সন্ত্রাস ও রক্তপাত করে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে কেউ থামাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— পরাজিত শক্তি ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টদের এ অপচেষ্টা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ করে দেওয়া হবে। ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস ঘটিয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই— সংযম বজায় রাখুন। অপপ্রচার বা গুজবে কান দেবেন না। ফ্যাসিস্ট টেরোরিস্টরা, যারা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়, আমরা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবিলা করব। তাদের ফাঁদে পা দেব না। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এদেশের পবিত্র মাটিতে আর কোনোদিন ফিরে আসবে না বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেছন, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে আমরা সবাই মিলে দেশের ওপর আমাদের পরিপূর্ণ দখল প্রতিষ্ঠিত করবো। নির্বাচনের আর বাকি মাত্র দু’মাস। আমরা তাদের ওপর নজর রাখবো এবং বাকি দিনের প্রতিটি দিন উৎসবমুখর করে রাখবো। যেহেতু আমাদের কিশোর কিশোরী তরুণ তরুণীদের মনে কোনো ভয়ডর নেই, তাই তারা নির্বাচনের আগের দু’মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে উৎসবমুখর করে রাখবে। সব রকমের হিংসা, কোন্দল থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন। তাহলে আমরা সবাই এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি রক্ষা পাবে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে তারা বুঝে গেছে তরুণ যোদ্ধারা তাদের পুনরুত্থানের পক্ষে ভীষণ রকম বাধা। এই অস্ত্রহীন, ভীতিহীন, ব্যক্তিগত স্বার্থ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন দৈনন্দিন এই চেহারার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে তাদের সাংঘাতিক ভীতি। তাদের লক্ষ্য হলো নির্বাচন আসার আগেই পথের এই বাধাগুলো সরিয়ে ফেলা, নিজেদের রাজত্ব আবার কায়েম করা। তাদের বন্ধুরা যতদিন তাদের সঙ্গে আছে ততদিন তারা এই স্বপ্ন দেখবে। নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের বন্ধুরা সমর্থন জোগাতে বেকায়দায় পড়বে। সেজন্যই তো এত তাড়াহুড়া। তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।
দেশের সবাইকে জোর গলায় বলতে হবে আমরা তরুণদের রক্ষা করবো— এমনটা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এখানে পুরোনো আমলের দাসত্ব মেনে যারা আছে তাদের দাসত্ব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে আমরা সবাই মিলে দেশের ওপর আমাদের পরিপূর্ণ দখল প্রতিষ্ঠিত করবো। নির্বাচনের বাকি মাত্র দু’মাস। আমরা তাদের ওপর নজর রাখবো এবং বাকি দিনের প্রতিটি দিন উৎসবমুখর করে রাখবো। যেহেতু আমাদের কিশোর কিশোরী তরুণ তরুণীদের মনে কোনো ভয়ডর নেই তাই তারা নির্বাচনের আগের দু’মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে উৎসবমুখর করে রাখবে। সব রকমের হিংসা, কোন্দল থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখবে।

