকারি ক্রয় নীতিমালায় ‘রিফারবিশড’ কোনো আইটেম দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়ের অবকাশ নেই । যদি ‘রিফারবিশড আইটেম’ ক্রয় অনিবার্য হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে একমাত্র সরকার টু সরকার অর্থাৎ ‘জি টু জি’-এর মাধ্যমে তা কেনা বিধিসম্মত, যেখানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকতে পারবে না । এক কথায় এটি পুরোনো হেলিকপ্টার মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে কেনার উদ্যোগ। এক্ষেত্রে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দরপত্রে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি ।
গ) কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে সেখানকার এমআরও (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড রিপেয়ার অর্গানাইজেশন) পরিদর্শন করবেন, কোনো হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে নয়। অর্থাৎ যানবাহন মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানের মতো এটি বিমান মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পুরোনো ও মেরামতকৃত হেলিকপ্টার কেনার চেষ্টা।
ঘ) ‘ব্ল্যাক হক’ একটি সামরিক হেলিকপ্টার । কেন এবং কোন বিবেচনায় এ ধরনের পুরোনো ও মেরামতকৃত যুদ্ধবিমান (হেলিকপ্টার) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজনের অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে তা গভীর পর্যালোচনার দাবি রাখে ।
এছাড়া সম্প্রতি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো সাপ্লাইয়ারের খরচে বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে মর্মে জানা যায়। এমতাবস্থায় কীভাবে হেলিকপ্টার সাপ্লাইয়ারের খরচে এতজন কর্মকর্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে গেছেন তাও বিবেচনায় নেওয়া উচিত মর্মে প্রতীয়মান ।
সূত্র জানায়, কোনো প্রকার হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নেই বলে দরপত্রে ‘দেশীয়/বৈদেশিক মুদ্রায়’ ও ‘প্রকৃত ব্যবসায়ী/প্রস্তুতকারকদের’ কাছ থেকে দরপত্র আহ্বানের বিষয় দুটি শুধু যে পরস্পরবিরোধী তাই নয় বরং কোনো প্রস্তুতকারকের পক্ষে ‘রিফারবিশড’ হেলিকপ্টার সরবরাহ কোনোক্রমেই সম্ভব নয় । এ ধরনের গোঁজামিলের দরপত্রের সম্ভাব্য লক্ষ্যÑ কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা এবং প্রতারণার মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে জোড়াতালি দেওয়া হেলিকপ্টার সংযোজন করা। ‘অ্যাটাক’ হেলিকপ্টারের নামে কীভাবে বিমান মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে এগুলো কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা সামরিক মহলে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।
হেলিকপ্টারের মতো স্পেশালাইজড ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল ইকুইপমেন্ট স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন বাধ্যতামূলক। এছাড়া এ ধরনের ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অফ অরিজিন সংগ্রহ বাধ্যতামূলক যা এক্ষেত্রে কোনো এমআরও’র পক্ষে কোনোভাবেই সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এ ধরনের সার্টিফিকেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দায়দায়িত্বের প্রমাণ বহন করে ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ আমার দেশকে বলেন, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই হেলিকপ্টার দরকার রয়েছে। কিন্তু সেটা ১৯৮০ সালের পুরোনো মডেল হবে কেন? নতুন মডেল অন্তত ২০০০ সালের পরের মডেল হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, স্পর্শকাতর এ বিষয়টি ৫ আগস্টের শহীদদের রক্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইতোমধ্যে তারিক সিদ্দিক ও এহতেশামের বোন নাহিদ ইজহার খান ৫ আগস্টের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এহতেশাম হুদা তারিক সিদ্দিকের সঙ্গে অর্থপাচার, গুম, খুনসহ বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তাকে নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত। তিনিও যে কোনো সময় পালিয়ে যেতে পারেন। কাজেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অযোগ্য ঘোষণার পাশাপাশি সাবেক সরকারের দোসর হিসেবে এহতেশামকে গ্রেপ্তার করা উচিত। তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলে তারিক সিদ্দিকসহ সব দেশদ্রোহীর কুকর্ম জনগণ জানতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৪৫ বছর আগের পুরোনো মডেলের চারটি ব্ল্যাক হক (Black Hawk) ‘অ্যাটাক’ হেলিকপ্টার কিনতে যাচ্ছে। প্রতিটি ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হিসেবে ৪টি হেলিকপ্টারের মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার (১২০০ কোটি টাকার বেশি) বলে জানা গেছে।
সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই কাজটি দেওয়া হচ্ছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক সিদ্দিকের কোম্পানিকে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গেছে, পুরোনো মডেলের এই চারটি হেলিকপ্টার কেনার আয়োজন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এজন্য তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও এহতেশাম হুদার কোম্পানি আইআরআইএস টেক (IRIS Tech)-কে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মূল সাপ্লাইয়ার মার্কিন কোম্পানি এক্সপি (XP) সার্ভিসেস। এছাড়া সাপোর্টিং হিসেবে আরএসজি (RSG) নামক কোম্পানিকে যুক্ত করা হয়, যার লোকাল এজেন্ট জেমিমেন ইন্টারন্যাশনাল (GEMIMEN International), তাদের কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। জানা গেছে, টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরিসহ কেনাকাটার যাবতীয় কার্যক্রমে ওই আইআরআইএস টেক সরাসরি জড়িত রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর সেনাসদরে দেওয়া তাদের মতামতে নতুন মডেলের হেলিকপ্টার কেনার জন্য সুপারিশ করেছিল। এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য ডিজিডিপি অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা আইএসপিআর-এর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেয়। আইএসপিআরকে ফোন করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি। খুদে বার্তা (এসএমএস) দেওয়া হলেও গতকাল রাত পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
আইআরআইএস টেক কোম্পানির পার্টনার এহতেশাম হুদাকে ফোন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলুন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারিক সিদ্দিকের অন্যতম ব্যবসায়িক পার্টনার এহতেশাম হুদা ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের ক্যুর অন্যতম সহযোগী কর্নেল নাজমুল হুদার ছেলে। এহতেশাম হুদার বোন নাহিদ ইজহার খান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে ‘মায়ের কান্না’ নামক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সংগঠন গুমের প্রতিবাদকারী সানজিদা ইসলাম তুলির ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনটির গুমবিরোধী কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চরিত্র হনন করে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থাকতেই তারিক সিদ্দিক ও এহতেশাম হুদা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য ‘ব্ল্যাক হক’ নামক ‘অ্যাটাক’ হেলিকপ্টার আনার পাঁয়তারা শুরু করেন। এজন্য তাদের কোম্পানি নিজেদের মতো টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরি করে। পরবর্তী সময়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হলে ওই মহলটি কিছুদিন চুপ থেকে পুনরায় এই কাজ পাওয়ার জন্য নীলনকশা তৈরি করে।
এ লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর থেকে চারটি হেলিকপ্টার ক্রয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের শিডিউল বিক্রির তারিখ ছিল ১৯ জুলাই থেকে ১৪ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। ১৫ অক্টোবর দরপত্র খোলা হয়। দরপত্রের নম্বর ২২১.৫৬৭.২৫। হেলিকপ্টারের বিবরণ ও সংখ্যা হিসেবে দেখানো হয় মিডিয়াম হেলিকপ্টার (মাল্টি ইঞ্জিন, রিফারবিস্ট), মডেল ব্ল্যাক হক, ইউএইচ সিক্স জিরো এল সিরিজ, ইউএসএ (Black Hawk, UH60L Series, USA), চারটি (প্রথমবার)।
ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স (এমজিও) মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল হেলিকপ্টার কেনার কাজের অংশ হিসেবে ৭ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন। অন্য সদস্যরা হলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আরিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান ও কর্নেল খসরু সাব্বির আলী।
কোম্পানির মূল মালিক তারিক সিদ্দিক হলেও কৌশলের অংশ হিসেবে তার নাম কোথাও রাখা হয়নি। আইআরআইএস টেকের কাগজপত্রের মালিক দেখানো হয় এহতেশাম হুদাকে। তার পিতা কর্নেল নাজমুল হুদা (মৃত), মাতা নিলুফার হুদা। কর্নেল হুদা পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নির্দেশে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে তার সেনানিবাসের বাসায় বন্দি করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হায়দার ও কর্নেল নাজমুল হুদা শেরেবাংলা নগরে একটি সেনা ইউনিটে আশ্রয় নিলে সৈনিকদের হাতে নিহত হন। কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে ও এহতেশামের বোন নাহিদ ইজহার খানকে শেখ হাসিনা সংরক্ষিত আসনের এমপি করেন এবং সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। এই নাহিদ ২০২৩ সালে মরহুম জিয়াউর রহমানের নামে শের-ই-বাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তখনকার ওসি ছিলেন উৎপল কুমার বড়ুয়া। উক্ত মামলায় খুশি হয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা তাকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করেন।
এহতেশামের কোম্পানি আইআরআইএস টেকের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ি নম্বর ১৫৯ (লেবেল-৫), রোড নম্বর-৩, মহাখালী ডিওএইচএস, ঢাকা-১২০৬।
আওয়ামী আমলে তারিক সিদ্দিক এহতেশামকে সামরিক বাহিনীতে একাধিক বিমান সরবরাহ, এমআরও এবং যন্ত্রাংশসহ হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কেনাকাটার নামে লুটপাটের জন্য এসব টেন্ডারের দাম বাড়িয়ে ইচ্ছামতো একচেটিয়া নামসর্বস্ব টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ প্রদান করা হয়। এহতেশাম হুদা এর আগে জয়নুল হক শিকদারের কোম্পানি শিকদার গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। আওয়ামী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মরহুম জয়নুল হক শিকদারের ছেলে রন হক ও রিক হক শিকদারের সঙ্গে মিলে এহতেশাম হুদা বিভিন্ন অপকর্মেও যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে । ৫ আগস্টের পর থেকে রন হক ও রিক হক শিকদার পলাতক রয়েছেন।
হেলিকপ্টার কেনার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি ও ক্রয় সম্পর্কে সামরিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত
নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষা সূত্র আরো জানায়, ‘দরপত্র বিজ্ঞপ্তির’ পণ্যের বিবরণ ও পরিমাণ কলামে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে ৪টি মিডিয়াম হেলিকপ্টার মাল্টি ইঞ্জিন (Multi Engine) রিফারবিশড (Refurbished); মডেল ব্ল্যাক হক, ইউএইচ সিক্স জিরো এল সিরিজ, ইউএসএ (Model: Black hawk; UH 60 L Series, USA.)
একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ দরপত্র বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে বলেন, এখানে বিবেচনার বিষয় হলোÑ
ক) মিডিয়াম হেলিকপ্টার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি করে থাকে, তারপরও দরপত্রে ‘মডেল ব্ল্যাক হক, ইউএইচ সিক্স জিরো এল সিরিজ, ইউএসএ’ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দেওয়াটা কেবল ক্রয় নীতিমালার ব্যত্যয়ই নয় বরং মনে হচ্ছে কোনো একটি স্বার্থান্বেষী মহলের নীলনকশা বাস্তবায়নের বহিঃপ্রকাশ।
খ) সরকারি ক্রয় নীতিমালায় ‘রিফারবিশড’ কোনো আইটেম দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়ের অবকাশ নেই । যদি ‘রিফারবিশড আইটেম’ ক্রয় অনিবার্য হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে একমাত্র সরকার টু সরকার অর্থাৎ ‘জি টু জি’-এর মাধ্যমে তা কেনা বিধিসম্মত, যেখানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকতে পারবে না । এক কথায় এটি পুরোনো হেলিকপ্টার মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে কেনার উদ্যোগ। এক্ষেত্রে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দরপত্রে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি ।
গ) কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে সেখানকার এমআরও (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড রিপেয়ার অর্গানাইজেশন) পরিদর্শন করবেন, কোনো হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে নয়। অর্থাৎ যানবাহন মেরামতকারী প্রতিষ্ঠানের মতো এটি বিমান মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পুরোনো ও মেরামতকৃত হেলিকপ্টার কেনার চেষ্টা।
ঘ) ‘ব্ল্যাক হক’ একটি সামরিক হেলিকপ্টার । কেন এবং কোন বিবেচনায় এ ধরনের পুরোনো ও মেরামতকৃত যুদ্ধবিমান (হেলিকপ্টার) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজনের অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে তা গভীর পর্যালোচনার দাবি রাখে ।
এছাড়া সম্প্রতি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো সাপ্লাইয়ারের খরচে বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে মর্মে জানা যায়। এমতাবস্থায় কীভাবে হেলিকপ্টার সাপ্লাইয়ারের খরচে এতজন কর্মকর্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে গেছেন তাও বিবেচনায় নেওয়া উচিত মর্মে প্রতীয়মান ।
সূত্র জানায়, কোনো প্রকার হেলিকপ্টার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে নেই বলে দরপত্রে ‘দেশীয়/বৈদেশিক মুদ্রায়’ ও ‘প্রকৃত ব্যবসায়ী/প্রস্তুতকারকদের’ কাছ থেকে দরপত্র আহ্বানের বিষয় দুটি শুধু যে পরস্পরবিরোধী তাই নয় বরং কোনো প্রস্তুতকারকের পক্ষে ‘রিফারবিশড’ হেলিকপ্টার সরবরাহ কোনোক্রমেই সম্ভব নয় । এ ধরনের গোঁজামিলের দরপত্রের সম্ভাব্য লক্ষ্যÑ কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা এবং প্রতারণার মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে জোড়াতালি দেওয়া হেলিকপ্টার সংযোজন করা। ‘অ্যাটাক’ হেলিকপ্টারের নামে কীভাবে বিমান মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে এগুলো কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা সামরিক মহলে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।
হেলিকপ্টারের মতো স্পেশালাইজড ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের ক্ষেত্রে ক্যাপিটাল ইকুইপমেন্ট স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন বাধ্যতামূলক। এছাড়া এ ধরনের ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অফ অরিজিন সংগ্রহ বাধ্যতামূলক যা এক্ষেত্রে কোনো এমআরও’র পক্ষে কোনোভাবেই সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এ ধরনের সার্টিফিকেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দায়দায়িত্বের প্রমাণ বহন করে ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ আমার দেশকে বলেন, সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই হেলিকপ্টার দরকার রয়েছে। কিন্তু সেটা ১৯৮০ সালের পুরোনো মডেল হবে কেন? নতুন মডেল অন্তত ২০০০ সালের পরের মডেল হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, স্পর্শকাতর এ বিষয়টি ৫ আগস্টের শহীদদের রক্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইতোমধ্যে তারিক সিদ্দিক ও এহতেশামের বোন নাহিদ ইজহার খান ৫ আগস্টের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। অভিযোগ রয়েছে, এহতেশাম হুদা তারিক সিদ্দিকের সঙ্গে অর্থপাচার, গুম, খুনসহ বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তাকে নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত। তিনিও যে কোনো সময় পালিয়ে যেতে পারেন। কাজেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অযোগ্য ঘোষণার পাশাপাশি সাবেক সরকারের দোসর হিসেবে এহতেশামকে গ্রেপ্তার করা উচিত। তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলে তারিক সিদ্দিকসহ সব দেশদ্রোহীর কুকর্ম জনগণ জানতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ১৩ নভেম্বর ভারতে পালিয়ে যাওয়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার তারিখ জানাবে ট্রাইব্যুনাল। এই রায়কে কেন্দ্র করে পতিত স্বৈরাচারের দল ঢাকাসহ দেশে যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগে
নতুন এই বিধিমালায় ভোটের প্রচারণায় প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ড্রোন ব্যবহার এবং বিদেশে যে কোনো ধরনের প্রচারণা কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
এনসিপি এক বার্তায় জানিয়েছে, রাত ১১টায় তাদের কার্যালয়ের সামনে পাঁচটি ককটেল মারা হয়, যার মধ্যে চারটি বিস্ফোরিত হয় এবং একটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় ছিল। ককটেল নিক্ষেপকারীরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করলে এনসিপি'র নেতা-কর্মীরা ধাওয়া করে দুজনকে ধরে ফেলে। পরে সন্দেহভাজন আরও তিনজনের সাথে মোট ....
১০ ঘণ্টা আগে
একাদশ গ্রেডের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন দশম গ্রেডে বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিকের শিক্ষকরা। অন্যদিকে আশ্বাসে অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরাও আন্দোলন প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার তারা ক্লাসে ফিরছেন।
১১ ঘণ্টা আগে