আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

হাদি ইস্যুতে উধাও হয়ে যাচ্ছে ফেসবুক পেজ, নেপথ্যে কি ভারত?

আমার দেশ অনলাইন

হাদি ইস্যুতে উধাও হয়ে যাচ্ছে ফেসবুক পেজ, নেপথ্যে কি ভারত?
শরিফ ওসমান হাদি (ফাইল ছবি)

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অভিযোগ রয়েছে, তাকে হত্যার পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। শহীদ হওয়ার পর হাদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার তথা আধিপত্যবাদের আইকনে পরিণত হয়েছেন।

যার প্রমাণ দেখা গেছে, তার জানাজায় সকল মত-পথ ও শ্রেণি-পেশার প্রায় দেড় মিলিয়ন মানুষের উপস্থিতিতে। তাছাড়া মাত্র ৩২ বছরের এই তরুণ এখন শুধু বাংলাদেশে নয়, বরং তার আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াইয়ের গল্প দুনিয়ার দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো নিউজ করেছে। বিশেষ করে, পাকিস্তানের লোকজনকে হাদির হত্যাকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতের স্বাধীনতাকামী শিখ নেতারা বিষয়টিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করছেন। ইতোমধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে হাদির হত্যায় ভারতকে দায়ী করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন প্রভাবশালী শিখ নেতারা।

বিজ্ঞাপন

হাদিকে নিয়ে শিখ নেতাদের একই কর্মসূচির কারণে তিনি হয়ে উঠেছেন ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধীদের প্রতীক। আর এতেই ফুঁসে উঠেছে ভারত। এরপরই হাদি ইস্যুকে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে অনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।

হাদি ইস্যুতে যারা ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। হাদিকে নিয়ে লিখেছেন। তাদের ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট ও পেজ উধাও করে দিচ্ছে ভারতীয়রা। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ৩০ লাখ ফলোয়ারের (তিন মিলিয়ন) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ উধাও হয়ে গেছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে দেওয়া পোস্টে রিপোর্ট করে তার পেজটি রিমুভ করা হয়েছে।

এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান এক পোস্টে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে শহীদ ওসমান হাদির কবিতা আবৃত্তির ভিডিও অপসারণের পেছনেও মেটা (Meta)-তে কর্মরত কিছু ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্মকর্তার একটি গোষ্ঠীর ভূমিকা রয়েছে।

তিনি লিখেছেন, এই গোষ্ঠীটি শেখ হাসিনার শাসনামলে তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক ও জিয়াউল আহসানের সঙ্গে সমন্বয় করে বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের কণ্ঠ রোধে কাজ করত। একই ধারাবাহিকতায় তারা মেটার অভ্যন্তরীণ রিপোর্টিং ব্যবস্থার অপব্যবহার করে শহীদ ওসমান হাদিকে ‘জঙ্গি/অপরাধী’ হিসেবে ট্যাগ করার চেষ্টা করছে এবং তাকে ঘিরে থাকা সব কনটেন্ট সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

এদিকে লেখক, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘একটি সংঘবদ্ধ চক্র ফেক কপিরাইট রিপোর্ট দিয়ে জুলাইপন্থিদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো ডিজেবল করে দিচ্ছে। এছাড়া এসবের পেছনে দেশীয় কিছু চক্রও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্যারিসে বসবাসরত এই অ্যাক্টিভিস্ট।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন