গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের অসঙ্গতিগুলোর সমালোচনা করা যায়: প্রেস সচিব

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ১৪
ফাইল ছবি

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে অনেক ভালো সুপারিশ রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, যেসব জায়গায় অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলোর সমালোচনা করা প্রয়োজন।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে গোলটেবিল সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ডিআরইউ ও জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

প্রেস সচিব বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের যে ধারা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তা থাকা প্রয়োজন। কেননা ধর্মীয় কারণে অনেক ভায়োলেন্স তৈরি হয়। এসব ভায়োলেন্স বন্ধ করার জন্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শাস্তির বিধানটা থাকা প্রয়োজন।

‘নো ওয়েজ বোর্ড নো মিডিয়া’ নীতির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, এটি বাস্তবায়ন করার প্রয়োজন। যারা সম্পাদক ও প্রকাশক হবেন, তাদেরকে ইউনিয়ন থেকে পদত্যাগ করা উচিত। কারণ এটি নীতি বিরুদ্ধ। সাংবাদিকদের অবশ্যই সার্টিফিকেশন থাকতে হবে। কারণ অপসাংবাদিকতার কারণে দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বেতন নূন্যতম ৩৫ হাজার টাকা হওয়া উচিত। সাংবাদিকরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় পড়লে এর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মিডিয়া মালিককে নিতে হবে। প্রয়োজনে মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।

প্রতিবাদকে ‘মব’ হিসেবে না দেখার অনুরোধ রেখে শফিকুল আলম বলেন, মিডিয়া লাইসেন্স নিতে হলে অনলাইনের জন্য ১০ থেকে ১৫ কোটি, পত্রিকার জন্য ২০ কোটি ও টিবির জন্য ২০-২৫ কোটি টাকা সিকিউরিটি হিসেবে সরকারের কাছে জমা রাখতে হবে। যখন হাউজগুলো ভালনারেবল হবে, তখন সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য এগুলো কাজে আসবে।

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ এম আবদুল্লাহ বলেন, ইউনিয়নের পাশাপাশি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, প্রেস ক্লাব ও অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে সরকারের স্বীকৃতি দেওয়া দরকার। কারণ সারাদেশে ইউনিয়নের শাখা নেই। প্রবীণ সাংবাদিকদের ভাতার আওতায় আনতে হবে।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ রিভিউর করার দাবি জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা ‘নো ওয়েজ বোর্ড নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকর করা এবং সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার জন্য ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করার তাগিদও দিয়েছেন তারা।

সভাপতির বক্তব্যে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, আমাদের অধিকার আমাদের আদায় করে নিতে হবে। বিপ্লবের পরে মিডিয়ার কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন হয়নি। সাংবাদিকরা এখনো মবের শিকার হচ্ছে। ডিএফপির অনিয়মের কারণে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।

ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক একরামুল হক ভূঁইয়া (লোটন একরাম), ঢাকা মেইল ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক হারুন জামিল, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ প্রমূখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত